রাজস্ব আদায়ের লক্ষ্যমাত্রা নিয়ে সিপিডির শঙ্কা

রাজধানীর ব্র্যাক ইন সেন্টারে বাজেট পরবর্তী পর্যালোচনায় বক্তব্য দেন সিপিডির বিশেষ ফেলো দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য। ছবি: সাহাদাত পারভেজ
রাজধানীর ব্র্যাক ইন সেন্টারে বাজেট পরবর্তী পর্যালোচনায় বক্তব্য দেন সিপিডির বিশেষ ফেলো দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য। ছবি: সাহাদাত পারভেজ

বাজেটের আকার নয়, রাজস্ব আদায়ের লক্ষ্যমাত্রা অর্জন নিয়ে চিন্তিত সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগ (সিপিডি)। তাঁদের আশঙ্কা, বাজেটে রাজস্ব আদায়ের যে লক্ষ্যমাত্রা ঠিক করা হয়েছে, এর একটা বড় অংশ অর্জিত হবে না। এমন ঘটলে বাজেটের লক্ষ্য ঠিকমতো পূরণ হবে না।

আজ শুক্রবার রাজধানীর মহাখালীতে ব্র্যাক ইন সেন্টারে বাজেট পরবর্তী পর্যালোচনা হয়। সেখানে সিপিডির বিশেষ ফেলো ও বিশিষ্ট অর্থনীতিবিদ দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য এ কথা জানান। সিপিডির পক্ষে তিনি পর্যালোচনা পাঠ করেন। স্বাগত বক্তব্য দেন সিপিডির নির্বাহী পরিচালক মোস্তাফিজুর রহমান।

বাজেটে অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত ‘প্রবৃদ্ধির সোপানে আরোহণের’ যে স্বপ্ন দেখিয়েছেন, তার বাস্তবায়ন কঠিন বলে মনে করে সিপিডি। রাজস্ব আদায়ের লক্ষ্যমাত্রা অর্জিত না হলে সোপানের পথ পিচ্ছিল হয়ে উঠবে। তাই সোপানের পথটি মসৃণ করতে হবে বলে তাঁরা মত দেন। বাজেটের বিভিন্ন খাতে পাঁচটি কমিশন গঠনের দাবি জানিয়েছে সিপিডি।

সিপিডির মতে, এবারের বাজেটের সবচেয়ে উজ্জ্বল ও ভালো দিক হলো শিশু বাজেট। সবচেয়ে অনুজ্জ্বল হলো ঘোষণা ছাড়া জেলা বাজেট বাদ দেওয়া।

গতকাল জাতীয় বাজেট ২০১৫-১৬ ঘোষণা করেন অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত। কয়েক বছরের ধারাবাহিকতায় বাজেটের পরদিনই সিপিডি আজ তাঁদের পর্যালোচনা জানাল।

এবার বাজেটের  আকার দুই লাখ ৯৫ হাজার ১০০ কোটি টাকা । ৬ শতাংশের বৃত্তে বন্দী আছে জিডিপি। বেসরকারি বিনিয়োগ বাড়ছে না। এবার প্রবৃদ্ধির আকাঙ্ক্ষা ৭ শতাংশ। রাজস্ব আদায়ের লক্ষ্যও উচ্চাভিলাষী। রাজস্ব আদায় বাড়াতে হবে ৩০.৬২ শতাংশ। অর্থাৎ, নতুন বছরে বেশি দিতে হবে ৪৫,০৭২ কোটি টাকার কর। এই রাজস্ব আদায়ের লক্ষ্যমাত্রা নিয়েই শঙ্কায় রয়েছে সিপিডি।