করোনাকালে মানবিক সহায়তা আশা জাগিয়েছে তাঁদের

কোকা-কোলা ফাউন্ডেশন ও কেয়ার বাংলাদেশের দেওয়া খাদ্যসহায়তা স্বস্তি ফিরেছে বিল্লালের জীবনে। ছবি: সংগৃহীত
কোকা-কোলা ফাউন্ডেশন ও কেয়ার বাংলাদেশের দেওয়া খাদ্যসহায়তা স্বস্তি ফিরেছে বিল্লালের জীবনে। ছবি: সংগৃহীত

কোকা-কোলা ফাউন্ডেশন ও কেয়ার বাংলাদেশের দেওয়া খাদ্যসহায়তায় স্বস্তি ফিরেছে অনেকের জীবনে। তেমনই একজন বিল্লাল হোসেন (৩৩)। শৈশব না পেরোতেই টাইফয়েডে আক্রান্ত হয়ে দুই পা হারান তিনি। বিল্লাল রাজধানীর মিরপুর এলাকার বস্তিতে থাকেন। ভাড়ায় অটোরিকশা চালিয়ে ভালোই চলে যাচ্ছিল তার পাঁচজনের সংসার। তবে করোনা মহামারির কারণে উপার্জন কমে যাওয়ায় বিপাকে তিনি। বউ, সন্তানসহ তাঁকে দিন কাটাতে হচ্ছিল অর্ধাহারে, অনাহারে।

এ পরিস্থিতিতে কোকা-কোলা ফাউন্ডেশন ও কেয়ার বাংলাদেশের দেওয়া খাদ্যসহায়তা কিছুটা হলেও স্বস্তি ফেরে বিল্লালের জীবনে। তিনি বলেন, ‘এই বিপদের সময় আমাদের পাশে দাঁড়িয়ে কোকা-কোলা ও কেয়ার যে বড় উপকারটা করেছে, আমরা কোনো দিনই তা ভুলব না।’

কোকা–কোলা ও কেয়ার বাংলাদেশের পক্ষ থেকে পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়। এতে বলা হয়, দৈনিক খেটে খাওয়া মানুষসহ ঋণ করে যাঁরা স্বল্প পুঁজির ছোটখাটো একটা ব্যবসা দাঁড় করানোর চেষ্টা করছিলেন বা অল্প বেতনের চাকরির টাকায় কোনোমতে সংসার চালাচ্ছিলেন, করোনার কারণে উপার্জন হারিয়ে তাঁদের অনেকেই আজ দিশেহারা। এমন মানুষদের চাল-ডালসহ এক মাসেরও বেশি দিনের প্রয়োজনীয় খাদ্যসহায়তা দিয়েছে কোকা-কোলা ফাউন্ডেশন ও কেয়ার বাংলাদেশ। গত মে মাসে এমন ৫০ হাজারেরও বেশি মানুষের মাঝে এক মাসের খাদ্যসামগ্রী বিতরণ করে তারা। আর যা পেয়েই উপকৃত হয়েছেন বিল্লাল।

এমনই একজন দীপা হাওলাদার। পাঁচজনের সংসারে তিনিই ছিলেন একমাত্র উপার্জনকারী। দিন-রাত সেলাই মেশিন চালিয়ে কোনোমতে সবার মুখে অন্ন তুলে দিচ্ছিলেন দীপা। কিন্তু করোনা মহামারির কারণে বর্তমানে তাঁর হাতে কোনো কাজ নেই বললেই চলে। তিনি বলেন, ‘আমাদের অবস্থা জানতে পেরে চাল-ডালসহ এক মাসেরও বেশি দিনের প্রয়োজনীয় খাদ্যসহায়তা দিয়েছে কোকা-কোলা ফাউন্ডেশন ও কেয়ার বাংলাদেশ। খাবার ছাড়াও মাস্ক, সাবান, ডিটারজেন্ট, স্যানিটারি ন্যাপকিনসহ জরুরি স্বাস্থ্যসামগ্রী পেয়েছি, যেগুলো আমাদের কল্পনাতেও ছিল না। কঠিন বিপর্যয়ের এই সময় সহানুভূতির হাত বাড়িয়ে দেওয়ার জন্য আমি তাদের কাছে চির কৃতজ্ঞ।’

গাজীপুরের একটি পোশাক কারখানার সুপারভাইজার হিসেবে কর্মরত মো. সাগর হোসেন (৩৫) জানান করোনার কারণে বেতন হঠাৎ অর্ধেকে নেমে আসায় বউ-ছেলে-মেয়ে নিয়ে ভীষণ বিপাকে পড়েন তিনি। এমন পরিস্থিতিতে দ্য কোকা-কোলা ফাউন্ডেশনের অর্থায়নে চালু ‘কোভিড-১৯ রেসপন্স প্রোজেক্ট ২০২০’–এর ত্রাণ সহায়তা কিছুটা হলেও স্বস্তি এনে দিয়েছে সাগরের জীবনে।