চীনে তিন মাসে শেয়ারের দাম ৪০% কমেছে

সরকার ও নিয়ন্ত্রক সংস্থাগুলোর পক্ষ থেকে নানা উদ্যোগ ও প্রণোদনা থাকা সত্ত্বেও চীনের পুঁজিবাজারে গত জুন থেকে এ পর্যন্ত তিন মাসে শেয়ারের দাম প্রায় ৪০ শতাংশ কমেছে।
দেশটির শেয়ারবাজারে গতকাল বুধবারও প্রধান সূচক সাংহাই সমন্বিত সূচকের পতন ঘটেছে। তবে এদিনের পতন ছিল বেশ নগণ্য, শূন্য দশমিক ২ শতাংশ। আগের দিনে অবশ্য পতন ঘটেছিল ৪ শতাংশ।
বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম অর্থনীতি চীনের শেয়ারবাজারে পতনের কারণে গত সপ্তাহে বিশ্ব পুঁজিবাজার টালমাটাল হয়ে উঠেছিল, যার রেশ কাটতে না কাটতেই এই সপ্তাহে আবার দেশটির উৎপাদন খাতের পারচেজিং ম্যানেজারস ইনডেক্স (পিএমআই) কমে যাওয়ার তথ্য প্রকাশিত হওয়ায় বৈশ্বিক শেয়ারবাজার নতুন করে ধাক্কা খেয়েছে। গত মঙ্গলবার প্রকাশিত ওই সূচক কমে ৪৯ দশমিক ৭ পয়েন্টে নেমে গেছে, যা জুলাইয়ে ছিল ৫০ পয়েন্ট। সূচকটি ৫০ পয়েন্টের নিচে নামলে সেটাকে সংকোচন বলা হয়।
দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ শেষ হওয়ার দিনটি স্মরণে আজ বৃহস্পতিবার ও কাল শুক্রবার চীনা শেয়ারবাজার বন্ধ থাকবে।
এশিয়া ও প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে ভারত ও হংকং ছাড়া অধিকাংশ বড় পুঁজিবাজারে গতকাল সূচক বেড়েছে। এর মধ্যে জাপানের নিক্কেই ২২৫ সূচক শূন্য দশমিক ৪ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে, যা আগের দিন ৪ শতাংশ পড়ে গিয়েছিল। অস্ট্রেলিয়ার এসঅ্যান্ডপি/এএসএক্স ২০০ সূচকও বেড়েছে, তবে শূন্য দশমিক ১ শতাংশ। দক্ষিণ কোরিয়ার কোস্পি সূচক শূন্য দশমিক ৫ শতাংশ বেড়েছে।
ভারতের শেয়ারবাজারে গতকালও পতন ঘটেছে। সেনসেক্স সূচক ২৪৩ পয়েন্ট ২৫ হাজার ৪২৫ পয়েন্টে নেমেছে। এ ছাড়া নিফতি ৬৯ পয়েন্ট কমেছে। হংকংয়ের হেংসেং সূচক ১ দশমিক ২ শতাংশ কমেছে।
এদিকে বিশ্বের বৃহত্তম অর্থনীতি যুক্তরাষ্ট্রের শেয়ারবাজারে অনেকটা আতঙ্কের মধ্য দিয়েই যেন শুরু হয়েছে সেপ্টেম্বর মাসের লেনদেন। মাসের প্রথম দিন মঙ্গলবার দেশটির ডাউ জোন্স সূচক ২ দশমিক ৮ শতাংশ ৪৭০ পয়েন্ট, এসঅ্যান্ডপি ৫০০ সূচক ৩ দশমিক ৮ শতাংশ বা ৫৮ দশমিক ৩ পয়েন্ট এবং নাসড্যাক সমন্বিত সূচক ২ দশমিক ৯ শতাংশ বা ১৪০ পয়েন্ট কমেছে।
সময়ের বিশাল ব্যবধানের কারণে বিশ্বের বৃহত্তম অর্থনীতি যুক্তরাষ্ট্রের শেয়ারবাজারের গতকাল বুধবারের লেনদেনের তথ্য জানা যায়নি। কারণ এই লেখাটি যখন তৈরি করা হচ্ছিল, তখন সেই দেশের শেয়ারবাজারে মাত্র লেনদেন শুরু হয়েছে।
সূত্র: বিবিসি, ইয়াহু! ফিন্যান্স ও বিজনেস স্ট্যান্ডার্ড