কর্ণফুলী নদীর তলদেশে টানেল হবে

দেশে প্রথমবারের মতো নদীর তলদেশ দিয়ে যানবাহন চলাচলের জন্য টানেল নির্মাণ করা হবে। চট্টগ্রামের কর্ণফুলী নদীর তলদেশ দিয়ে ৩ দশমিক ৪ কিলোমিটার লম্বা এ টানেল নির্মাণে প্রায় সাড়ে আট হাজার কোটি টাকার প্রকল্প নেওয়া হয়েছে।
‘কনস্ট্রাকশন অব মাল্টি লেন রোড টানেল আন্ডার দ্য রিভার কর্ণফুলী’ শীর্ষক এ প্রকল্প অনুমোদনের জন্য আজ মঙ্গলবার জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) সভায় উঠছে। এতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সভাপতিত্ব করবেন।
এ প্রকল্পটি চলতি নভেম্বর মাসে শুরু হয়ে ২০২০ সালের জুন মাসে শেষ হবে। টানেলটি চট্টগ্রাম শহরের বন্দর এলাকা ও আনোয়ারা উপজেলাকে সংযুক্ত করবে। অর্থাৎ টানেলের এক পাড়ে থাকবে বন্দর এলাকা, অন্য পাড়ে আনোয়ারা উপজেলা।
এ প্রকল্পের মোট ব্যয় ধরা হয়েছে ৮ হাজার ৪৪৬ কোটি ৬৪ লাখ টাকা। এর মধ্যে চীনের এক্সিম ব্যাংক দেবে ৪ হাজার ৭৯৯ কোটি ৪৪ লাখ টাকা। বাকি ৩ হাজার ৬৪৭ কোটি ৬৪ লাখ টাকার জোগান দেবে বাংলাদেশ সরকার। সেতু কর্তৃপক্ষ প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করবে। এটি বাস্তবায়নের মাধ্যমে চীনের সাংহাইয়ের আদলে চট্টগ্রামে ‘ওয়ান সিটি টু টাউন’ ব্যবস্থা গড়ে তোলা হবে বলে প্রকল্প প্রস্তাবনায় বলা হয়েছে।
এ ছাড়া টানেলটি হলে কর্ণফুলী নদীর ওপরে নির্মিত দুটি সেতুর ওপর যান চলাচলের চাপ কমবে।
এর আগে প্রকল্পটি বাস্তবায়নের জন্য সেতু কর্তৃপক্ষ, চায়না কমিউনিকেশন কনস্ট্রাকশন কোম্পানি (সিসিসিসি) ও অভি অরুপ অ্যান্ড পার্টনারস হংকং লিমিটেড যৌথভাবে টানেল নির্মাণের কারিগরি ও অর্থনৈতিক সমীক্ষা করে। এরপর চলতি বছরের জুন মাসে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার চীন সফরকালে দুই দেশের মধ্যে জি টু জি ভিত্তিতে (সরকারের সঙ্গে সরকারের) সমঝোতা স্মারক সই হয়। চীন সরকারই সিসিসিসিকে এই টানেল নির্মাণের জন্য মনোনীত করে। এ বিষয়ে গত ৩০ জুন সেতু কর্তৃপক্ষ ও সিসিসিসির মধ্যে বাণিজ্যিক চুক্তি সই হয়েছে।