যুক্তরাষ্ট্রে হঠাৎ কমল বেকারত্বের হার

অপ্রত্যাশিতভাবে মে মাসে যুক্তরাষ্ট্রে বেকারত্বের হার কমেছে। গতকাল শনিবার প্রকাশিত সরকারি পরিসংখ্যানে দেখা গেছে, মে মাসে দেশটির বেকারত্বের হার কমে হয়েছে ১৩ দশমিক ৩ শতাংশ। এপ্রিলেই এই হার ছিল ১৪ দশমিক ৭শতাংশ। মে মাসে কর্মসংস্থান হয়েছে ২৫ লাখ মানুষের।

আর এই বেকারত্ব কমার এ চিত্র বিশ্লেষকদের মনে আশা জাগাচ্ছে। তারা মনে করছেন, মহামারির প্রভাব যতটা আশঙ্কা করা হচ্ছে ততটা হয়তো পড়বে না অর্থনীতিতে। বিবিসি অনলাইনের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়।

মে মাসে ব্যবসা প্রতিষ্ঠানগুলো আবার কর্মী নিয়োগ নেওয়া শুরু করেছে। খাদ্য, নির্মাণ ও স্বাস্থ্যসেবা খাতের সংস্থাগুলো নতুন অনেক কর্মী নিয়োগ দিয়েছে। শিক্ষা ও খুচরা খাতে নতুন নিয়োগের সঙ্গে সঙ্গে এই মাসে ২৫ লাখ কর্মসংস্থান হয়েছে। মূলত মার্কিন অঙ্গরাজ্যগুলো করোনাভাইরাসের বিস্তার নিয়ন্ত্রণে রাখতে নেওয়া কঠোর ব্যবস্থা কিছুটা শিথিল করায় এই কর্মসংস্থানগুলো আবার ফিরে এসেছে। ব্যবসা বাণিজ্য খোলার সঙ্গে সঙ্গে কোম্পানিগুলো আবার কর্মী নিয়োগ দেওয়া শুরু করেছে।

এই পরিসংখ্যান অর্থনীতিবিদদের অবাক করে দিয়েছে। কারণ অনেকেই সতর্ক করেছিলেন যে, দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পরে এই প্রথম বেকারত্বের হার ২০ শতাংশ ছাড়াতে পারে দেশটিতে।
মিশিগান বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক অর্থনীতিবিদ জাস্টিন ওল্ফার্স এই টুইটে বলেছিলেন, 'মে মাসের গোড়া থেকে মাঝামাঝি সময়ে অর্থনীতি তলানিতে নেমে যেতে পারে—এ আশঙ্কা থেকে সরে আসার সময় আসেনি। তিনি বলেন, . 'আমরা একটি বিশাল এবং গভীর গর্তে আছি, এবং উপরে উঠতে কিছুটা সময় লাগবে, তবে অন্তত গর্তটি আরও গভীর হচ্ছে না।'

এই সাফল্য নিজের দাবি করে টুইট করেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। তিনি টুইট করেন, 'সত্যিই ভালো কমৃসংস্থান হয়েছে। গ্রেট গোয়িং প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প (মজা করলেও সত্য)।'

করোনা মহামারীতে অর্থনৈতিক বিপর্যয়ে যুক্তরাষ্ট্রের বেকারত্বের হার গত এপ্রিলে বেড়ে হয় ১৪ দশমিক ৭ শতাংশ। এপ্রিলেই দুই কোটি পাঁচ লাখ লোক চাকরি হারায়। ১৯৩০ সালের মহামন্দার পর থেকে যুক্তরাষ্ট্রে বেকারত্বের হার এটিই ছিল সবচেয়ে বেশি। মে মাসে কিছুটা ঘুঁরে দাঁড়ালেও বছর শেষে এই হার ১০ শতাংশ পর্যন্ত থাকতে পারে বলে আশঙ্কা করছেন অর্থনীতিবিদেরা।