বাংলাদেশের চেয়েও মন্দ অবস্থা ভারতের

বিশ্বের তৃতীয় বৃহত্তম অর্থনীতি এখন ভারত। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও চীনের পর দেশটির অবস্থান। এটি ক্রয়ক্ষমতার সমতার ভিত্তিতে বিশ্বব্যাংকের সর্বশেষ হিসেব৷ অথচ দারিদ্র্য পরিস্থিতিতে দক্ষিণ এশিয়ার মধ্যেই ভারতের অবস্থান নিচের দিকে। এবং তা বাংলাদেশের পরে।
ভারতের অন্তত ৩৪ কোটি মানুষ নিঃস্ব-হীন অবস্থায় জীবন যাপন করে। এটি দেশটির মোট জনসংখ্যার ২৮ দশমিক ৫ শতাংশ। অন্যদিকে বাংলাদেশে এই হার ১৭ দশমিক ২ শতাংশ।
যুক্তরাজ্যের অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয় সম্প্রতি ১০৮ দেশের দারিদ্র্য পরিস্থিতির ওপর যে গবেষণা প্রতিবেদন প্রস্তুত করেছে, তাতে এই তথ্য উঠে এসেছে। তবে শুধু ৪৯টি দেশের নিঃস্ব অর্থাৎ খাদ্য-বস্ত্র-বাসস্থানহীন অবস্থায় বসবাসকারী মানুষের পরিস্থিতি এতে বিবেচনা করা হয়েছে। এদেরকে বলা হচ্ছে গরিবের মধ্যেও গরিব মানুষ।
অক্সফোর্ডের কাজটি বৈশ্বিক বহুমাত্রিক দারিদ্র্যসূচক বা গ্লোবাল মাল্টি-ডাইমেনশনাল পোভার্টি ইনডেক্স (এমপিআই) হিসেবে পরিচিত। এতে শিক্ষা, স্বাস্থ্য ও জীবনযাত্রার মানবিষয়ক ১০টি বৃহত্তর সূচক রয়েছে। যদি কোনো ব্যক্তির ক্ষেত্রে এসব সূচকের অন্তত এক-তৃতীয়াংশ ক্ষেত্রে ঘাটতি থাকে, তাহলে তাকে বহুমাত্রিক দরিদ্র হিসেবে বিবেচনা করা হয়।
যেমন, কোনো ব্যক্তি যদি অপুষ্টিতে ভোগে, তাকে যদি উন্মুক্ত স্থানে প্রাকৃতিক ডাকে সাড়া দিতে হয় এবং তার যদি দুটি শিশুসন্তান অকালে মৃত্যুবরণ করে, তাহলে ওই ব্যক্তি বহুমাত্রিক দারিদ্র্যের শিকার বলে বিবেচিত হবে।
আবার ইতিমধ্যেই বহুমাত্রিক দারিদ্র্যে পতিত উল্লিখিত ব্যক্তিটির যদি কোনো সম্পদ না থাকে, বসবাসের ন্যূনতম সুব্যবস্থা না থাকে কিংবা খাওয়ার পানি পেতে অনেক বেগ পেতে হয়, তাহলে তাকে গরিবের মধ্যে গরিব বলা হয়।
এমপিআই তালিকায় দক্ষিণ এশিয়ার পঁাচ দেশের তালিকায় বাংলাদেশ তৃতীয়৷ ভারত চতুর্থ৷ সবচেয়ে নিচে আফগানিস্তান। এই তালিকায় প্রথমে আছে নেপাল ও দ্বিতীয় স্থানে পাকিস্তান।
সূত্র: বিজনেস লাইন।