আত্মসমর্পণের পর পাঁচ আসামি কারাগারে

শেয়ারবাজার-সংক্রান্ত এক মামলায় অভিযুক্ত পাঁচ আসামিকে জামিন না দিয়ে কারাগারে পাঠিয়েছেন আদালত। পুঁজিবাজারের মামলা নিষ্পত্তির জন্য গঠিত বিশেষ ট্রাইব্যুনাল গতকাল সোমবার আসামিদের জামিন আবেদন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর এ আদেশ দেন।

অভিযুক্ত আসামিরা হলেন প্যারাগন লেদারের চেয়ারম্যান ও ব্যবস্থাপনা পরিচালক এম এ সালাম, উপদেষ্টা আবদুস সালাম, হিসাব কর্মকর্তা জালাল উদ্দিন, শেয়ারসংক্রান্ত কর্মকর্তা জোনায়েদ বাগদাদী ও কম্পিউটার অপারেটর হেমন্ত বাইন ভূঁইয়া।

বেশ কিছুদিন ধরে আদালতে মামলাটির বিচারিক কার্যক্রম চললেও আসামিরা পলাতক ছিলেন। প্যারাগন লেদারের মামলাটিতে কোম্পানিসহ মোট আসামি ২০ জন। তাঁদের মধ্য থেকে গতকাল কোম্পানির পাঁচ কর্মকর্তা আদালতে আত্মসমর্পণ করেন। বাকিরা এখনো পলাতক।

শেয়ার জালিয়াতির অভিযোগে পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি) ২০০১ সালে এ মামলাটি দায়ের করে। চলতি বছর ট্রাইব্যুনাল গঠনের পর সেটি বিচারের জন্য সেখানে আসে। আসামিদের অনুপস্থিতিতে ট্রাইব্যুনালে মামলার বিচারকাজ শুরু হয়।

বাদী পক্ষের আইনজীবী মাসুদ রানা প্রথম আলোকে বলেন, এ মামলায় এরই মধ্যে নয়জন সাক্ষীর সাক্ষ্য নেওয়া হয়েছে। এ অবস্থায় গতকাল পাঁচ আসামি আদালতে হাজির হয়ে আইনজীবীর মাধ্যমে জামিন ও পুনরায় সাক্ষীদের জেরা শুরুর আবেদন করেন। আদালত পুনরায় জেরা শুরুর আবেদন মঞ্জুর করলেও জামিন না দিয়ে আসামিদের জেলে প্রেরণের নির্দেশ দেন। আগামী ২৮ সেপ্টেম্বর মামলাটির পরবর্তী দিন ধার্য করা হয়েছে। 

মামলার অভিযোগের বিষয়ে মাসুদ রানা বলেন, আসামিদের বড় একটি অংশ জাল শেয়ার তৈরি করে তার বিপরীতে ব্যাংক থেকে ঋণ নিয়ে সিকিউরিটিজ আইন লঙ্ঘন করেছেন। এ মামলার রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী মোস্তাফিজুর রহমান প্রথম আলোকে বলেন, আসামিদের বেশির ভাগই দীর্ঘদিন ধরে পলাতক ছিলেন। তাঁদের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা রয়েছে।

 বাজার পরিস্থিতি: প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) গতকাল সূচক বাড়লেও লেনদেন আগের দিনের চেয়ে কিছুটা কমেছে। প্রধান সূচক ডিএসইএক্স ১৮ পয়েন্ট বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৪ হাজার ৭৮৬ পয়েন্টে। এদিন লেনদেন হয়েছে ৪৩৭ কোটি টাকা, যা আগের দিনের চেয়ে ২০ কোটি টাকা কম। ঢাকার বাজারে গতকাল লেনদেনের শীর্ষ পাঁচ কোম্পানির তালিকায় ছিল যথাক্রমে বেক্সিমকো ফার্মা, লাফার্জ সুরমা সিমেন্ট, আমান ফিড, স্কয়ার ফার্মা ও ইউনাইটেড এয়ার। এর মধ্যে একমাত্র আমান ফিড ছাড়া বাকি চারটি শেয়ারের দাম বেড়েছে।