স্বয়ংক্রিয় চালানের পরীক্ষামূলক যাত্রা শুরু এ মাসেই

চলতি আগস্ট মাসেই অটোমেটেড চালান সিস্টেম বা স্বয়ংক্রিয় চালান পদ্ধতির পরীক্ষামূলক যাত্রা শুরু হবে। এটি ‘এ চালান’ নামে পরিচিত। করদাতারা ঘরে বসেই ‘এ চালান’ তৈরি করতে পারবেন।

জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) সূত্রে জানা গেছে, আগামী সপ্তাহেই ঢাকার কর অঞ্চল-৪–এ পরীক্ষামূলকভাবে ‘এ চালান’ চালু করা হবে। আগামী ডিসেম্বর মাসের মধ্যে ঢাকার সব কর অঞ্চলে এই পদ্ধতি চালু হবে। 

জানা গেছে, ‘এ চালান’ ব্যবস্থাটি মূলত অর্থ মন্ত্রণালয়ের অর্থ বিভাগের অধীনে চালু হবে। চলতি মাসেই এটি আনুষ্ঠানিকভাবে উদ্বোধন করা হবে। 

করদাতারা করের টাকা পরিশোধে এই স্বয়ংক্রিয় চালান ব্যবস্থাটি ব্যবহার করবেন। এ পদ্ধতিটি পুরোপুরি চালু হলে করদাতা ঘরে বসেই নিজের ব্যাংক হিসাব থেকে ‘এ চালান’ তৈরি করতে পারবেন। যেসব করদাতার অনলাইন ব্যাংক সুবিধা আছে, তাঁরাই এটি ব্যবহার করতে পারবেন। ওই করদাতার সংশ্লিষ্ট ব্যাংক ওই ‘এ চালান’–এর গ্যারান্টর হবে। এ বিষয়ে একটি বারকোড থাকবে, যাতে যাবতীয় তথ্য থাকবে। কী উদ্দেশ্যে কোন সরকারি কোষাগারে করের টাকা পরিশোধ হচ্ছে—তা বারকোডের মাধ্যমে জানা যাবে। এর মানে, করদাতা ‘এ চালান’ তৈরির সঙ্গে সঙ্গে সরকারি কোষাগারে টাকা জমা হয়ে যাবে। 

বার্ষিক কর বিবরণী জমার সময় কর পরিশোধে এই স্বয়ংক্রিয় পদ্ধতিতে ‘এ চালান’ ব্যবহার করতে পারবেন করদাতারা। চলতি অর্থবছরের মধ্যে এটি পুরোপুরি চালু হবে। তবে আপাতত ব্যাংকে গিয়ে ‘এ চালান’ করতে হবে। 

এনবিআর সূত্রে জানা গেছে, ভুয়া চালান জমা ও রাজস্ব ফাঁকির প্রবণতা রোধে স্বয়ংক্রিয় এই চালান পদ্ধতি চালু করা হচ্ছে। অনেক সময় করের টাকা পরিশোধের সময় ভুয়া চালান জমা দেওয়া হয়। আবার চালানের টাকা সঠিকভাবে দ্রুততম সময়ে সরকারি কোষাগারে জমা পড়ে না। ফলে সরকার কাঙ্ক্ষিত রাজস্ব পায় না। 

অর্থ মন্ত্রণালয়ের একজন কর্মকর্তা প্রথম আলোকে জানান, স্বয়ংক্রিয় চালান পদ্ধতি চালু হলে আর্থিক খাতে স্বচ্ছতা ও শৃঙ্খলা বাড়বে। 

এদিকে বর্তমানে ঘরে বসে করদাতাদের জন্য অনলাইনে রিটার্ন জমার সুযোগ আছে। চার বছর আগে এটি চালু হলেও করদাতাদের মধ্যে তেমন আগ্রহ নেই। বছরে গড়ে ৬ হাজার করদাতা অনলাইনে রিটার্ন জমা দেন। 

বর্তমানে ৪২ লাখ কর শনাক্তকরণ নম্বরধারী (টিআইএন) আছেন। এর মধ্যে বছরে গড়ে ২০-২২ লাখ টিআইএনধারী রিটার্ন জমা দেন।