করোনায় পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা বঞ্চিত কেন

শুরুতেই একটা ভালো খবর দিই, বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ের আবাসিক শিক্ষার্থীদের কোভিড টিকা প্রদান কার্যক্রম শুরু হয়েছে, অনাবাসিক শিক্ষার্থীরাও দ্রুত এই তালিকায় যুক্ত হবে। আশা করা যায়, কোভিড পরিস্থিতি কিছুটা সহনীয় হলে দ্রুতই পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়গুলো সচল হবে।

দেশে বর্তমানে ৪৯টি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় রয়েছে। কোভিড-১৯ মহামারি পরিস্থিতির কারণে ২০২০ সালের ১৭ মার্চ থেকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়সহ অন্য পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর ক্যাম্পাসভিত্তিক স্বাভাবিক শিক্ষা কার্যক্রম বন্ধ রয়েছে। অনলাইনে ক্লাস হচ্ছে, অ্যাসাইনমেন্ট নেওয়া হচ্ছে, কিন্তু পরীক্ষা বিষয়ে কর্তৃপক্ষের সিদ্ধান্তহীনতার দোলাচলে কয়েক লাখ শিক্ষার্থীর শিক্ষাজীবন অনিশ্চয়তার মুখে পড়েছে। সেশনজটে পড়ে শিক্ষার্থীরা কর্মজীবনেও পিছিয়ে পড়ছে। আমি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কিছু কথা তুলে ধরব, যা অন্য পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর জন্যও অনেকাংশে প্রযোজ্য।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়সহ ৪৯টি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে দেশের প্রত্যন্ত এলাকা থেকে মেধাবী শিক্ষার্থীরা পড়তে আসে। যারা প্রতিযোগিতামূলক ভর্তি পরীক্ষায় অবতীর্ণ হয়ে নিজের আসনটি অর্জন করে নেয়। একজন শিক্ষক হিসেবে আমাকে অপরাধীর আসনে দাঁড় করিয়েছে বর্তমান করোনাকালীন শিক্ষাব্যবস্থার সংকট।
করোনা মহামারিতে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে শিক্ষা খাত। করোনা পরিস্থিতি মোকাবিলায় স্বাস্থ্য খাত ছাড়াও অর্থনীতির চাকা সচল রাখতে বিভিন্ন খাতে সরকার বরাদ্দ ও প্রণোদনা দিয়েছে। শুধু ব্যতিক্রম শিক্ষা খাত। নতুন অর্থবছরের বাজেটে গত অর্থবছর থেকে শিক্ষা খাতে বরাদ্দ সামান্য বাড়লেও কার্যত তা বাড়েনি। গত বছর বাজেট শিক্ষা খাতে বরাদ্দ ছিল জিডিপির ২ দশমিক ১৪ শতাংশ, এই বছর তা হয়েছে জিডিপির ২ দশমিক শূন্য ৮ শতাংশ। তার মানে, শিক্ষা খাতে এই বছর বরাদ্দের হার কমেছে। অথচ শিক্ষা খাতে ‘বিশেষ বরাদ্দ’ দেওয়া অবশ্যকর্তব্য ছিল। বর্তমান সময়ে দাঁড়িয়ে আমাদের জাতীয়ভাবে একটি শিক্ষাবান্ধব ও শিক্ষার্থীবান্ধব শিক্ষা পরিকল্পনার প্রয়োজন ছিল। করোনা মহামারি চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে গেছে শিক্ষাব্যবস্থার ভঙ্গুরতাকে।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ শুরু থেকেই শিক্ষার্থীবান্ধব সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো: ১ জুলাই ২০২০ থেকে অনলাইনে ক্লাস শুরু। বিভাগ ও অনুষদ থেকে অসচ্ছল শিক্ষার্থীদের আর্থিক সহায়তা প্রদান। মার্চ ২০২০ থেকে স্বাভাবিক শিক্ষা কার্যক্রম শুরু না হওয়া পর্যন্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবহন ফি এবং হলের আবাসিক ফি মওকুফ করা হয়েছে। সেশনজট কমাতে ৬ মাসের সেমিস্টার ৪ মাসে শেষ করা, চূড়ান্ত পরীক্ষা ছাড়া বাকি ৫০ ভাগ নম্বর অনলাইনে নেওয়া, শীত-গ্রীষ্ম ছুটি বাতিল করা এবং উৎসব ছুটি কমিয়ে আনা। এ ছাড়া ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সশরীর পরীক্ষা নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিলে তাতে উৎসাহিত হয়ে অন্য কয়েকটি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ও পরীক্ষার তারিখ ঘোষণা করে।

