বাজেটে ক্রয়ক্ষমতা বৃদ্ধির উদ্যোগ নেওয়া হয়নি

গোলাম রহমান, চেয়ারম্যান, ক্যাব
গোলাম রহমান, চেয়ারম্যান, ক্যাব

বাজেটে ব্যক্তিশ্রেণির করমুক্ত আয়সীমা বৃদ্ধি করা হয়েছে। কিন্তু ক্রয়ক্ষমতা বাড়ানোর কোনো উদ্যোগ নেওয়া হয়নি। ফলে পরোক্ষ করের মাধ্যমে যেসব শুল্ক-কর বৃদ্ধি করা হয়েছে, তা কিনতে বেশি খরচ করতে হবে। সরকারের শুল্ক-কর নীতি এমনভাবে সাজানো উচিত, যাতে ভোক্তা ন্যায্যমূল্যে বাজার থেকে পণ্য কিনতে পারে।

কৃষিপণ্যের ওপর বাজেট দেওয়ার সময় পুরো এক অর্থবছরের জন্য শুল্ক-কর আরোপ করা হয়। কিন্তু কৃষিপণ্যের মূল্যবৃদ্ধির বিষয়টি মৌসুম এবং ফলনের ওপর নির্ভর করে। তাই কৃষিপণ্যের আমদানি, স্থানীয় সরবরাহ ইত্যাদি ক্ষেত্রে মৌসুমভিত্তিক শুল্ক-কর আরোপ করা যেতে পারে।

মোবাইল ফোনের প্রদত্ত সেবার ওপর শুল্ক বাড়ানো হলো। তাতে সাধারণ ভোক্তার ওপর চাপ বাড়ল। সরকার হয়তো মনে করছে, করোনাকালে রাজস্ব আদায় বাড়াতে সব মানুষের অংশগ্রহণ থাকা উচিত। তাহলে আপৎকালীন ব্যবস্থা হিসেবে শুল্ক বাড়ানো হয়েছে—তা বলা উচিত। নির্দিষ্ট সময় পর শুল্ক কমিয়ে দেওয়া হবে—এই ঘোষণাও থাকা উচিত।

ভ্যাট দেন ক্রেতা বা ভোক্তা। ব্যবসায়ীরা তা শুধু সরকারের কোষাগারে জমা দেন। কিন্তু ভোক্তারা দিলেও ২৫-৩০ শতাংশ ভ্যাট সরকারের কোষাগারে জমা দেন না ব্যবসায়ীরা। এই ভ্যাট জমা পড়লে বাড়তি শুল্ক আরোপ করার প্রয়োজন পড়ত না।