সাঈদ হোসেন চৌধুরীকে ওয়ান ব্যাংকের চেয়ারম্যান পদ থেকে অপসারণ

সাঈদ হোসেন চৌধুরী। ছবি: সংগৃহীত
সাঈদ হোসেন চৌধুরী। ছবি: সংগৃহীত

এইচআরসি গ্রুপের চেয়ারম্যান সাঈদ হোসেন চৌধুরীকে ওয়ান ব্যাংকের চেয়ারম্যান পদ থেকে অপসারণ করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক। ঋণ খেলাপের দায়ে তাঁর বিরুদ্ধে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। একই সঙ্গে আগামী তিন বছর তিনি ব্যাংকটির পরিচালক পদে থাকতে পারবেন না বলে জানিয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। গতকাল রোববার কেন্দ্রীয় ব্যাংক এ সিদ্ধান্ত জানিয়ে ব্যাংকটিকে চিঠি দেয়।

বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র সিরাজুল ইসলাম এ তথ্যের সত্যতা নিশ্চিত করেছেন। প্রথম আলোকে তিনি বলেন, ‘একজন ঋণখেলাপি ব্যাংক পরিচালনায় থাকতে পারেন না। এ জন্য তাঁকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে। আগামী তিন বছর তিনি ব্যাংক পরিচালনায় যুক্ত হতে পারবেন না।’

জানা যায়, এইচআরসি গ্রুপের সহযোগী প্রতিষ্ঠানের ঋণ খেলাপি হয়ে পড়লেও সাঈদ হোসেন চৌধুরী পরিশোধ করছিলেন না। এ নিয়ে ব্যাংকগুলো বাংলাদেশ ব্যাংকের কাছে অভিযোগ করে। এরপরও তিনি ঋণ শোধ করেননি। এর পরিপ্রেক্ষিতে তাঁকে অপসারণ করা হয়।

সাঈদ হোসেন চৌধুরী একাধিক মেয়াদে ব্যাংকটির চেয়ারম্যান পদে আছেন। সবশেষ গত বছরের ১ আগস্ট এক বছরের জন্য চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন তিনি।

ব্যাংক কোম্পানি আইন অনুযায়ী, ঋণখেলাপিরা ব্যাংকের পরিচালক ও চেয়ারম্যান পদে থাকতে পারেন না। এরপরও অনেকে আদালতের আশ্রয় নিয়ে পরিচালক রয়ে গেছেন।

ঋণখেলাপির দায়ে মার্কেন্টাইল ব্যাংকের পরিচালক পদ থেকে বাদ পড়েছেন এ এস এম ফিরোজ আলম। তাঁকে পরিচালক পদে পুনর্নিয়োগ দিতে আবেদন করলে বাংলাদেশ ব্যাংক এতে অনুমোদন দেয়নি। এতে তিনি পরিচালক পদ থেকে বাদ পড়েছেন। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের মুখপাত্র এ তথ্যের সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।

জানতে চাইলে সাঈদ হোসেন চৌধুরী প্রথম আলোকে বলেন, ‘বাংলাদেশ ব্যাংকই আমার ঋণ পুনঃতফসিল করে দিয়েছে। আরও ঋণ খেলাপি থাকলে আমাকে চিঠি দেওয়ার কথা, কিন্তু কোনো চিঠি আসেনি। হঠাৎ করেই অপসারণ করা হয়েছে।’ তিনি আরও বলেন, ‘আমাকে এখন থেকে ৮ মাস আগের তারিখ থেকে অপসারণ করা হয়েছে। এটা কীভাবে হয়? এতদিন যা সিদ্ধান্ত হয়েছে, তার কী হবে। এটা অপেশাদার সিদ্ধান্ত হয়েছে, কেন্দ্রীয় ব্যাংকের এমন ভূমিকা আশা করিনি।’