৭০ বছরে যেভাবে তিন গুণ বিশ্বের জনসংখ্যা

প্রতীকী ছবি
প্রতীকী ছবি

গতকাল ছিল বিশ্ব জনসংখ্যা দিবস। প্রজনন স্বাস্থ্য সম্পর্কে সচেতনতা বাড়াতে এবং বিশ্বজুড়ে টেকসই উন্নয়ন অর্জনের জন্য জাতিসংঘ কর্তৃক মনোনীত এক দিন। এ বছরের প্রতিপাদ্যে বিশ্বজুড়ে নারী ও মেয়েদের স্বাস্থ্য ও অধিকার রক্ষায় আলোকপাত করা হয়েছে। বিশেষত চলমান কোভিড-১৯ মহামারির মধ্যে নারী স্বাস্থ্য ও অধিকারের প্রতি গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে।

জনসংখ্যা দিবস উপলক্ষে কাতারভিত্তিক গণমাধ্যম আল–জাজিরায় গত ৭০ বছরে জনসংখ্যা বৃদ্ধির একটি চিত্র তুলে ধরা হয়েছে। এতে দেখা যায়, ১৯৫০ সালে বিশ্বের জনসংখ্যা ছিল আড়াই শ কোটি। মাত্র ৭০ বছরে জনসংখ্যা এখন ৭৭০ কোটি।

১৯৫০ সালেও বিশ্বের সবচেয়ে জনবহুল দেশ ছিল চীন। দেশটির জনসংখ্যা ছিল ৫৫ কোটি ৪৪ লাখ। এর পরে ছিল ভারত। এর জনসংখ্যা ছিল ৩৭ কোটি ৬৩ লাখ। এ ছাড়া তালিকায় প্রথম ১০ দেশের মধ্যে রয়েছে যুক্তরাষ্ট্র (১৫ কোটি), রাশিয়া (১০ কোটি), জাপান (৮ কোটি), জার্মানি (প্রায় ৭ কোটি), ইন্দোনেশিয়া (৬ কোটি ৯৫ লাখ), ব্রাজিল (৫ কোটি), যুক্তরাজ্য (৫ কোটি), ইতালি (৪ কোটি ৬৬ লাখ)। ১৯৬১ সালে প্রথম ১০টি দেশের মধ্যে বাংলাদেশকে দেখা যায়। তখন এর জনসংখ্যা ছিল ৫ কোটি। ১৯৭৯ সালে বাংলাদেশ বিশ্বের জনসংখ্যার দিক দিয়ে অষ্টম অবস্থানে চলে আসে।

২০২০ সালে এসে বিশ্বের সবচেয়ে জনবহুল দেশের শীর্ষে বহাল রয়েছে চীন। এর জনসংখ্যা ৭০ বছরে ৮৮ কোটি বেড়ে হয়েছে ১৪৩ কোটি। ভারতের জনসংখ্যা বেড়েছে ১০০ কোটি। এখন দেশটির জনসংখ্যা ১৩৭ কোটি। বাংলাদেশের জনসংখ্যা ১১ কোটি বেড়ে এখন ১৬ কোটি।

১০০ কোটিতে যখন থেকে বিশ্ব

বিশ্বের জনসংখ্যা ১০০ কোটির মাইলফলকে পোছায় ১৮০৪ সালে। এরপর ২০০ কোটিতে বাড়তে সময় নেয় ১২৩ বছর। অর্থাৎ ১৯২৭ সালে ২০০ কোটি জনসংখ্যা হয় বিশ্বের। এরপর মাত্র ৩৩ বছরে অর্থাৎ ১৯৬০ সালে ৩০০ কোটিতে পৌঁছে যায় বিশ্বের জনসংখ্যা। মাত্র ১৪ বছরে (১৯৭৪ সালে) ছাড়ায় ৪০০ কোটি। এরপর আরও দ্রুত বাড়তে, মাত্র ১৩ বছরে (১৯৮৭ সালে) পৌঁছে যায় ৫০০ কোটিতে। ১২ বছরের (১৯৯৯ সালে) মধ্যে ৬০০ কোটিতে। সাত শ কোটির মাইল ফলকে পৌঁছায় ২০১১ সালে। অর্থাৎ ১২ বছরের মধ্যে। আর এখন জনসংখ্যা ৭৭০ কোটি। এই ৭০ কোটি বেড়েছে মাত্র ৯ বছরে। জাতিসংঘের পূর্বাভাস অনুযায়ী ২০২৪ সালে ৮০০ কোটিতে পৌঁছে যাবে বিশ্বের জনসংখ্যা।

জনসংখ্যা বৃদ্ধির হার
বর্তমানে জনসংখ্যা বৃদ্ধির হার সবচেয়ে বেশি বাহরাইনের। এ ছাড়া দ্রুত বর্ধনশীল জনসংখ্যার দেশের তালিকায় আছে নাইজার, গায়ানা, ওমান, উগান্ডা, মালদ্বীপ, অ্যাঙ্গোলা, কঙ্গো, বুরুন্ডি ও চাদ।

জনসংখ্যা কমছে যে দেশগুলোর

গত পাঁচ বছরে জনসংখ্যা হ্রাস পেয়ে যে দেশগুলো সেগুলো হলো—পাঁচ বছর ধরে লিথুয়ানিয়া জনসংখ্যা বৃদ্ধির হার মাইনাস ১.৪৮ শতাংশ। লাটভিয়ার মাইনাস ১ দশমিক ১৫ শতাংশ, ভেনিজুয়েলার মাইনাস ১ দশমিক ১৩ শতাংশ। , বসনিয়া এবং হার্জেগোভিনার মাইনাস শূন্য দশমিক ৮৯ শতাংশ এবং বুলগেরিয়া মাইনাস শূন্য দশমিক ৭১ শতাংশ।