নিউজিল্যান্ডের অর্থনীতি ২৯ বছরের মধ্যে সবচেয়ে বেশি সংকুচিত

গত ২৯ বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ সংকুচিত হয়েছে নিউজিল্যান্ডের অর্থনীতি। গতকাল বুধবার বছরের প্রথম তিন মাসের হিসাব দিয়েছে দেশটির সরকারি পরিসংখ্যান। এতে দেখা গেছে করোনা মহামারির প্রভাব পড়তে শুরু করেছে দেশটিতে অর্থনীতিতে। বার্তা সংস্থা এএফপির এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়।

জানুয়ারি থেকে মার্চ—এই প্রথম প্রান্তিকে মোট দেশজ উৎপাদন সংকুচিত হয়েছে ১ দশমিক ৬ শতাংশ। ১৯৯১ সালের পর এটিই সবচেয়ে বড় পতন, যা আশঙ্কার চেয়েও অনেক বেশি। এর আগে বিশ্লেষকেরা ধারণা করেছিলেন, এই সময়ে ১ শতাংশ সংকুচিত হবে জিডিপি। শঙ্কার বিষয় হলো প্রথম এই মাসে করোনার মাত্র সামান্য প্রভাবই দেখা গেছে। বছরজুড়ে এই প্রভাব তীব্র হবে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।

২৪ মার্চ ৭ সপ্তাহের কঠোর লকডাউন জারি করে নিউজিল্যান্ড। স্ট্যাটিসটিকস নিউজিল্যান্ডের তথ্য অনুযায়ী, এই ত্রৈমাসিকের জিডিপি যে সংকুচিত হয়েছে, তা মূলত ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা ও লকডাউনের প্রভাবে অর্থনৈতিক ক্রিয়াকলাপ কমে যাওয়ার কারণে হয়েছে। একই সঙ্গে দেশের কিছু অঞ্চলে খরারও কিছু প্রভাব রয়েছে। ফলে ২০০৮ সালের অর্থনৈতিক মন্দার সময়ও এত সংকুচিত হয়নি অর্থনীতি।

ওয়েস্ট প্যাক ব্যাংক তাদের পূর্বাভাসে বলেছে, এপ্রিল-জুন সময়কালে জিডিপি ১৩ দশমিক ৮ শতাংশ কমে যাবে। ঋণাত্মক প্রবৃদ্ধি হবে। এবং মন্দায় পড়বে নিউজিল্যান্ড।

প্রথম প্রান্তিকে সবচেয়ে বেশি প্রভাব পড়েছে আপ্যায়ন খাতে, ৭ দশমিক ৮ শতাংশ সংকুচিত হয়েছে। পরিবহন ও গুদামজাতকরণ কমেছে ৪ দশমিক ১ শতাংশ। নির্মাণ খাত সংকুচিত হয়েছে ৪ শতাংশ।

সংকোচনের কারণে প্রথম প্রান্তিকে জিডিপিতে প্রবৃদ্ধি হয়েছে মাত্র দেড় শতাংশ, যা এর আগের বছরের একই সময়ে ছিল ৩ দশমিক ১ শতাংশ।

মহামারির প্রতিক্রিয়া খুব দ্রুত পদক্ষেপ নেয় নিউজিল্যান্ড। সীমানা সিল করে দেওয়ার পাশাপাশি অভ্যন্তরে সংক্রমণ ঠেকাতে নেওয়া হয় কঠোর লকডাউন। এ ফলে অবশ্য করোনা মোকাবিলায় সফলও তারা। ৫০ লাখ জনগোষ্ঠীর এই দেশে করোনায় মারা গেছেন ২২ জন। তবে লকডাউন প্রত্যাহারের পর কোনো বিধিনিষেধ ছাড়াই পরিচালিত হচ্ছে দেশীয় ব্যবসা-বাণিজ্য।