ছয় মাস পর খুলে গেল চীনের সিনেমা হলগুলো

করোনার কারণে ব্যাপক ক্ষতির মুখে চীনের চলচ্চিত্র শিল্প। জানুয়ারিতে বন্ধ করে দেওয়া হয় সিনেমা হলগুলো। ছবি: রয়টার্স
করোনার কারণে ব্যাপক ক্ষতির মুখে চীনের চলচ্চিত্র শিল্প। জানুয়ারিতে বন্ধ করে দেওয়া হয় সিনেমা হলগুলো। ছবি: রয়টার্স

ছয় মাস পর খুলছে চীনের সিনেমা হলগুলো। করোনার সংক্রমণ ঠেকাতে জারি করা লকডাউনের আওতায় ছয় মাস আগে বন্ধ করা হয়েছিল সিনেমা হলগুলো। আজ সোমবার থেকে কম ঝুঁকিপূর্ণ এলাকার সিনেমা হলগুলো খুলে যাচ্ছে।

চীনের ফিল্ম প্রশাসন বলছে, স্বল্প ঝুঁকিপূর্ণ এলাকগুলোতে আজ থেকে আবার দরজা খুলছে সিনেমা হলগুলো। বিবিসি অনলাইনের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়।

করোনার কারণে ব্যাপক ক্ষতির মুখে পড়েছে চীনের চলচ্চিত্র শিল্প। জানুয়ারিতে বন্ধ করে দেওয়া হয় সিনেমা হলগুলো। এত দিন ব্যবসা চালিয়ে যেতে না পেরে অনেকে ইতিমধ্যে এই ব্যবসা থেকে বেরিয়ে এসেছেন।

তবে পুনরায় খোলার ক্ষেত্রে কঠোর নিয়ম জারি করা হয়েছে। হলগুলোতে ধারণ ক্ষমতার ৩০ শতাংশ দর্শনার্থী নেওয়া যাবে। এ ছাড়া আগে যত সিনেমা প্রদর্শন হতো. এর ৫০ শতাংশ প্রদর্শন করা যাবে এখন। এ ছাড়া যাঁরা সিনেমা দেখতে আসবেন, তাঁদের শরীরের তাপমাত্রা পরীক্ষা করে নিতে হবে। তাঁরা যেন পুরোটা সময় মাস্ক পরা থাকেন, তা নিশ্চিত করতে হবে। টিকিট অবশ্যই অনলাইনে কিনতে হবে এবং সবাইকে কমপক্ষে এক মিটার দূরত্ব রেখে বসতে হবে। বিধিনিষেধের আওতায় সিনেমা হলের ভেতরে কোনো খাবার বা পানীয় পান করতে দেওয়া হবে না। এটি একটি বিশেষত নতুন ধাক্কা, কারণ দীর্ঘকাল ধরেই এটি এই শিল্পের আয়ের একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ হয়ে দাঁড়িয়েছিল। 

চলচ্চিত্রের জন্য বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম বাজার হলো চীন। গত বছর দেশটির বক্স অফিসগুলো ৯২০ কোটি ডলারের ব্যবসা করে। তবে করোনার কারণে এ শিল্পে বিপর্যয় নেমে আসে। সেই সঙ্গে হলিউডের সিনেমা মুক্তি বাতিলের সিদ্ধান্ত নেওয়ায় আঘাত আরও বড় হয়েছে।


চলতি মাসের শুরুর দিকে চীনের বৃহত্তম সিনেমার মালিক ওয়ান্ডা ফিল্ম জানিয়েছে, প্রথম ছয় মাসে লোকসানের আশঙ্কা করছে তারা। দেশজুড়ে ৬০০টি সিনেমা হল রয়েছে ওয়ান্ডার।