সাবরাংয়ে রিসোর্ট করবে ইফাদ অটোস, বিনিয়োগ ৪০০ কোটি টাকা

সাবরাং ট্যুরিজম পার্ক। ছবি: সংগৃহীত
সাবরাং ট্যুরিজম পার্ক। ছবি: সংগৃহীত

চট্টগ্রামের সাবরাং ট্যুরিজম পার্কে সাত একর জমি চেয়েছে দেশের অটোমোবাইল খাতের কোম্পানি ইফাদ অটোস লিমিটেড। এ জমিতে তারা একটি রিসোর্ট ও একটি হোটেল করার পরিকল্পনা করছে। জমি পেলে এটি হবে পর্যটন খাতে ইফাদের প্রথম বিনিয়োগ।

বাংলাদেশ অর্থনৈতিক অঞ্চল কর্তৃপক্ষের (বেজা) কাছে গত সোমবার সাবরাং ইজেডে এই বিনিয়োগ প্রস্তাব দিয়েছে ইফাদ গ্রুপের প্রতিষ্ঠান ইফাদ অটোস। তাদের প্রস্তাবে বলা হয়েছে, ছয় একর জমিতে তারা 'ড্রিম রিসোর্ট অ্যান্ড স্পা লিমিটেড' একটি রিসোর্ট করতে চায়। আরেক প্লটে এক একর জমিতে একটি হোটেল করতে চায়।

ইফাদের প্রস্তাবিত বিনিয়োগ ৪ কোটি ৮০ লাখ মার্কিন ডলার, যা বাংলাদেশি মুদ্রায় ৪০৮ কোটি টাকা।

জানতে চাইলে ইফাদ অটোসের ব্যবস্থাপনা পরিচালক তাসকিন আহমেদ প্রথম আলোকে বলেন, 'সাবরাংয়ে সরকার যে পরিকল্পনা নিয়ে এগোচ্ছে, তাতে সেটি আন্তর্জাতিক মানের একটি পর্যটন কেন্দ্র হবে। আমরা আমাদের বিনিয়োগ বৈচিত্র্যকরণ পরিকল্পনার অংশ হিসেবে সেখানে বিনিয়োগ করতে চাচ্ছি।' তিনি বলেন, পর্যটন বাংলাদেশের জন্য একটি বড় সম্ভাবনাময় খাতে পরিণত হতে যাচ্ছে।

বেজা যে তিনটি পর্যটনকেন্দ্র গড়ে তুলতে কাজ করছে, তার একটি হলো কক্সবাজারের সাবরাং ট্যুরিজম পার্ক। এর আয়তন ১ হাজার ১৬৫ একর। এতে আন্তর্জাতিক মানের হোটেল, কটেজ, বিচ ভিলা, ওয়াটার ভিলা, নাইট ক্লাব, কার পার্কিং, সুইমিংপুল, কনভেনশন হল, অডিটোরিয়াম, অ্যামিউজমেন্ট পার্ক ইত্যাদি নানা সুবিধা থাকবে।

কক্সবাজারের সোনাদিয়া দ্বীপ ও নাফ নদীর মোহনায় একটি দ্বীপে নাফ ট্যুরিজম পার্ক গড়ে তুলতেও কাজ করছে বেজা। ২০১৬ সালে সাবরাংসহ একসঙ্গে দেশের ১০টি অর্থনৈতিক অঞ্চলের নির্মাণকাজ উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনটি পর্যটন কেন্দ্রের মধ্যে শুধু সাবরাংয়ে জমি বরাদ্দের বিবরণপত্র প্রকাশ করেছে বেজা। এতে দেখা যায়, ৫০ বছরের জন্য এক বর্গমিটার উন্নত জমির ইজারামূল্য ৪৬ দশমিক ২৫ মার্কিন ডলার (৩ হাজার ৯৩১ টাকা)। আর বিশেষ অবকাঠামোর ক্ষেত্রে তা ৩৫ দশমিক ৭৫ ডলার (৩ হাজার ৩৯ টাকা)।

আবেদনের সঙ্গে ১ শতাংশ অর্থ জমা দিতে হয়। প্রকল্প প্রস্তাব দেওয়ার পরে যাচাই-বাছাই শেষে জমি বরাদ্দ দেওয়া হয়। আবেদন করলেই জমি পাওয়ার নিশ্চয়তা নেই। বেজা দুই বছরের মধ্যে প্রকল্পটি বিনিয়োগ উপযোগী করার লক্ষ্য নিয়ে কাজ করছে।

ইফাদ কবে প্রকল্প চালু করতে চায় জানতে চাইলে তাসকিন আহমেদ বলেন, 'সেটা এখনই বলা সম্ভব নয়।'