টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্য অর্জনে দরকার নীতিমালা বাস্তবায়ন

টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা (এসডিজি) অর্জন করতে হলে সরকারকে যথাযথ নীতি প্রণয়ন করে তা গুরুত্ব সহকারে বাস্তবায়ন করতে হবে।
ঢাকা চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি (ডিসিসিআই) আয়োজিত ‘এমডিজি থেকে এসডিজিতে রূপান্তর: ব্যবসা-বাণিজ্যের প্রেক্ষিতে সমস্যা ও সম্ভাবনা’ শীর্ষক এক সেমিনারে বক্তারা এ কথা বলেন। রাজধানীর মতিঝিলে ডিসিসিআই ভবনে গতকাল শনিবার সেমিনারটি অনুষ্ঠিত হয়।
অনুষ্ঠানে অর্থ প্রতিমন্ত্রী মোহাম্মদ আবদুল মান্নান বলেন, এমডিজিতে বাংলাদেশের অগ্রগতি ছিল আশাব্যঞ্জক। তাই এসডিজির লক্ষ্য অর্জনে কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়ার এখন সময় এসেছে। এসডিজির লঞ্চগুলো অর্জনে শহর ও গ্রামের মধ্যে সংযোগ স্থাপনের ওপর জোর দেন তিনি।
সেমিনারে মূল প্রবন্ধে পলিসি রিসার্চ ইনস্টিটিউটের (পিআরআই) নির্বাহী পরিচালক আহসান এইচ মনসুর বলেন, এসডিজি অর্জনে পর্যাপ্ত অবকাঠামো উন্নয়ন এবং নতুন নতুন আবিষ্কারের মাধ্যমে টেকসই শিল্পায়নে জোর দিতে হবে। তিনি বলেন, অপরিকল্পিত নগরায়ণ দেশের বড় সমস্যা এবং এ বিষয়ে অবিলম্বে পরিকল্পনা নিতে হবে।
বাংলাদেশ উন্নয়ন গবেষণা প্রতিষ্ঠানের (বিআইডিএস) মহাপরিচালক কে এ এস মুরশিদ বলেন, এসডিজি অর্জনে গুণগত শিক্ষা নিশ্চিত করা, সার্বিক নিরাপত্তা এবং কৃষি খাতের উন্নয়নের মতো বিষয়গুলো গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে। তিনি শিল্পনীতিসহ অন্যান্য জাতীয় নীতিমালা দ্রুত প্রণয়ন ও বাস্তবায়নের ওপর গুরুত্ব দেন।
ডিসিসিআইয়ের সভাপতি হোসেন খালেদ বলেন, এসডিজি অর্জনে জ্বালানি ও বিদ্যুৎসহ অবকাঠামো খাতের উন্নয়ন, দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা নেওয়া, নতুন তথ্যপ্রযুক্তির ব্যবহার এবং প্রয়োজনীয় নীতিমালা সংস্কার ও প্রণয়ন করতে হবে। যথাসময়ে এসডিজি বাস্তবায়নে সরকার ও বেসরকারি খাতকে নিয়ে ‘জাতীয় বাস্তবায়ন ফোরাম’ গঠনের প্রস্তাব করে তিনি বলেন, এর মাধ্যমে উন্নয়ন প্রকল্পের বাস্তবায়ন তদারকি করা সম্ভব হবে।
সেমিনারে বিজনেস ইনিশিয়েটিভ লিডিং ডেভেলপমেন্টের (বিল্ড) চেয়ারম্যান আসিফ ইব্রাহীম, বাংলাদেশে জাতিসংঘ সংস্থা ইউএনডিপির সহকারী কান্ট্রি ডিরেক্টর পলাশ কান্তি দাস, ডিসিসিআইয়ের দুই সহসভাপতি হুমায়ুন রশিদ, শোয়েব চৌধুরী প্রমুখ বক্তব্য দেন।