বড় সমস্যায় নারী উদ্যোক্তারা, দরকার ব্যাংকঋণ

সঙ্গীতা আহমেদ, রেজবিন হাফিজ ও তাহমিনা খান শৈলী
সঙ্গীতা আহমেদ, রেজবিন হাফিজ ও তাহমিনা খান শৈলী

করোনাভাইরাসের কারণে নারী উদ্যোক্তারা বড় সমস্যায় পড়েছেন। কারও ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ, কারও বিক্রি কমে গেছে। ব্যাংকঋণ ছাড়া এমন পরিস্থিতি থেকে উত্তরণ সম্ভব না। এ জন্য সহজ শর্তে তাঁদের ঋণের ব্যবস্থা করতে হবে।

প্রথম আলো ও আইডিএলসি ফাইন্যান্স আয়োজিত এক আলোচনা অনুষ্ঠানে তিন নারী উদ্যোক্তা এভাবেই নিজেদের মতামত তুলে ধরেন। ‘এসএমই ব্যবসার বর্তমান ও ভবিষ্যৎ’ শীর্ষক তিন পর্বের অনুষ্ঠানের দ্বিতীয় পর্বের বিষয় ছিল ‘এগিয়ে যাচ্ছে নারী-উদ্যোগ’ শিরোনামের আলোচনা। অনুষ্ঠানটি শনিবার রাত নয়টায় প্রথম আলো অনলাইন এবং প্রথম আলো ও আইডিএলসির ফেসবুক পেজে সরাসরি প্রচারিত হয়। ২৭ জুন ছিল বিশ্ব এসএমই দিবস। দিবসটিকে কেন্দ্র করেই এ আয়োজন করা হয়।

আলোচনায় অংশ নেন বাংলাদেশ উইমেন চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির জ্যেষ্ঠ সহসভাপতি সঙ্গীতা আহমেদ, পিপলস ফুটওয়্যার অ্যান্ড লেদার গুডসের স্বত্বাধিকারী রেজবিন হাফিজ এবং ফ্যাশন ও অ্যাকসেসরিজ প্রতিষ্ঠান শৈলীর স্বত্বাধিকারী তাহমিনা খান শৈলী। অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন প্রথম আলোর যুব কর্মসূচি ও অনুষ্ঠানপ্রধান মুনির হাসান।

সঞ্চালক মুনির হাসান জানতে চান, করোনাভাইরাস এসএমই খাতকে কতটা বিপর্যয়ে ফেলেছে? তাঁদের ঘুরে দাঁড়াতে পরামর্শ জানতে চান তিনি। এ প্রশ্নের জবাবে সঙ্গীতা আহমেদ বলেন, ‘ব্যবসায়িক জীবনে নারী উদ্যোক্তাদের জন্য এটাই সবচেয়ে বড় পরীক্ষা। এই পরিস্থিতিতে বড়রাই হিমশিম খাচ্ছে। কারণ, বাড়ি ভাড়া, কর, বেতন তো বন্ধ নেই। আমাদের বিউটি পারলার আছে, সেটা চার মাস ধরে বন্ধ। এরপরও কর অফিসের কর্মকর্তাদের হয়রানি কমেনি। সরকার যে প্রণোদনা দিয়েছে, তা বড় ব্যবসায়ী ও ঋণখেলাপিরা নিয়ে যাচ্ছেন। আমরা শূন্য দশমিক শূন্য শূন্য ১ শতাংশও পাব না। যারা চেষ্টা করেছে, তারাও পাচ্ছে না। বর্তমান অবস্থা থেকে ঘুরে দাঁড়াতে পর্যাপ্ত অর্থসহায়তা লাগবে। সহজ শর্তে ঋণ দিতে হবে।

একই প্রশ্নের জবাবে রেজবিন হাফিজ বলেন, ‘করোনার সময় যে এত দীর্ঘ হবে, তা কখনোই ভাবিনি। আমার অনেক ক্রয় আদেশ বাতিল হয়ে গেছে। আগে প্রতি মাসে পাঁচ থেকে ছয় হাজার জুতা উৎপাদন করতাম। করোনা মধ্যে ১ হাজার ২০০ জুতা উৎপাদন করেছি। এখন আবার আদেশ আসছে। এ জন্য পর্যাপ্ত অর্থ প্রয়োজন।’

তাহমিদা খান শৈলী বলেন, উদ্যোক্তা মানে যোদ্ধা। সাহসী না হলে উদ্যোক্তা হওয়া যায় না। এখন সময় এসেছে নতুন করে ভাবার। খরচের খাতকে নতুন করে সাজানোর। নতুন পণ্য আনব কি না। সামনের আরও কঠিন দিন আসছে। ব্যবসা চালু হলে পুরোদমে ফিরতে অনেক সময় লাগবে। প্রতি মাসে যে হারে কিস্তি দেওয়া হয়, তা ব্যাংকগুলো কমিয়ে দিতে পারে। ব্যাংক থেকে আরও সুবিধা দিতে পারে।