বেশি কথায় বেশি কর

আপনি কি মুঠোফোনে বেশি কথা বলেন? মুঠোফোনের সিম দিয়ে ইন্টারনেটে একটু পরপর ফেসবুকসহ বিভিন্ন সামাজিক মাধ্যমে ঢুঁ মারেন?—তাহলে আপনার জন্য দুঃসংবাদ। কারণ, মুঠোফোনের সিম কার্ডের মাধ্যমে ফোন করা, ইন্টারনেট, খুদে বার্তা, ভাইবারসহ সব সেবার ওপর এখন আপনাকে নতুন করে ৫ শতাংশ হারে সম্পূরক শুল্ক দিতে হবে।
এর ফলে মুঠোফোন ব্যবহারে প্রতি ১০০ টাকায় প্রথমে ৫ শতাংশ সম্পূরক শুল্ক যোগ হবে। ওই টাকার ওপর আগের ১৫ শতাংশ মূল্য সংযোজন কর (মূসক) যোগ করে একজন গ্রাহককে মোট ২০ দশমিক ৭৫ শতাংশ হারে কর দিতে হবে। অর্থাৎ প্রতি ১০০ টাকার মুঠোফোন সেবা ব্যবহারের জন্য গুনতে হবে ১২০ টাকা ৭৫ পয়সা। আগামী ২০১৫-১৬ অর্থবছরের বাজেটে মুঠোফোনের সিম বা রিম কার্ডের ওপর এ বাড়তি কর আরোপের প্রস্তাব করা হয়েছে।
তবে মুঠোফোনের সিম কার্ডের কর ৩০০ টাকা থেকে কমিয়ে ১০০ টাকা করা হয়েছে। আর প্রতিস্থাপিত সিম কার্ডের কর আগের মতোই ১০০ টাকা রাখা হয়েছে। দেশের মোবাইল ফোন অপারেটররা এ দুই রকমের করই সম্পূর্ণ তুলে দেওয়ার দাবি জানিয়ে আসছিল।
২০০৫-০৬ অর্থবছরে দেশে সর্বপ্রথম মুঠোফোন সিমের ওপর ৮০০ টাকার সিম কর আরোপ হয়। এরপর ২০১১-১২ অর্থবছরে তা কমিয়ে ৬০০ টাকা আর সর্বশেষ ২০১৩-১৪ অর্থবছরে তা কমিয়ে ৩০০ টাকা করা হয়। দুই অর্থবছর পর তা কমিয়ে ১০০ টাকা করার প্রস্তাব করা হলো।
মোবাইল অপারেটদের সংগঠন অ্যাসোসিয়েশন অব মোবাইল টেলিকম অপারেটরস বাংলাদেশ (অ্যামটব) প্রাক্-বাজেট প্রস্তাবনায় বলেছিল, সিম কর ও সিম প্রতিস্থাপন কর তুলে দেওয়া হলে দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলের মানুষের কাছে দ্রুততম সময়ে মুঠোফোন সেবা পৌঁছানো যাবে। এর ফলে দেশের বর্তমান টেলিঘনত্ব ৭২ শতাংশ থেকে আগামী এক বছরে ৮৫ শতাংশে উন্নীত করা সম্ভব।