করোনা পরিস্থিতিতে অনলাইন শিক্ষা কার্যক্রমের কোনো বিকল্প ছিল না, এ কথা অস্বীকার করার কোনো উপায় নেই। কিন্তু একজন শিক্ষক হিসেবে শিক্ষার্থীদের অনলাইন ক্লাসে যুক্ত হবার জন্য কম্পিউটার, ল্যাপটপ বা স্মার্টফোন না থাকা এবং ইন্টারনেটের ব্যয় নির্বাহ করতে না পারার অসহায়ত্ব আমার মতো অনেক শিক্ষককে তাড়িত করেছে। বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন (ইউজিসি) অনলাইন পাঠ কার্যক্রমে যাওয়ার নির্দেশনা দিয়ে দিয়েছে গত বছরের জুনে। এই নির্দেশনা মেনে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সীমিত পরিসরে অনলাইন পাঠ কার্যক্রম শুরু করে ১ জুলাই ২০২০ থেকে। অনলাইন পাঠ কার্যক্রমে ৫০ থেকে ৬০ শতাংশ শিক্ষার্থীকে যুক্ত করা গেলেও বাইরে রয়ে যায় বিশাল অংশ।

শিক্ষার্থীদের অনলাইন পাঠ কার্যক্রমে যুক্ত না হতে পারার কারণগুলো বারবার শিক্ষার উচ্চতর প্রশাসনকে জানানো হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন প্রায় পুরো ২০২০ সাল ধরে বেশ কবার ছক কাটা ঘরে অনলাইন পাঠ কার্যক্রমে যুক্ত হতে কাদের ডিভাইস লাগবে, কাদের ইন্টারনেট প্যাকেজ লাগবে—এসব তথ্য চায়। ২০২০ সালের সেপ্টেম্বরে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়সহ অন্যান্য বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের আবেদনের পর বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন (ইউজিসি) ৪ নভেম্বর ২০২০ সালে পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় অনলাইন শিক্ষা কার্যক্রমের জন্য ৪১ হাজার ৫০১ শিক্ষার্থীকে স্মার্টফোন কিনতে ৮ হাজার টাকা করে ঋণ দেওয়ার ঘোষণা দেয়। কিন্তু বিষয়টি ফাইলবন্দী অবস্থাতেই পড়ে রয়েছে। এটি যে ছিল নিছক একটি লোকদেখানো জরিপ, তা স্পষ্ট হয় সম্প্রতি। কারণ, প্রায় এক বছর পর গত জুন মাসেও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের জন্য আবার এই ঋণের জন্য আবেদন করার নির্দেশনা আসে! এই হলো পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের জন্য সরকারের ‘ছেলেখেলা’!

