রপ্তানি মূল্য দেশে আনা যাবে ২১০ দিন পর্যন্ত

করোনাভাইরাসের কারণে রপ্তানি মূল্য দেশে আনার সময় আবারও বাড়িয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। একই সঙ্গে আমদানি পণ্য দেশের আনতেও সময়সীমা বাড়ানো হয়েছে। এ ছাড়া বৈদেশিক বাণিজ্য সংক্রান্ত বিভিন্ন শিথিলতার সময়সীমা আরও ৬ মাস বাড়িয়ে আগামী বছরের মার্চ পর্যন্ত করা হয়েছে। আজ বৃহস্পতিবার এ সংক্রান্ত একটি প্রজ্ঞাপন জারি করে বাংলাদেশ ব্যাংক।

বিদ্যমান নিয়মে, রপ্তানি পণ্য জাহাজিকরণের পর ১২০ দিনের মধ্যে অর্থ দেশে আনতে হয়। কারও অর্থ না এলে তিনি নগদ সহায়তা ও অন্য ব্যাংকিং সুবিধা পান না। তবে করোনাভাইরাসের কারণে গত ১৯ মার্চের এক নির্দেশনায় এ সময়সীমা বাড়িয়ে ১৮০ দিন করা হয়। বৈশ্বিক মহামারি বিবেচনায় এখন তা আরও বাড়িয়ে ২১০ দিন করা হয়েছে।

কেন্দ্রীয় ব্যাংক কর্মকর্তারা বলছেন, এখনো সব দেশে পণ্য বিক্রি পুরোপুরি চালু হয়নি। ফলে পণ্যের মূল্যও সব দেশ সময়মতো পরিশোধ করছে না। এ কারণে সময় বাড়ানো হয়েছে।

এদিকে আগের নির্দেশনার মাধ্যমে আমদানি পণ্য দেশের আনার সময়সীমা ১২০দিন থেকে বাড়িয়ে ১৮০ দিন করা হয়েছিল। একই সাথে মূলধনী যন্ত্রপাতি ও বিদ্যুৎ খাতে যন্ত্রপাতি আমদানিতে স্বল্প মেয়াদি বিদেশি ঋণ পরিশোধের সময়সীমা ১৮০ দিন বৃদ্ধি করে এক বছর ও কাঁচামাল ও অন্যান্য সরঞ্জামের ঋণ পরিশোধে দেড় বছর নির্ধারণ করা হয়। পাশাপাশি রপ্তানি উন্নয়ন তহবিল বা ইডিএফের ঋণ পরিশোধের সময় সীমা তিন মাস বাড়ানো হয়। বর্তমানে ইডিএফ থেকে ৬ মাস মেয়াদে ঋণ নেওয়া যায়। পরবর্তীতে সময় বাড়িয়ে ৯ মাস করা যায়।

এসব নির্দেশনা আগামী ৩০ সেপ্টেম্বরের পরিবর্তে ৩১ মার্চ পর্যন্ত বলবৎ থাকবে থাকবে বলে বলা হয়েছে। একই সঙ্গে ১০ শতাংশ কম রপ্তানি মূল্য দেশে আনারও সুযোগ বহাল থাকবে বলে জানানো হয়।