চীনের চিকিৎসা সরঞ্জাম রপ্তানি বেড়েছে ৪৬ শতাংশ

আগের তুলনায় জুনে চীনের রপ্তানি বেড়েছে শূন্য দশমিক ৫ শতাংশ। ছবি: রয়টার্স
আগের তুলনায় জুনে চীনের রপ্তানি বেড়েছে শূন্য দশমিক ৫ শতাংশ। ছবি: রয়টার্স

পূর্বাভাসে চীনের আমদানি–রপ্তানি কমার কথা বলা হলেও জুনে ডলারে উভয়ই বেড়েছে দেশটির। করোনা প্রতিরোধে নেওয়া বিধিনিষেধ শিথিল হওয়ায় এবং অনেক দেশের অর্থনীতি খুলে যাওয়ায় চীনের আমদানি–রপ্তানি বেড়েছে বলে মনে করছেন বিশ্লেষকেরা। সিএনবিসির এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়। এ ছাড়া গত ছয় মাসে চিকিৎসা সরঞ্জাম রপ্তানি ব্যাপক বেড়েছে চীনের।


শুল্ক তথ্য অনুয়ায়ী, এক বছরের আগের তুলনায় রপ্তানি বেড়েছে শূন্য দশমিক ৫ শতাংশ এবং একই সময়ের তুলনায় আমদানি বেড়েছে ২ দশমিক ৭ শতাংশ।


মে মাসে চীনের রপ্তানি কমে ৩ দশমিক ৩ শতাংশ। রয়টার্সের জরিপে পূর্বাভাস দেওয়া জুনে কিছুটা উন্নতি হবে অবস্থার। সংকোচন হবে দেড় শতাংশ। অন্যদিকে জরিপে পূর্বাভাস দেওয়া হয়, গত বছরের তুলনায় আমদানি ১০ শতাংশ কমবে। কারণ মে মাসে আমদানি কমেছিল ১৬ দশমিক ৭ শতাংশ। তবে সেসব পূর্বাভাসকে নাকচ করে আমদানি রপ্তানি দুটোই বেড়েছে। মূলত অপরিশোধিত তেল ক্রয়ের হার অনেক বেড়েছে চীনের।


ডলারের আগে চীনা মুদ্রা ইউয়ানে আমদানি রপ্তানির তথ্য প্রকাশ করে সরকার। এতে দেখা যায়, ইউয়ানে রপ্তানি আগের বছরের একই সময়ের তুলনায় জুনে বেড়েছে ৪ দশমিক ৩ শতাংশ। অন্যদিকে আমদানি বেড়েছে ৬ দশমিক ২ শতাংশ। জুনে বেড়েছে যুক্তরাষ্ট্র ও চীনের মধ্যকার বাণিজ্য। এ মাসে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে চীনের বাণিজ্য উদ্বৃত্ত বৃদ্ধি পেয়েছে ২৯ দশমিক ৪১ বিলিয়ন ডলার। মে মাসে যা ছিল ২৭ দশমিক ৮৯ ডলার।
এশিয়া ও বিশ্বের অন্যান্য দেশের অর্থনীতিগুলি ধীরে ধীরে আবার খুলতে শুরু করেছে। চায়না পোর্টস অ্যান্ড হারবারস অ্যাসোসিয়েশনের বরাত দিয়ে রয়টার্স জানায়, মে মাসের মাঝামাঝি থেকে ইউরোপীয় দেশগুলো এবং যুক্তরাষ্ট্র লকডাউন সহজ করায় চীনা বন্দরে আটকে থাকা কিছু পণ্য খালাস বেড়েছে। তবে জুনের এই বৃদ্ধি ধরে রাখা সম্ভব হবে কি না, তা নিয়ে যথেষ্ট শঙ্কার তৈরি হয়েছে। যুক্তরাষ্ট্র, অস্ট্রেলিয়া ও দক্ষিণ কোরিয়ার মতো দেশগুলোতে আবার বেড়েছে করোনার প্রাদুর্ভাব। প্রতিরোধে নতুন করে কিছু বিধিনিষেধ আরোপ করা হয়েছে।
এই বছরের ছয় মাসে চিকিৎসায় ব্যবহৃত পণ্যের রপ্তানি সবচেয়ে বেশি বেড়েছে চীনের। করোনার সংক্রমণ প্রতিরোধে চীন থেকে পণ্য সংগ্রহ করেছে বিশ্বের বহু দেশ। পারসোনাল প্রোটেকটিভ ইকুইপমেন্ট বা ব্যক্তিগত সুরক্ষা সরঞ্জামের (পিপিই) রপ্তানি বেড়েছে ৩২ দশমিক ৪ শতাংশ। ওষুধ রপ্তানি বেড়েছে ২৩ দশমিক ৬ শতাংশ এবং চিকিৎসা সরঞ্জামের রপ্তানি বেড়েছে ৪৬ দশমিক ৪ শতাংশ।