আমরা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে, বিভাগ ও অনুষদ পর্যায়ে আমাদের সীমিত সুবিধা শিক্ষার্থীদের কাছে পৌঁছে দিয়েছি, তবে তা প্রয়োজনের তুলনায় যথেষ্ট ছিল না। তবু অনলাইন পাঠ কার্যক্রম মোটামুটি চলে যাচ্ছিল। নতুন চ্যালেঞ্জ দেখা দিল সেমিস্টারের ক্লাস শেষে পরীক্ষার সময় এগিয়ে এলে। করোনা পরিস্থিতিতে সশরীর পরীক্ষা নেওয়া সম্ভব না হওয়ায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ তাই চূড়ান্ত পরীক্ষা বাদ রেখে পরবর্তী সেমিস্টারের ক্লাস শুরু করে। এর মাঝে করোনা পরিস্থিতি কিছুটা নিয়ন্ত্রণে এলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ২০২১ সালের মে মাসে সশরীর পরীক্ষা নেওয়ার ঘোষণা দেয়। সে ক্ষেত্রে শিক্ষার্থীদের স্বাস্থ্যবিধির বিষয়টি মাথায় রেখে পরীক্ষা দেওয়ার জন্য কেবল চতুর্থ বর্ষ ও মাস্টার্স শিক্ষার্থীদের আবাসিক হলে ওঠানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। পর্যায়ক্রমে পরের বর্ষের শিক্ষার্থীদের আবাসিক সুবিধা দিয়ে পরীক্ষা নেওয়া হবে বলে প্রস্তুতি চলতে থাকে। কিন্তু এই সিদ্ধান্তে অটল থাকা সম্ভব হয়নি। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠান হলেও মহামারিকালে সরকারের কেন্দ্রীয় নির্দেশনার বাইরে যাওয়ার সুযোগ থাকে না। মাননীয় শিক্ষামন্ত্রী ঘোষণা দেন শিক্ষার্থীদের করোনার টিকা দিয়ে পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের আবাসিক হল খোলার। এ ঘোষণায় স্থগিত হয়ে যায় মে মাসে অনুষ্ঠেয় সব পরীক্ষা।

৪ মে ২০২১ শিক্ষার্থীদের সেশনজট কমানোর কথা বিবেচনা করে পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে অনলাইনে পরীক্ষা নেওয়ার সিদ্ধান্ত দেয় বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন (ইউজিসি)। শিক্ষার্থীদের মঙ্গলের কথা মাথায় রেখে ১ জুলাই ২০২১ থেকে ‘অনলাইনে পরীক্ষা’ নেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়। কিন্তু প্রায় অর্ধেক শিক্ষার্থীর অনলাইন পরীক্ষা দেওয়ার বাস্তবতা না থাকায় পরে সশরীর পরীক্ষা দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। একটি বিষয় এখানে না বললেই নয়, আমরা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের যে পরীক্ষার কথা বলছি, তা মূলত তাদের ২০২০ সালের ১ জুলাই মাসে অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা। তার মানে, ইতিমধ্যে শিক্ষার্থী এক বছর পিছিয়ে গেছে ক্লাসে, পরীক্ষায়, চাকরিতে, সংসারের হাল ধরতে। কিন্তু বিধি বাম হলো আবার। করোনার ভারতীয় ডেলটা ধরনে বাংলাদেশের করোনা পরিস্থিতি জুন মাসের মাঝামাঝি থেকে আবার সংকটময় হয়ে ওঠে। কঠোর লকডাউনের ফলে ১ জুলাই ২০২১ থেকে অনুষ্ঠিতব্য চূড়ান্ত পরীক্ষা দ্বিতীয়বারের মতো আবার স্থগিত হয়ে যায়।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বর্তমান শিক্ষার্থীদের চূড়ান্ত পরীক্ষার পাশাপাশি করোনা মহামারির কারণে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০২০-২০২১ শিক্ষাবর্ষের ভর্তি পরীক্ষা নেওয়া সম্ভব হয়নি। ভর্তি পরীক্ষা তৃতীয়বারের মতো পিছিয়ে ১ অক্টোবর ২০২১ থেকে পুনরায় পরীক্ষার তারিখ নির্ধারণ করা হয়েছে। এসএসসি ও এইচএসসি পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়ে বাংলাদেশের মেধাবী শিক্ষার্থীদের বড় অংশটি যখন এক বছর ধরে বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হবার স্বপ্ন দেখছে, সেখানে কিছু বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় সমাজের সচ্ছল শ্রেণির সন্তানদের ভর্তি করিয়ে শিক্ষা কার্যক্রম শুরু করেছে। শিক্ষা কার্যক্রম শুরু করা অবশ্যই ইতিবাচক, কিন্তু একথা আমাদের ভুলে গেলে চলবে না, আমরা সমাজের একটি শ্রেণির জন্য শিক্ষাকে গ্রহণ করতে পারি না। কারণ, এর মাধ্যমেও সমাজে শিক্ষাবৈষম্য সৃষ্টি হয়।
একজন শিক্ষক হিসেবে কদিন ধরে মাথায় একটা প্রশ্ন ঘুরপাক খাচ্ছে, নিয়মের ফাঁক গলে পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের পিছিয়ে দেওয়া হচ্ছে না তো? করোনাকালীন ‘নিয়মের সুবিধা’ ভোগ করে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা অনলাইনে পরীক্ষা দিয়ে গ্র্যাজুয়েশন করে চাকরিবাকরি ও জীবন–জীবিকায় ঢুকে পড়ছে। অন্যদিকে, পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা শিক্ষা সমাপনী পরীক্ষা দেওয়ার জন্য অধীর আগ্রহে প্রতীক্ষার প্রহর গুনছে। নীতিনির্ধারকদের সিদ্ধান্তহীনতায় তারা অলস সময় পার করতে বাধ্য হচ্ছে। উচ্চশিক্ষা মেধাবী শিক্ষার্থীদের অধিকার। করোনার দোহাই দিয়ে আমরা কোনোভাবে শিক্ষাবৈষম্য সৃষ্টি করতে পারি না।
যতদিন পর্যন্ত ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের দ্রুত টিকাদান নিশ্চিত করে তাদের শিক্ষাঙ্গনে ফেরানো না যায় ততদিন পর্যন্ত করণীয় বিষয়ে চারটি দাবি পেশ করছি:
১.
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে সর্বশেষ সেশনের শিক্ষার্থীদের গ্র্যাজুয়েশন শেষ না হওয়া পর্যন্ত সব ধরনের নিয়োগ পরীক্ষা বন্ধ রাখতে হবে এবং ‘করোনা সুবিধা’ নিয়ে একই সেশনের বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের গ্র্যাজুয়েটরা যেন নিয়োগ না পায়, তা নিশ্চিত করতে হবে।
২.
করোনা মহামারির ফলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের যে সেশনগুলোর শিক্ষার্থীরা গ্র্যাজুয়েশন শেষ করতে পারেনি, সরকারি চাকরির নিয়োগের ক্ষেত্রে তাদের নিয়োগের বয়স বাড়িয়ে দিতে হবে।

