বাংলালিংকের ইন্টারনেট থেকে আয় বেড়েছে ৩০%

করোনাকালে তিন মাসে (এপ্রিল-জুন) মোবাইল অপারেটর বাংলালিংকের রাজস্ব আয় চার শতাংশের মতো কমেছে। এর কারণ হলো কথা বলা কমে যাওয়া। তবে অপারেটরটির গ্রাহকেরা ইন্টারনেট ব্যবহার বাড়িয়েছেন উল্লেখযোগ্য হারে। ফলে ইন্টারনেট ডেটা থেকে আয় বেড়েছে।

বাংলালিংক আলোচ্য সময়ে ১ হাজার ১১০ কোটি টাকা আয় করেছে। যা আগের বছরের একই সময়ের তুলনায় ৩ দশমিক ৯ শতাংশ কম। এ সময়ে অপারেটরটির ইন্টারনেট ডেটা বিক্রি থেকে আয় হয়েছে ২৯০ কোটি টাকা, যা বাড়তি ৩০ শতাংশ। বিপরীতে ভয়েস কল বা কথা বলা থেকে আয় কমেছে ১০ শতাংশের মতো।

আলোচ্য সময়ে বাংলালিংকের গ্রাহকসংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৩ কোটি ২১ লাখ। যা আগের বছরের একই সময়ের তুলনায় ৮ লাখ কম। বাংলালিংকের ইন্টারনেট ব্যবহারকারীর সংখ্যা বেড়েছে ৩ দশমিক ৩ শতাংশ। ইন্টারনেট গ্রাহক দাঁড়িয়েছে ২ কোটি ১৮ লাখে।

এসব তথ্য জানিয়ে বাংলালিংকের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) এরিক অস বলেছেন, করোনাভাইরাস, ঘূর্ণিঝড় ও বাড়তি কর আয় কমে যাওয়ার কারণ। এ সময়ে মানুষ ইন্টারনেট ব্যবহার করেছেন বেশি। তিনি বলেন, করোনাকালে সবারই আয় কমেছে। অন্য অপারেটরগুলোর সঙ্গে তুলনা করলে দেখা যাবে বাংলালিংক বরং ভালো করেছে।

আজ সোমবার আয়োজিত এক ভার্চ্যুয়াল সংবাদ সম্মেলনে কনফারেন্সে চলতি বছরের দ্বিতীয় প্রান্তিকের ফলাফল তুলে ধরে বাংলালিংক। এ সময় বাংলালিংকের চিফ করপোরেট অ্যান্ড রেগুলেটরি অ্যাফেয়ার্স অফিসার তাইমুর রহমান, চিফ ফিন্যান্সিয়াল অফিসার জেম ভেলিপাসাওগ্লু, সেলস অ্যান্ড ডিস্ট্রিবিউশন অফিসার জুবায়েদ উল ইসলাম প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

অনুষ্ঠানে জানানো হয়, ফোরজি নেটওয়ার্কে বাংলালিংক নিয়মিত বিনিয়োগ করে যাচ্ছে। উন্নত ও দেশব্যাপী সম্প্রসারিত এই নেটওয়ার্কের কারণে বাংলালিংকের ইন্টারনেট ব্যবহারকারীর সংখ্যা বেড়েছে। ইন্টারনেট ব্যবহারও গত বছরের একই প্রান্তিকের তুলনায় ৭৯ শতাংশ বেড়েছে। গ্রাহকপ্রতি মাসে ডেটার ব্যবহার দাঁড়িয়েছে ২ হাজার ২৪০ মেগাবাইটে। চলতি বছরের প্রথমার্ধে দেশের সবচেয়ে দ্রুতগতির মোবাইল নেটওয়ার্ক হিসেবে ওকলার স্বীকৃতি পেয়েছে বাংলালিংক।

আলোচ্য প্রান্তিকে গ্রামীণফোনের আয় কমেছে। রবি আজিয়াটার প্রতিবেদন এখনো প্রকাশিত হয়নি। তবে তারা বলছে, পরিস্থিতি ইতিবাচক নয়। এরই মধ্যে চলতি বাজেটে সরকার মোবাইল সেবার ওপর সম্পূরক শুল্ক ৫ শতাংশ বাড়িয়ে ১৫ শতাংশ করেছে। এতে ১০০ টাকা ব্যবহারে সরকার কথা বলায় ২৫ টাকা ও ইন্টারনেট ব্যবহারে ১৮ টাকা কর হিসেবে পায়।

এ বিষয়ে এক প্রশ্নের জবাবে এরিক অস বলেন, ‘কর বাড়ানো সরকারের সিদ্ধান্ত। এ বিষয়ে আমি মন্তব্য করব না। তবে সাধারণভাবে কর বাড়ালে মানুষ ব্যবহার কমিয়ে দেয়। মোবাইল অপারেটরগুলো ১০০ টাকা রাজস্ব আয় করলে তার ৫৩ থেকে ৫৬ শতাংশ সরকারের কোষাগারে কর ও অন্যান্য ফি হিসেবে যায়।’