আয়কর বিবরণী দাখিলের সময় বাড়ল আরও দুই মাস

প্রতি বছরের মতো এবারও ব্যক্তিশ্রেণির বার্ষিক আয়কর বিবরণী বা রিটার্ন জমা দেওয়ার সময় আরও দুই মাস বাড়িয়েছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)। 

আজ বুধবার এনবিআরের পক্ষ থেকে জানানো হয়, আগামী ৩০ নভেম্বর পর্যন্ত আয়কর বিবরণী দাখিল করা যাবে।
ব্যবসায়ীদের শীর্ষ সংগঠন এফবিসিসিআইসহ বিভিন্ন বাণিজ্য সংগঠনের দাবির পরিপ্রেক্ষিতে এনবিআর সময় বাড়ানোর নীতিগত সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
আজ আয়কর বিবরণী জমার নিয়মিত সময় শেষ হয়। তবে প্রতিবারই এক বা একাধিকবার সময় বাড়ানো হয়। এটা অনেকটা নিয়মে পরিণত হয়েছে। আর করযোগ্য প্রত্যেক কর শনাক্তকরণ নম্বরধারীর (টিআইএন) রিটার্ন জমা বাধ্যতামূলক।
ঈদুল আজহার কারণে বিভিন্ন কার্যালয় বন্ধ থাকায় রিটার্ন দাখিলের জন্য প্রয়োজনীয় কাগজপত্র সংগ্রহে বিঘ্ন ঘটেছে। এ ছাড়া অনেক করদাতা হজ পালন করেছেন। তাই তাঁরা নির্ধারিত সময়ে রিটার্ন জমা দিতে পারছেন না। এ কারণেই সময় বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে এনবিআর। এ ছাড়া আসন্ন দুর্গাপূজার কারণে ব্যবসায়ীরা ব্যস্ত হয়ে পড়েছেন।
অন্যদিকে গত তিন মাসে করদাতাদের মধ্যে আয়কর বিবরণী জমায় তেমন একটা উৎসাহ দেখা যায়নি। এনবিআর সূত্রে জানা গেছে, রাজধানীসহ সব বিভাগীয় শহর, জেলা শহর ও উপজেলায় অনুষ্ঠিত কর মেলায় এবার ১ লাখ ৬১ হাজার ৬০ জন করদাতা তাঁদের বার্ষিক আয়কর বিবরণী জমা দিয়েছেন। এতে এনবিআরের রাজস্ব প্রাপ্তি হয়েছে ২ হাজার ৩৫ কোটি ৩২ লাখ টাকা।
এনবিআর সূত্রে জানা গেছে, গত বছর সব মিলিয়ে প্রায় ১২ লাখ করদাতা বার্ষিক আয়কর বিবরণী জমা দিয়েছিলেন। বর্তমানে প্রায় ১৯ লাখ টিআইএনধারী রয়েছেন।
প্রতিবছর অর্থবছরের প্রথম তিন মাস অর্থাৎ জুলাই থেকে সেপ্টেম্বর পর্যন্ত আয়কর দেওয়ার নির্ধারিত সময়। প্রতিবারই ব্যবসায়ীদের অনুরোধে এক বা একাধিকবার সময় বাড়ানো হয়। এ পর্যন্ত কোনো বছরই নির্দিষ্ট সময়ের (৩০ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত আয়কর) পরে সময় না বাড়ানোর রেকর্ড নেই।
এদিকে, আয়কর অধ্যাদেশেই রিটার্ন জমার সময় বাড়িয়ে নেওয়ার সুযোগ রয়েছে। সংশ্লিষ্ট উপ-কর কমিশনারের কাছে যৌক্তিক কারণ দেখিয়ে সময় বাড়ানোর জন্য আবেদন করতে পারেন করদাতা। সেই আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে উপ-কর কমিশনার চাইলে ওই করদাতাদের দুই মাস সময় বাড়িয়ে দিতে পারেন। অন্যদিকে নির্দিষ্ট সময়ে আয়কর বিবরণী না জমা দিলে জরিমানা করার বিধানও রয়েছে অধ্যাদেশে।