৩.
শিক্ষার্থীদের দ্রুত টিকাদান সম্পন্ন করে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়সহ অন্য পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের (২০২০ সালের এইচএসসি উত্তীর্ণ) শিক্ষার্থীদের প্রথম বর্ষের ভর্তি পরীক্ষা না হওয়া পর্যন্ত কোনো বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথম বর্ষের শিক্ষা কার্যক্রম শুরু করা যাবে না। যারা ইতিমধ্যে শুরু করেছে, তাদের ওই সেশনের কার্যক্রম স্থগিত করতে হবে।
৪.
বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়সহ অন্য কোনো শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে সেই নির্দিষ্ট সেশনের শিক্ষার্থীদের ‘চূড়ান্ত পরীক্ষা’ নেওয়া যাবে না এবং অনার্স কিংবা মাস্টার্সের চূড়ান্ত ফল প্রকাশ করা যাবে না।
ওপরের কথাগুলো শুনতে খুব রূঢ় শোনালেও আজকের বাস্তবতায় দাঁড়িয়ে আমাদের বাংলাদেশের সব শিক্ষার্থীর ভবিষ্যৎ নিয়ে ভাবতে হবে। সরকারি কিংবা বেসরকারি—সব শিক্ষার্থীর ভবিষ্যৎ আমাদের কাছে গুরুত্বপূর্ণ। তাই পরোক্ষভাবে হলেও কোনো শিক্ষার্থীর প্রতি যেন বৈষম্য না হয়, তা নিশ্চিত করতে হবে। আমরা আশা করি, মাননীয় শিক্ষামন্ত্রী, ইউজিসির চেয়ারপারসন ও সরকারের নীতিনির্ধারকেরা বিষয়টি গুরুত্বের সঙ্গে বিবেচনা করবেন।
*তাওহিদা জাহান: চেয়ারপারসন, কমিউনিকেশন ডিজঅর্ডারস বিভাগ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়