বাংলাদেশকে ১০৫ কোটি ডলার দেবে বিশ্বব্যাংক

বাংলাদেশকে ১০৫ কোটি মার্কিন ডলার দেবে বিশ্বব্যাংক। এই অর্থ বাংলাদেশের প্রায় ৯ হাজার কোটি টাকার মতো। মানসম্পন্ন কর্মসংস্থান সৃষ্টি, কোভিড–১৯ বা করোনাভাইরাস মহামারির পরিস্থিতিতে অর্থনৈতিক পুনরুদ্ধারের গতি জোরদার এবং ভবিষ্যতে সঙ্কট মোকাবিলা করে অর্থনীতিতে ঘুরে দাঁড়ানোর সক্ষমতা অর্জন করা—এমন তিনটি প্রকল্পের জন্য বিশ্বব্যাংক গতকাল শুক্রবার অর্থ অনুমোদন করেছে।

এ সম্পর্কে বাংলাদেশ ও ভুটানে বিশ্বব্যাংকের কান্ট্রি ডিরেক্টর মার্সি টেমবন বলেন, 'এটি নজিরবিহীন এক পরিস্থিতিতে বাংলাদেশের জন্য বিশ্বব্যাংকের পক্ষ থেকে অসাধারণ এক সাড়া। কোভিড–১৯ মহামারি বাংলাদেশের জনগণের জীবিকার উপায়সহ দারিদ্র্য বিমোচন ও সমৃদ্ধি অর্জনের বিশাল সফলতাকে বিপন্ন করে তুলেছে।' এমন অবস্থায় এসব প্রকল্পের সুবাদে মানসম্পন্ন অধিক কর্মসংস্থান সৃষ্টি, বিশেষায়িত অর্থনৈতিক অঞ্চলে (এসইজেড) সরাসরি বেসরকারি বিনিয়োগ বৃদ্ধি ও প্রযুক্তিনির্ভর অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড এ দেশের মানুষজন ও অর্থনীতিকে ঘুরে দাঁড়াতে সহায়তা করবে।
বিশ্বব্যাংকের ঢাকা কার্যালয় থেকে পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, বাংলাদেশে ৫০ কোটি ডলারের 'প্রাইভেট ইনভেস্টমেন্ট অ্যান্ড ডিজিটাল এন্ট্রাপ্রেনিওরশিপ (প্রাইড) প্রজেক্ট' শুরু হবে।

সংস্থাটি জানায়, ২৯ কোটি ৫০ লাখ ডলার ব্যবহার হবে 'এনহ্যান্সিং ডিজিটাল গভর্নমেন্ট অ্যান্ড ইকোনসি' (ইডিজিই) শীর্ষক প্রকল্পে। এর আওতায় সকল সরকারি সংস্থায় সমন্বিত ও ক্লাউড–কম্পিউটিং ডিজিটাল প্ল্যাটফর্ম স্থাপন ও সাইবার নিরাপত্তা জোরদার করা হবে।

বিশ্বব্যাংক জানায়, তাদের দেওয়া অর্থে ২৫ কোটি ডলারের সেকেন্ড প্রোগ্রামেটিক জবস ডেভেলপমেন্ট পলিসি ক্রেডিট' নামে আরেকটি প্রকল্প নেওয়া হবে। এ ছাড়া এন্ট্রাপ্রেনিউরশিপ হাব বা প্রযুক্তি কেন্দ্র গড়ে তোলা হবে জনতা সফটওয়্যার টেকনোলজি পার্কে।

বিশ্বব্যাংক জানায়, তারা ঝুঁকির মুখে থাকা গরিব মানুষকে রক্ষা, ব্যবসায়ে অর্থায়ন ও অর্থনৈতিক পুনরুদ্ধারে আগামী ১৫ মাসে বিশ্বের ১০০ টির বেশি দেশকে ১৬ হাজার কোটি ডলার সহায়তা করবে। এর মধ্যে আইডিএ নতুনভাবে অনুদান ও একেবারে সহজ শর্তের ঋণ হিসেবে ৫ হাজার কোটি ডলার দেবে।