ইউরোপে করোনা-পরবর্তী পুনরুদ্ধার প্যাকেজ নিয়ে চুক্তি

টানা চার দিন ধরে আলোচনার পর অবশেষে করোনাভাইরাস পরবর্তী বিশাল পুনরুদ্ধার প্যাকেজ নিয়ে একটি চুক্তিতে পৌঁছেছেন ইউরোপীয় ইউনিয়নের নেতারা। ছবি: রয়টার্স
টানা চার দিন ধরে আলোচনার পর অবশেষে করোনাভাইরাস পরবর্তী বিশাল পুনরুদ্ধার প্যাকেজ নিয়ে একটি চুক্তিতে পৌঁছেছেন ইউরোপীয় ইউনিয়নের নেতারা। ছবি: রয়টার্স

টানা চার দিন ধরে আলোচনার পর অবশেষে করোনা–পরবর্তী বিশাল পুনরুদ্ধার প্যাকেজ নিয়ে একটি চুক্তিতে পৌঁছেছেন ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) নেতারা। আজ মঙ্গলবার সম্মেলনে সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত হয়েছে যে করোনাভাইরাস মোকাবিলায় ইউরোপের দেশগুলোর জন্য ৭৫ হাজার কোটি ইউরো বরাদ্দ দেওয়া হবে। সম্মেলনের চেয়ারম্যান চার্লস মিশেল বলেন, এটি ইউরোপের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ মুহূর্ত। বিবিসি অনলাইনের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়।

গত শুক্রবার থেকে শুরু হওয়া এই আলোচনায়, সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত দেশ এবং ব্যয় নিয়ে ইউরোপীয় ইউনিয়নের সদস্যদের মধ্যে বিভক্তি দেখা দেয়। চুক্তির আওতায় করোনায় সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত দেশকে ৩৯ হাজার কোটি ইউরো অনুদান দেওয়া হবে। ধারণা করা হচ্ছে, এই অনুদানের বড় অংশ পাবে ইতালি ও স্পেন। ব্লকের সদস্যদের জন্য স্বল্প সুদে ঋণের আওতায় বাকি ৩৬ হাজার কোটি ইউরো দেওয়া হবে।


শুক্রবার সকালে ব্রাসেলসে শুরু হওয়া এই শীর্ষ সম্মেলন ৯০ ঘণ্টারও বেশি সময় ধরে হয়েছে। এর আগে ফ্রান্সের নিস শহরে ২০০০ সালে ইইউর দীর্ঘতম সম্মেলন হয়, যা পাঁচ দিন ধরে স্থায়ী হয়েছিল। এরপর এটাই সবচেয়ে দীর্ঘ সম্মেলন। প্যাকেজটি নিয়ে এখন জোটের সদস্য দেশগুলোর মধ্যে প্রযুক্তিগত আলোচনা হবে। পরে ইউরোপীয় সংসদে এটির অনুমোদনের প্রয়োজন হবে।

আজ মঙ্গলবার স্থানীয় সময় সকালে ২৭ নেতা চুক্তিতে পৌঁছানোর পরে সম্মেলনের চেয়ারম্যান টুইট করে বিষয়টি জানান। টানা চার দিন ধরে ইউরোপের নেতারা গত পাঁচ মাসের হিসাব মেলাতে একাধিকবার বাগ্‌বিতণ্ডায় জড়িয়েছেন। কিছু নেতা সমালোচনাকে পাশ কাটিয়ে বাজেট পরিকল্পনা নিয়ে এগোতে চাইলেও অন্যদের কারণে তা সম্ভব হয়নি। চার্লস মিশেল বারবার ইউরোপের সংহতি ও বিশ্বাস ধরে রাখার আহ্বান জানান। অবিশ্বাসের কারণে ইউরোপ আরও দুর্বল হয়ে পড়বে বলে তিনি বারবার বলেন। কিন্তু নেতাদের মধ্যে এ নিয়ে কোনো প্রতিক্রিয়াই সৃষ্টি হয়নি। তবে অবশেষে একটি চুক্তিতে পৌঁছাতে পেরেছেন তাঁরা।