বৈশ্বিক প্রবাসী আয় কমতে পারে ১০ হাজার কোটি ডলার

করোনাভাইরাসের কারণে ধীরে ধীরে অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি কমায় বৈশ্বিক রেমিট্যান্সও কমবে। মার্কিন বহুজাতিক সেবা প্রদানকারী প্রতিষ্ঠান সিটি গ্রুপ গতকাল সোমবার বৈশ্বিক রেমিট্যান্স (প্রবাসী আয়) নিয়ে তাঁদের পূর্বাভাস কমিয়ে দিয়েছে। বার্তা সংস্থা রয়টার্সের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়।

সিটি বলছে, পরিস্থিতি সবচেয়ে খারাপ হলে চলতি বছর বৈশ্বিক রেমিট্যান্স ১০ হাজার কোটি ডলার কমে যেতে পারে।গতকাল গ্রাহকদের কাছে লেখা এক বার্তায় এ কথা জানায় তারা।

এপ্রিলের মাঝামাঝি সময় সিটি মনে করেছিল, অভিবাসীদের মাধ্যমে দেশে যে পরিমাণ অর্থ পাঠানো হবে, তা এই বছর ২ হাজার ৮০০ কোটি ডলার কমবে। যা ওই অর্থনীতির জন্য গুরুতর সমস্যার সৃষ্টি করবে। যাদের রেমিট্যান্স কমবে, ক্ষতি কাটিয়ে ওঠার মতো যথেষ্ট আর্থিক ক্ষমতা নেই তাদের। ফলে অর্থনৈতিক উন্নয়নে ক্রমবর্ধমান হারে ব্যয় করতে বাধ্য হবে তারা। এটি তাদের ঋণের দায়বদ্ধতা পূরণ না করার ঝুঁকিতে ফেলবে।

গ্রাহককে পাঠানো বার্তায় সিটির কর্মকর্তা ডানা পিটারসন লেখেন, উদীয়মান ছোট অর্থনীতিগুলোর সার্বভৌম ঋণ রেটিংয়ে রেমিট্যান্স কমে যাওয়া নেতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারে।তিনি বলেন, তাজিকিস্তান ও শ্রীলঙ্কা দুটি দেশই সার্বোভৌম ঋণ খেলাপীর উচ্চতর ঝুঁকিতে আছে। কারণ তাদের জিডিপির একটা বড় অংশ রেমিট্যান্সের ওপর নির্ভরশীল।
এ ছাড়া ওই বার্তায় আরও বলা হয়, রেমিট্যান্স কমার প্রভাব বেশিরভাগ নির্ভর করবে কোন দেশ এবং কোন খাতে অভিবাসীরা কাজ করে বেশি তার উপর। যুক্তরাষ্ট্রের অভিবাসী কর্মীরা যারা মূলত লাতিন আমেরিকা এবং এশিয়া থেকে এসেছে তাদের চাকরি হারানোর ঝুঁকি সবচেয়ে বেশি। চাকরি হারানোর মানে দাঁড়ায় দেশে তারা কম অর্থ পাঠাতে পারবেন।
এর আগে গত এপ্রিলে, বিশ্বব্যাংক জানায় করোনায় অর্থনৈতিক মন্দার সৃষ্টি হয়েছে। ২০২০ সালে বিশ্বব্যাপী রেমিট্যান্স ১৪ হাজার ২০০ কোটি ডলার কমবে। যা সাম্প্রতিক ইতিহাসের সবচেয়ে তীব্র পতন।