হরতালে যশোরে ফুলচাষিদের ১০ লাখ টাকার ক্ষতি

দুই দিনের হরতালে যশোরের ফুলচাষিদের অন্তত ১০ লাখ টাকার ক্ষতি হয়েছে। হরতালে যশোরের গদখালী অঞ্চল থেকে দেশের কোথাও ফুল পাঠানো যায়নি, খেতের ফুল খেতেই রয়ে গেছে। আর এই কারণেই বিরাট এই ক্ষতি গুনেছেন ফুলচাষীরা। গদখালী ফুলচাষি ও ব্যবসায়ী কল্যাণ সমিতি সূত্রে জানা গেছে, এখানে প্রতিদিন কত টাকার ফুল বিক্রি হয়, তার হিসাব রাখা হয়। সে আলোকেই সমিতির সাধারণ সম্পাদক সেলিম রেজা প্রথম আলোকে বলেন, হরতালের আগের দিন সোমবার গদখালী মোকাম থেকে ছয় লাখ টাকার ফুল দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে পাঠানো হয়েছে। অন্য সময়েও প্রায় এ রকম বেচাকেনা হয়ে থাকে। কিন্তু গত মঙ্গল ও বুধবার মাত্র দুই লাখ টাকার ফুল বিক্রি হয়েছে। সেই হিসাবে, হরতালের দুই দিনে অন্তত ১০ লাখ টাকার ফুল কম বেচাকেনা হয়েছে। সেলিম রেজা আরও বলেন, এ কারণে কৃষকেরা আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন। একই অবস্থা ঘটেছে ব্যবসায়ীদের ক্ষেত্রেও।
গতকাল বুধবার সরেজমিনে গিয়ে জানা গেছে, এদিন ভোরে গ্লাডিওলাস প্রতি ডাঁটা (স্টিক) ৮ থেকে ১০ টাকা, গোলাপ ২ থেকে ৩ টাকা, রজনীগন্ধা ৫ থেকে ৮ টাকা ও জারবেরা ফুল ৫ থেকে ১৫ টাকা দরে বিক্রি হয়েছে। হরতাল না থাকলে আরও বেশি দামে ফুল বিক্রি হতো বলে ফুলচাষি ও ব্যবসায়ীরা দাবি করেন। ফুলচাষি মাহবুব হাসান জানান, তিনি সাধারণত এক দিনেই খেত থেকে অন্তত দুই হাজার রজনীগন্ধার স্টিক তুলে থাকেন। কিন্তু হরতালের দুই দিনে বিক্রি না হওয়ার ভয়ে এক হাজারের মতো স্টিক তুলেছেন।
ফুলচাষি ও ব্যবসায়ীরা জানান, গদখালী থেকে প্রতিদিন চালানের মাধ্যমে শাহবাগসহ রাজধানীর বিভিন্ন এলাকা, চট্টগ্রাম, বগুড়াসহ দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে ফুল সরবরাহ করা হয়। কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের যশোর কার্যালয়ের তথ্যমতে, এ বছর যশোর জেলায় মোট ৪৬০ হেক্টর জমিতে ফুলের আবাদ হয়েছে। আর এই জেলার প্রায় আট হাজার কৃষক ফুলচাষের সঙ্গে সম্পৃক্ত রয়েছেন।