জিএসপি পেতে অ্যামচেমকে ভূমিকা রাখার আহ্বান স্পিকারের

অগ্রাধিকারমূলক বাণিজ্যসুবিধা বা জিএসপি ফিরে পেতে আমেরিকান চেম্বার অব কমার্স ইন বাংলাদেশকে (অ্যামচেম) ভূমিকা রাখার আহ্বান জানিয়েছেন জাতীয় সংসদের স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরী।

আজ বৃহস্পতিবার রাজধানীর একটি হোটেলে অ্যামচেম আয়োজিত ‘গণতন্ত্র, অর্থনীতি ও ব্যবসা’ শীর্ষক মধ্যাহ্নভোজসভায় সম্মানিত অতিথির বক্তব্যে স্পিকার এ আহ্বান জানান। সভা পরিচালনা করেন এবং এতে স্বাগত বক্তব্য দেন অ্যামচেম সভাপতি নুরুল ইসলাম। এ ছাড়া বক্তব্য দেন ঢাকায় নিযুক্ত যুক্তরাষ্ট্রের চার্জ দ্য অ্যাফেয়ার্স ডেভিড মিল।
ভোজসভায় অংশ নেন সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের উপদেষ্টা এ বি মির্জ্জা মো. আজিজুল ইসলাম, সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগের (সিপিডি) সম্মানীয় ফেলো দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য প্রমুখ।
২০১৩ সালের এপ্রিলে রানা প্লাজা ধসের কয়েক মাস পর যুক্তরাষ্ট্র তাদের দেশে বাংলাদেশি পণ্য রপ্তানিতে জিএসপি বন্ধ করে দেয়। এরপর পোশাক খাতের উন্নয়নে বাংলাদেশকে বেঁধে দেওয়া এক কর্মপরিকল্পনায় ১৬টি শর্ত দেয় যুক্তরাষ্ট্র। ইতিমধ্যে প্রায় সব শর্ত পূরণ হলেও জিএসপি ফিরে পায়নি বাংলাদেশ।
জিএসপির পাশাপাশি বাংলাদেশের বেসরকারি খাতে বিনিয়োগের গতি বেগবান করা এবং বাংলাদেশে যুক্তরাষ্ট্রের বিনিয়োগ আরও বাড়ানোর ক্ষেত্রেও অ্যামচেমকে ভূমিকা রাখার আহ্বান জানান স্পিকার। তিনি বলেন, এখন বিশ্বায়নের যুগ। কোনো দেশ বা জাতির পক্ষে একা একা উন্নয়ন করার সুযোগ নেই। সেই চেষ্টা কেউ করলে ছিটকে পড়তে হবে বা বিচ্ছিন্ন হয়ে যেতে হবে। রাষ্ট্র পরিচালনার যতগুলো পদ্ধতি রয়েছে, সেগুলোর মধ্যে গণতন্ত্রকেই এখন পর্যন্ত সর্বোত্তম পদ্ধতি বলে মনে করেন স্পিকার। তিনি বলেন, ‘সামাজিক গণতন্ত্রের দিকটিও আমাদের বিবেচনায় রাখতে হবে। খেয়াল রাখতে হবে যে স্বাস্থ্যসেবাসহ সব ধরনের সেবা যাতে নাগরিকেরা পান।’
অ্যামচেম সভাপতি নুরুল ইসলামকে উদ্দেশ করে স্পিকার বলেন, ‘আপনি বললেন বেসরকারি বিনিয়োগের গতি এখানে ধীর। সহযোগিতা করতে আপনারা এগিয়ে আসুন না কেন?’