রিহ্যাব সদস্যদের অহেতুক প্রশ্ন করবেন না: তথ্যমন্ত্রী

অপ্রদর্শিত আয় বা কালোটাকা বিনিয়োগে রিহ্যাবের সদস্যদের অহেতুক প্রশ্ন না করতে প্রশাসনের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনু। তিনি বলেন, ‘বিনিয়োগের সুযোগ না থাকলে বৈধ উপায়ে অর্জিত অপ্রদর্শিত আয় লেপের তলে বা মাটির নিচে লুকিয়ে থাকবে না। সেই টাকা অবৈধ উপায়ে মালয়েশিয়াসহ অন্যান্য দেশে চলে যাবে।’
তথ্যমন্ত্রী আরও বলেন, ‘বৈধভাবে অর্জিত অপ্রদর্শিত আয় বিনিয়োগে সরকারের সিদ্ধান্তকে গতিশীল রাখতে প্রশাসনের উদ্দেশে আহ্বান জানাচ্ছি, রিহ্যাবের সদস্যদের অহেতুক প্রশ্নবাণে জর্জরিত করবেন না। আবাসন খাতকে গতিশীল রাখতে এটি করতে হবে।’
রাজধানীর সিরডাপ মিলনায়তনে গতকাল শনিবার রিহ্যাব বর্ষসেরা সাংবাদিক পুরস্কার-২০১৪ বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তথ্যমন্ত্রী। তিনি বিজয়ী ১৯ গণমাধ্যমকর্মীর হাতে পুরস্কার তুলে দেন।
হাসানুল হক বলেন, ‘ঢাকাকে বাসযোগ্য করতে হলে বস্তি সমস্যার সমাধান করতে হবে। এর জন্য দরকার সস্তায় ফ্ল্যাট তৈরি ও দীর্ঘমেয়াদি কিস্তিতে ঋণ পরিশোধের ব্যবস্থা করা। সে জন্যই ব্রিটিশ আমলে হাউস বিল্ডিং ফাইন্যান্স করপোরেশন গঠন করা হয়েছিল। তবে কিছুদিন আগে সংস্থাটির চেয়ারম্যান আমাকে বলেছেন যে তাঁরা বারবার টাকা চাইলেও সরকার দিচ্ছে না।’
আবাসন খাতে অপ্রদর্শিত আয় বা কালোটাকা বিনিয়োগের সুযোগ আছে। তবে বিনিয়োগকারীকে আয়ের উৎস উল্লেখ করতে হয়। এ জন্যই সুযোগটি কাজে লাগছে না, বিনিয়োগ বাধাগ্রস্ত হচ্ছে—এমন যুক্তিতে আবাসন ব্যবসায়ীদের সংগঠন রিহ্যাবের নেতারা চলতি ২০১৫-১৬ অর্থবছরের বাজেট পাসের আগে এটি প্রত্যাহারের দাবি জানিয়েছিলেন। গতকালের অনুষ্ঠানে রিয়েল এস্টেট অ্যান্ড হাউজিং অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (রিহ্যাব) সভাপতি আলমগীর শামসুল আলামিন আবারও একই দাবি জানান। তাঁর এই দাবি সমর্থন করেন তথ্যমন্ত্রী।
রিহ্যাবের সভাপতি জানান, গত বছর সরকারকে সাড়ে পাঁচ হাজার কোটি টাকা রাজস্ব দিয়েছেন রিহ্যাবের ১ হাজার ২০০ সদস্য। তিনি বলেন, ‘তিন বছর ধরে দুর্ভোগের মধ্যে আছেন আবাসন খাতের ব্যবসায়ীরা। এ জন্য সরকারের কাছে বহুবার ধরনা দিয়েছি আমরা, কিন্তু কোনো সুরাহা পাইনি।’
অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য দেন রিহ্যাবের সহসভাপতি মো. ওহিদুজ্জামান, লিয়াকত আলী ভূঁইয়া প্রমুখ। সঞ্চালনা করেন সংগঠনের সহসভাপতি রবিউল হক।
এবার প্রিন্ট মিডিয়া বিভাগে প্রথম পুরস্কার পেয়েছেন কালের কণ্ঠ-এর তোফাজ্জেল হোসেন। দ্বিতীয় ও তৃতীয় পুরস্কার পেয়েছেন যথাক্রমে জনকণ্ঠ-এর কাউসার রহমান ও বাংলাদেশ প্রতিদিন-এর রুহুল আমিন। ইলেকট্রনিক মিডিয়া বিভাগে প্রথম পুরস্কার পেয়েছেন মাছরাঙা টিভির হিরযুন মীরা। দ্বিতীয় ও তৃতীয় পুরস্কার পেয়েছেন যথাক্রমে একাত্তর টিভির জাহেদুল ইসলাম মজুমদার ও এসএ টিভির আহাদ হোসেন। উভয় বিভাগে বিশেষ পুরস্কার পেয়েছেন ১৩ জন।