ধনীর তালিকায় এক মাসেই দশম থেকে পঞ্চম মুকেশ আম্বানি

মুকেশ আম্বানি। ছবি: রয়টার্স
মুকেশ আম্বানি। ছবি: রয়টার্স

মাত্র ১২ দিনের মধ্যে বিশ্বের ধনীর তালিকায় আরও দুই ধাপ ওপরে উঠে এলেন ভারতের শীর্ষ শিল্পগোষ্ঠী রিলায়েন্স ইন্ডাস্ট্রিজের চেয়ারম্যান ও ব্যবস্থাপনা পরিচালক মুকেশ আম্বানি। করোনার থাবায় সারা বিশ্বের অর্থনীতি টালমাটাল হলেও পয় যেন ভর করেছে মুকেশ আম্বানির ওপর। তর তর করে এগিয়ে চলেছেন তিনি।

বুধবার মার্কিন সাময়িকী ‘ফোর্বস’-এর রিয়েল টাইম বিলিয়নিয়ারস লিস্টে ৫ নম্বরে উঠে এসেছেন মুকেশ আম্বানি। এখন সম্পদের দিক দিয়ে তাঁর ওপরে আছেন কেবল আমাজনের প্রতিষ্ঠাতা জেফ বেজোস, মাইক্রোসফটের বিল গেটস, লুইস ভুইটনের চেয়ারপারসন বার্নার্ড আরনল্ট ও ফেসবুকের সহপ্রতিষ্ঠাতা মার্ক জাকারবার্গ।

২০ জুন এশিয়ার প্রথম শিল্পপতি হিসেবে বিশ্বের ১০ জন ধনীর তালিকায় জায়গা করে নিয়েছিলেন মুকেশ। ২০ দিনের মধ্যে গত ১০ জুলাই বিশ্বের সপ্তম ধনী ব্যক্তি হয়ে ওঠেন রিলায়েন্স ইন্ডাস্ট্রিজের কর্ণধার। বার্কশায়ার হ্যাথাওয়ের সিইও ওয়ারেন বাফেটকে পেছনে ফেলে এই স্থান দখল করেন তিনি। তাঁর মোট সম্পদের পরিমাণ ছিল ওই দিন ৭ হাজার ১০০ কোটি ডলার। এর মধ্যে মাত্র ১২ দিন পেরিয়েছে। গতকাল রিলায়েন্স ইন্ডাস্ট্রিজের শেয়ারের মূল্য রেকর্ড বেড়ে ২ হাজার ১০ রুপিতে পৌঁছায়। এতে মুকেশ আম্বানির সম্পত্তির পরিমাণ বেড়েছে ৪ দশমিক ৪৯ শতাংশ বা ৩২০ বিলিয়ন ডলার। উঠে এসেছেন ধনীর তালিকায় পঞ্চম স্থানে। আম্বানির মোট সম্পদের মূল্য দাঁড়িয়েছে এখন ৭ হাজার ৫১০ কোটি ডলার।

‘ফোর্বস’-এর এই তালিকার শীর্ষে থাকা জেফ বেজোসের মোট সম্পদের পরিমাণ ১৮ হাজার ৩৬০ কোটি ডলার। মাইক্রোসফটের বিল গেটস রয়েছেন দ্বিতীয় অবস্থানে। সম্পদের পরিমাণ ১১ হাজার ৩৮০ কোটি ডলার। আরনল্ট পরিবারের সম্পত্তি ১১ হাজার ২১০ কোটি ডলারের। ফেসবুকের প্রতিষ্ঠাতা মার্ক জাকারবার্গ এ তালিকায় চতুর্থ। তাঁর সম্পদের পরিমাণ ৮ হাজার ৮৩০ কোটি ডলার। মুকেশের নিচে থাকা বার্কশায়ার হ্যাথাওয়ের কর্ণধার ওয়ারেন বাফেটের সম্পত্তির পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ৭ হাজার ২৬০ কোটি ডলার। এখানে লক্ষণীয়, উল্লেখযোগ্যভাবে প্রথম থেকে চতুর্থ স্থানে থাকা সবারই সম্পত্তির পরিমাণ কমেছে শূন্য দশমিক ২০ শতাংশ থেকে ১ দশমিক ৭২ শতাংশ।

করোনার সংক্রমণের আবহে গোটা বিশ্বের অর্থনীতি যেখানে টালমাটাল, এর মধ্যেও পর পর বিপুল বিনিয়োগ এসেছে মুকেশের সংস্থায়। রিলায়েন্সের জিয়ো প্ল্যাটফর্মে গুগল, ফেসবুক, ইনটেল, সিলভার লেক, ভিস্তা, কেকেআরের মতো সংস্থা বিনিয়োগ করেছে। সব মিলিয়ে গত আড়াই-তিন মাসে জিয়োতে দেড় লাখ কোটি রূপিরও বেশি বিনিয়োগ করেছে বিশ্বের বিগ জায়ান্টরা।