জনগণের টাকা নিয়ে নয়-ছয় নয়: পরিকল্পনামন্ত্রী

পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান। ফাইল ছবি
পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান। ফাইল ছবি

পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান বলেছেন, ‘আমরা স্বীকার করছি, প্রকল্পে টাকার অপচয় হয়। যা কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়। কিছু ক্ষেত্রে বাড়াবাড়ি হয়ে গেছে। জনগণের অর্থ নিয়ে নয়-ছয় নয়।’

আজ বৃহস্পতিবার বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের সচিব ও ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠক শেষে পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান ভার্চ্যুয়াল ব্রিফিংয়ে এ কথা বলেন। শেরে বাংলা নগরের পরিকল্পনা কমিশনের এনইসি সম্মেলন কক্ষে এই সভা অনুষ্ঠিত হয়।

প্রকল্প প্রণয়নের অস্বাভাবিক দামে কেনাকাটা ও অপচয় সম্পর্কে পরিকল্পনামন্ত্রী আরও বলেন, প্রকল্পের জুম মিটিংয়ে শিঙাড়ার খরচ কেন? এটি নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। প্রকল্পের কেনাকাটা নিয়ে স্বয়ং প্রধানমন্ত্রী উদ্বিগ্ন। কেনাকাটায় স্বচ্ছতা আনতে নানা উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে উল্লেখ করে তিনি সাংবাদিকদের উদ্দেশ্যে বলেন, ‘আগামী কয়েক মাস দেখেন, এরপরে প্রশ্ন করবেন। আমি তখন সব প্রশ্নের উত্তর দিতে প্রস্তুত থাকব।’

প্রয়োজনের তুলনায় অতিরিক্ত গাড়ি কেনা প্রসঙ্গে প্রশ্ন করা হলে পরিকল্পনামন্ত্রী বলেন, ‘কোনো প্রকল্পে গাড়ি কেনায় ১০ কোটি টাকা বরাদ্দ রাখা হলো। প্রকল্পের ‘বস’ ৫ কোটি টাকার গাড়ি কিনে ফেলেন। বাকি টাকা বাকি গাড়ির কেনার জন্য। এটি আর হবে না। প্রকল্পে কত গাড়ির প্রয়োজন, কার জন্য কত দামে গাড়ি কেনা হচ্ছে-প্রকল্প প্রস্তাবে এসব বিস্তারিত জানাতে হবে। করোনার একটি প্রকল্পে ৬০২টি গাড়ি ভাড়া করা প্রসঙ্গে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, ‘করোনার প্রথমদিকে সবকিছু বন্ধ ছিল। তখন ওই প্রকল্পের আওতায় চিকিৎসক, নাস, রোগীদের আনার নেওয়ার জন্য এত গাড়ি ভাড়ার বরাদ্দ রাখা হয়। এখন পরিস্থিতির উন্নতি হয়েছে। তাই এই খাতে খরচ পর্যালোচনা করা হবে।’

সভায় পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে এই উপস্থাপনা দেওয়া হয়। সেখানে প্রকল্প বাস্তবায়নে সমস্যা তুলে ধরা হয়। উপস্থাপনায় বলা হয়, ছোট কলেবরের প্রকল্প অনুমোদন করিয়ে পরে কলেবর বাড়িয়ে খরচ ও মেয়াদ বাড়ানো হয়। এতে অন্য চলমান প্রকল্প নির্ধারিত সময়ে শেষ হয় না এবং জনগণ প্রকল্পের সুবিধা থেকে বঞ্চিত হয়।

চলতি অর্থবছরে ২ লাখ ১৪ হাজার ৬১১ কোটি টাকার এডিপি নেওয়া হয়েছে। এডিপিতে এবার প্রকল্প ১৭১৫।