টিঅ্যান্ডটি হাইস্কুলের শিক্ষার্থীরা পাবে ট্যাব

স্কুল থেকে দূরে থেকেও পড়াশোনা সহজে করতে বিজয় ডিজিটালের সঙ্গে একটি যৌথ উদ্যোগ শুরু করেছে হুয়াওয়ে বাংলাদেশ। এ উদ্যোগের অধীনে সারা দেশের টিঅ্যান্ডটি হাইস্কুলগুলোতে প্রি-স্কুল থেকে চতুর্থ শ্রেণির শিক্ষার্থীদের মধ্যে হুয়াওয়ে স্মার্ট ডিভাইস, বিজয় ডিজিটাল অ্যাপ ও কানেকটিভিটি পৌঁছে দেওয়া হবে।

এ জন্য নেওয়া প্রকল্পের নাম ‘ব্রিজিং দ্য ডিজিটাল এডুকেশন ডিভাইড টু রিডিউস দ্য গ্যাপ’। এটি বাস্তবায়নে সহযোগিতা করছে ইউনেসকো বাংলাদেশ।

আজ বুধবার একটি ভার্চ্যুয়াল উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের মাধ্যমে এ উদ্যোগের কথা ঘোষণা করা হয়। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ডাক ও টেলিযোগাযোগমন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার। অনুষ্ঠানে ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. নূর-উর-রহমান, বাংলাদেশ টেলিকমিউনিকেশন কোম্পানি লিমিটেডের (বিটিসিএল) ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. রফিকুল মতিন, বাংলাদেশে ইউনেসকোর হেড অব অফিস ও ইউনেসকো প্রতিনিধি বিয়াট্রিস কালদুন, বিজয় ডিজিটালের প্রধান নির্বাহী জেসমিন জুই, বনানীর টিঅ্যান্ডটি বয়েজ হাইস্কুলের অধ্যক্ষ হালিমা বেগম এবং হুয়াওয়ে টেকনোলজিস (বাংলাদেশ) লিমিটেডের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ঝাং ঝেংজুন উপস্থিত ছিলেন।

হুয়াওয়ে এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছে, সারা দেশের বিপুলসংখ্যক শিক্ষার্থীর ডিজিটাল প্রযুক্তি ব্যবহারের সুবিধা নেই। তাই ডিজিটাল প্রযুক্তির সঙ্গে বিনা মূল্যে ডিভাইস ব্যবহারের সুবিধা শিক্ষা খাতের রূপান্তরে এবং বৈশ্বিক মহামারির মতো পরিস্থিতিতেও দেশের সাক্ষরতার হার বাড়াতে কার্যকর ভূমিকা রাখবে।

প্রাথমিক পর্যায়ে ঢাকার বনানীতে টিঅ্যান্ডটি বয়েজ হাইস্কুলে প্রকল্পটি শুরু হবে এবং পর্যায়ক্রমে দুই বছরের মধ্যে অন্য স্কুলগুলোতেও এ প্রকল্প চালু করা হবে। ঢাকার বনানীর টিঅ্যান্ডটি বয়েজ হাইস্কুলে শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের হুয়াওয়ে ট্যাব (হুয়াওয়ে মিডিয়াপ্যাড টি৩ টেন) দেওয়া হবে। সব ট্যাবে বিজয় ডিজিটাল অ্যাপটি আগে থেকেই ইনস্টল করা থাকবে।

২০২১ সালের ফেব্রুয়ারি মাসের মধ্যে প্রতিষ্ঠানগুলো অন্য দুটি স্কুলে এ ডিজিটাল সমাধান চালু করবে এবং ২০২২ সালের আগস্টে প্রকল্পটি শেষ হবে।

এ নিয়ে ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তিমন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার বলেন, ‘কোভিড-১৯-এর প্রাদুর্ভাবের পর এর বিস্তাররোধে দেশের সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধের ঘোষণা দেওয়া হয়। এ পরিস্থিতিতে বিকল্প উপায়ে শিক্ষা কার্যক্রম চলমান রাখতে বাংলাদেশ সরকার নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে। এ সময়ে যেসব শিক্ষার্থী পড়াশোনার সুযোগ পাচ্ছে না, তাদের জন্য স্থানীয় প্রতিষ্ঠান এবং জাতিসংঘের সংস্থার সঙ্গে হুয়াওয়ের এই সম্মিলিত উদ্যোগ বেশ আশাব্যঞ্জক।’

ঝাং ঝেংজুন বলেন, স্কুলগুলোতে ইন্টারনেট সুবিধা ও ডিজিটাল প্রযুক্তি পৌঁছে দেওয়া গেলে তা সুবিধাবঞ্চিতদের দূরশিক্ষণের মাধ্যমে শিক্ষার সুযোগ তৈরি করবে।

কানেকটিভিটি, অ্যাপ্লিকেশন ও দক্ষতার মাধ্যমে ব্যক্তি ও ক্ষুদ্র ব্যবসা উদ্যোগের ডিজিটাল অন্তর্ভুক্তি ত্বরান্বিত করতে হুয়াওয়ে ২০১৯ সালে ‘টেক ফর অল’ উদ্যোগ শুরু করে।