ইউরোজোনে ব্যবসা বাড়ছে, তবে শঙ্কা কাটেনি

জুনে ইউরোজোনের ব্যবসায়িক কার্যক্রম আবার ঘুরে দাঁড়িয়েছে। ছবি: রয়টার্স
জুনে ইউরোজোনের ব্যবসায়িক কার্যক্রম আবার ঘুরে দাঁড়িয়েছে। ছবি: রয়টার্স

চলতি জুলাই মাসে ইউরোজোনের ব্যবসায়িক কার্যক্রম আবার ঘুরে দাঁড়িয়েছে। প্রাথমিক তথ্য অনুসারে দেখা গেছে, জুনে অনেক মানুষ কাজে ফিরেছেন। করোনাভাইরাস প্রতিরোধে নেওয়া কঠোর লকডাউন এখন অনেক সহজ করে দেওয়া হয়েছে ইউরোজোনে, তাই ব্যবসায়িক কার্যক্রমে আবার প্রাণ ফিরে এসেছে। সিএনবিসির এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়।

জুনে এই অঞ্চলের পারচেজিং ম্যানেজার ইনডেক্স (পিএমআই) দাঁড়িয়েছে ৪৭ দশমিক ৫ পয়েন্টে। মে মাসে যা ছিল ৩১ দশমিক ৯ পয়েন্ট। পিএমআই ৫০–এর নিচে থাকলে অর্থনৈতিক সংকোচন নির্দেশ করে। জুলাইতে পিএমআই ৫৪ দশমিক ৮ পয়েন্টে যাবে বলে আশা করা হচ্ছে। গত ফেব্রুয়ারির পর এই প্রথম এমন অবস্থানে এল পিএমআই। ফেব্রুয়ারির পর থেকেই করোনার কারণে অবস্থা খারাপ হতে থাকে।

লন্ডনভিত্তিক ব্যবসাসংক্রান্ত তথ্য সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠান আইএইচএস মার্কিটের প্রধান ব্যবসায়িক অর্থনীতিবিদ ক্রিস উইলিয়ামসন এক বিবৃতিতে বলেন, বছরের তৃতীয় প্রান্তিকে এসে ইউরো অঞ্চলের কোম্পানিগুলো খুবই উদ্দীপনা নিয়ে কাজ শুরু করেছে। মূলত, লকডাউন শিথিল করায় কর্মচাঞ্চল্য ফিরে এসেছে। মানুষের মধ্যে চাহিদাও ফিরে এসেছে, যা চাকরি হারানোর গতি রোধে সহায়তা করবে।

সবচেয়ে বেশি ব্যবসায়িক গতি বেড়েছে ফ্রান্সে। গত আড়াই বছরের মধ্যে সেবা ও উৎপাদন খাতে সবচেয়ে ভালো প্রবৃদ্ধি হয়েছে এ মাসে। এই দুই খাত মিলিয়ে তৈরি কম্পোজিট আউটপুট সূচক দাঁড়িয়েছে ৫৭ দশমিক ৬ এ। গত ৩০ মাসের মধ্যে এটি সর্বোচ্চ।

তবে এখনো এ অঞ্চলে অর্থনীতি পুনরুদ্ধারের হাল কী হবে, তা নিয়ে আশঙ্কা রয়েছে। ইউরো অঞ্চলের অনেক দেশ তাদের অর্থনীতি পুনরায় চালু করেছে, তবে এখনো সামাজিক দূরত্বের ব্যবস্থা বজায় রয়েছে। অনেক কোম্পানি করোনার কারণে তাদের সক্ষমতার কম কাজ করছে। এর ফলে উদ্বেগ রয়েছে যে আগামী মাসগুলোয় বেকারত্বের মাত্রা আরও বাড়বে; যেহেতু কোম্পানিগুলো কাজের ক্ষেত্রে কোভিড–পূর্ববর্তী অবস্থায় ফিরতে পারেনি। এ ছাড়া কোম্পানিগুলোকে কর্মীদের বেতন দেওয়ার জন্য যে সরকারি সহায়তা দেওয়া হচ্ছে, তাও হয়তো বাতিল করা হবে। তাই এ অঞ্চলের প্রবৃদ্ধি নিয়ে এখনো অনিশ্চয়তা রয়েই গেছে।