শেয়ারবাজারের লেনদেনসূচি ফিরছে আগের অবস্থায়

শেয়ারবাজার
শেয়ারবাজার

আবারও চার ঘণ্টার স্বাভাবিক লেনদেনে ফিরে যাচ্ছে দেশের শেয়ারবাজার। আজ বুধবার থেকে সকাল সাড়ে ১০টায় লেনদেন শুরু হয়ে টানা চলবে বেলা আড়াইটা পর্যন্ত। গতকাল মঙ্গলবার দেশের দুই স্টক এক্সচেঞ্জ কর্তৃপক্ষ এ সিদ্ধান্ত নিয়েছে।

নতুন এ সিদ্ধান্ত কার্যকর হলে প্রায় চার মাস পর দেশের শেয়ারবাজারের লেনদেন আবারও চার ঘণ্টায় ফিরে যাবে। করোনার কারণে এত দিন শেয়ারবাজারে লেনদেনের সময়সীমা কিছুটা কমে গিয়েছিল। এ ছাড়া টানা ৬৬ দিন লেনদেন বন্ধ ছিল শেয়ারবাজারে। দেশ স্বাধীন হওয়ার পর এত দীর্ঘ সময় একটানা কখনো শেয়ারবাজারে লেনদেন বন্ধ ছিল না।

দেশের প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) ও অপর শেয়ারবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জ (সিএসই) গতকাল আলাদা আলাদা বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছে, ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষের সিদ্ধান্তে আজ বুধবার থেকে আবারও লেনদেনের সময়সূচিতে পরিবর্তন আনা হচ্ছে। ব্যাংকের লেনদেন স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরে যাওয়ায় শেয়ারবাজারের লেনদেনও আজ থেকে স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরে যাবে। সে ক্ষেত্রে সকাল সাড়ে ১০টায় লেনদেন শুরু হয়ে টানা তা বেলা আড়াইটা পর্যন্ত চলবে। তবে গতকালও শেয়ারবাজারে লেনদেন হয়েছে সকাল ১০টা থেকে বেলা ১টা পর্যন্ত মোট তিন ঘণ্টা।

ডিএসই জানিয়েছে, মার্চের মাঝামাঝি সময়ে দেশের করোনা পরিস্থিতির অবনতি হতে শুরু করলে ১৯ মার্চ থেকে শেয়ারবাজারে লেনদেনের সময় এক ঘণ্টা কমিয়ে দেওয়া হয়। করোনার কারণে সরকার ২৬ মার্চ থেকে সাধারণ ছুটি ঘোষণা করলে শেয়ারবাজারের লেনদেনও বন্ধ রাখা হয়। ৬৬ দিন টানা বন্ধের পর ৩১ মে আবার চালু হয়েছে শেয়ারবাজারের লেনদেন। ৩১ মে থেকেও লেনদেনের সময়সূচি ছিল সকাল সাড়ে ১০টা থেকে বেলা দেড়টা পর্যন্ত। কিন্তু পরে ব্যাংকের লেনদেনের সময়সূচি পরিবর্তন হওয়ায় ১৮ জুন থেকে শেয়ারবাজারের লেনদেনের সময় আবার পরিবর্তন করে ১০টা থেকে বেলা ১টা করা হয়। সেটি আজ থেকে আবার পরিবর্তিত হচ্ছে।

এদিকে ন্যূনতম শেয়ার ধারণে ব্যর্থ ২২ কোম্পানির ৬১ পরিচালককে আলটিমেটামের চিঠি দেওয়ার পর গত দুই দিনে বাজারে তার ইতিবাচক প্রভাব দেখা গেছে। বিশেষ করে যেসব কোম্পানির পরিচালকদের চিঠি দেওয়া হয়েছে, সেসব কোম্পানির শেয়ারের লেনদেন ও দাম কিছুটা বেড়েছে। ২২ কোম্পানির মধ্যে ১৪টিই ছিল বিমা খাতের। গতকাল ঢাকার বাজারে লেনদেন হওয়া বিমা খাতের ৪৬ কোম্পানির মধ্যে ২০টিরই দাম বেড়েছে।

নিয়ম অনুযায়ী শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত কোম্পানির পরিচালকদের হাতে ওই কোম্পানির ২ শতাংশ শেয়ার থাকা বাধ্যতামূলক। ২০১১ সালের নভেম্বরে এ আইনি বিধান করা হয়। এরপরও আইন অমান্য করে ২২ কোম্পানির ৬১ পরিচালক দীর্ঘদিন ধরে পদে রয়েছেন।