হুয়াওয়ের বিরুদ্ধে যুক্তরাজ্যের 'ভিত্তিহীন' পদক্ষেপের 'তীব্র প্রতিবাদ' চীনের

ছবি রয়টার্স
ছবি রয়টার্স

যুক্তরাজ্যের হুয়াওয়ের ৫-জি পণ্য নিষিদ্ধ করার ‘ভিত্তিহীন’ পদক্ষেপের ‘তীব্র প্রতিবাদ’ জানিয়েছে চীন। চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র হুয়া চুনাইং বলেছেন, বেইজিং চীনা এই কোম্পানির ‘বৈধ স্বার্থ’ রক্ষার জন্য ‘ব্যবস্থা নেবে’। অন্যদিকে যুক্তরাজ্যের এই পদক্ষেপকে স্বাগত জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। এই কোম্পানির বিরুদ্ধে নতুন বিধিনিষেধও ঘোষণা করেছে তারা। বিবিসি অনলাইনের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়।

মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মাইক পম্পেও বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্র হুয়াওয়ের কিছু কর্মীর প্রবেশাধিকার রোধ করবে। এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় হুয়াওয়ের মতো চীনা প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠানের কিছু কর্মীর ওপর ভিসা বিধিনিষেধ আরোপ করবে, যারা বিশ্বব্যাপী মানবাধিকার লঙ্ঘন ও লঙ্ঘনে জড়িত সরকারগুলোকে পণ্য সহায়তা দিচ্ছে। পম্পেও বলেন, ‘যুক্তরাজ্য ২০২৭ সাল পর্যন্ত মোবাইল নেটওয়ার্ক দিয়েছিল। এখন হুয়াওয়ের ৫-জি সরঞ্জাম অপসারণ করবে। দ্রুততা সব সময়ই ভালো।’

এর আগে ট্রাম্প বুঝিয়েছেন যে যুক্তরাজ্যের এই পদক্ষেপ তাঁরই ব্যক্তিগত কৃতিত্ব। তিনি বলেন, ‘আমরা অনেক দেশকে, অনেক দেশ এবং আমি নিজেই বেশির ভাগ ক্ষেত্রে হুয়াওয়ে ব্যবহার না করার বিষয়টি নিশ্চিত করেছি। কারণ আমরা মনে করি, এর ব্যবহারে সুরক্ষা ঝুঁকি আছে। চীনের নতুন জাতীয় নিরাপত্তা আইনের প্রতিক্রিয়ায় হংকংয়ের জন্য অগ্রাধিকারমূলক আচরণের সমাপ্তির নির্বাহী আদেশে ঘোষণা দিয়ে বেইজিংয়ের ওপর চাপ বাড়িয়েছেন ট্রাম্প। অবশ্য অভিযোগ অস্বীকার করে হুয়াওয়ে বারবার বলেছে তারা কোনো দেশের ক্ষতি করবে না।’

যুক্তরাজ্যের মোবাইল ফোন সেবাদাতা প্রতিষ্ঠানগুলো আগামী বছর থেকে চীনা কোম্পানি হুয়াওয়ের আর কোনো ৫-জি পণ্য কিনতে পারবে না। এ ছাড়া ২০২৭ সালের মধ্যেই তাদের নেটওয়ার্ক থেকে হুয়াওয়ের ৫-জি যন্ত্রাংশ সরিয়ে ফেলার নির্দেশ দিয়েছে ব্রিটিশ সরকার। সোমবার এ নির্দেশনা আসে। যুক্তরাজ্যে চীনের রাষ্ট্রদূত বলেন, এই সিদ্ধান্ত কেবল হতাশাজনকই নয়, মনোবল ভেঙে ফেলার মতো। হুয়াওয়ের সঙ্গে যেভাবে আচরণ করা হচ্ছে, তা অন্য চীনা ব্যবসাগুলো খুব নিবিড়ভাবে অনুসরণ করবে।

অবশ্য চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় প্রতিক্রিয়ায় বেশ শক্ত ভাষাই ব্যবহার করেছে। যুক্তরাজ্য যুক্তরাষ্ট্রকে সহযোগিতা করার অজুহাত হিসেবে ভিত্তিহীন অভিযোগ করেছে। যুক্তরাজ্য প্রতিশ্রুতি লঙ্ঘন করছে।