সৌদিতে আকামার মেয়াদ তিন মাস বাড়ায় উপকৃত যাঁরা

যেসব প্রবাসীর সৌদি আরবে বসবাসের বৈধ অনুমতির (আকামা) মেয়াদ পার হয়ে গেছে, তাঁদের জন্য এই মেয়াদ তিন মাস বাড়ানোর নির্দেশ দিয়েছেন বাদশাহ সালমান বিন আবদুল আজিজ আল সৌদ। রয়টার্স ফাইল ছবি
যেসব প্রবাসীর সৌদি আরবে বসবাসের বৈধ অনুমতির (আকামা) মেয়াদ পার হয়ে গেছে, তাঁদের জন্য এই মেয়াদ তিন মাস বাড়ানোর নির্দেশ দিয়েছেন বাদশাহ সালমান বিন আবদুল আজিজ আল সৌদ। রয়টার্স ফাইল ছবি

যেসব প্রবাসীর সৌদি আরবে বসবাসের বৈধ অনুমতির (আকামা) মেয়াদ পার হয়ে গেছে, তাঁদের জন্য এই মেয়াদ তিন মাস বাড়ানোর নির্দেশ দিয়েছেন বাদশাহ সালমান বিন আবদুল আজিজ আল সৌদ।একই সঙ্গে প্রবেশ-বহির্গমনের নিষেধাজ্ঞা থাকার সময় প্রবাসীসহ যেসব পর্যটকের ভিসার মেয়াদ শেষ হয়ে গেছে, তাঁদের আকামার মেয়াদও কোনো খরচ ছাড়া তিন মাস বাড়ানো হবে। গতকাল রোববার দেশটির স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের বরাত দিয়ে সৌদি গেজেটের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়।

সৌদি স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, ফাইনাল এক্সিট ভিসার পাশাপাশি সৌদিতে অবস্থানরত যেসব প্রবাসীর জন্য এক্সিট ও রিএন্ট্রি ভিসা ইস্যু করা হয়েছিল, তবে লকডাউনের সময় তাঁরা সেটি ব্যবহার করতে পারেননি, তাঁরাও বিনা মূল্যে তিন মাসের আকামা–সুবিধা পাবেন। যেসব প্রবাসী বর্তমানে আন্তর্জাতিক ফ্লাইট বাতিল এবং সৌদিতে প্রবেশ ও বহির্গমনের ওপর নিষেধাজ্ঞার কারণে প্রবেশ বা বের হওয়ার সুযোগ পাচ্ছেন না, সবাই এই সুবিধা পাবেন।

সব মিলিয়ে সৌদি বাদশাহর নতুন আদেশে যাঁরা উপকৃত হবেন প্রবাসীরা তিন মাসের আকামা নবায়ন সুযোগ পাবে কোনো ধরনের ফি ছাড়া।

আন্তর্জাতিক রুটে ফ্লাইট বন্ধ থাকায় যেসব ব্যক্তি ফাইনাল এক্সিট লাগিয়ে এখনো সৌদি আরব ত্যাগ করতে পারেননি, তাঁরা আরও তিন মাস বৈধভাবে থাকার সুযোগ পাচ্ছেন।

ছুটিতে থাকা প্রবাসী যাঁদের আকামা শেষ হয়েছে বা হবে, তাঁদের মেয়াদ আরও তিন মাস বাড়ানো হবে কোনো রকম জরিমানা ছাড়া।

সৌদি আরবের বাইরে থাকা যেসব বিদেশি নাগরিকের ছুটি শেষ হয়েছে বা হবে, তাঁদের কোনো জরিমানা ছাড়া আরও তিন মাসের বাড়তি ছুটি দেওয়া হবে।

পর্যটন ভিসায় আটকে পড়া পর্যটকেরা আরও তিন মাস বৈধভাবে থাকার সুযোগ পাবেন। এ ক্ষেত্রে কোনো সরকারি ফির প্রয়োজন হবে না।

মন্ত্রণালয়ের সূত্র জানিয়েছে, ব্যক্তি, বেসরকারি খাত, প্রতিষ্ঠান ও বিনিয়োগকারী এবং অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ডের ওপর করোনা মহামারির প্রভাব কমানোর জন্য বাদশা সালমানের নিরবচ্ছিন্ন প্রচেষ্টার অংশ হিসাবে এ ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।

মহামারির বিস্তার রোধে গত ২৫ মার্চ থেকে কারফিউ জারি করে দেশটি। এতে দেশটির জনগণের পাশাপাশি অবরুদ্ধ হয়ে পড়েন প্রায় ২২ লাখ প্রবাসী বাংলাদেশি। তাঁদের অনেকেরই এ সময়ে আকামা বা কাজের বৈধ অনুমতিপত্রের মেয়াদ শেষ হয়ে গিয়েছিল। আবার অনেকের আকামার মেয়াদ শেষ দিকে থাকায় দুশ্চিন্তায় ছিলেন। এই ঘোষণার ফলে এসব প্রবাসী নিশ্চিত হতে পারবেন।