বিজ্ঞান | বহুনির্বাচনি প্রশ্ন

অধ্যায় ২

৫০. বাংলাদেশ কত সালে জলবায়ু–সংক্রান্ত রামসার কনভেনশনে স্বাক্ষর করে?

ক. ১৯৭৩ খ. ১৯৭৪

গ. ১৯৭৫ ঘ. ১৯৯৭

৫১. জাতিসংঘ কত সালে বিভিন্ন দেশের মধ্যে দিয়ে প্রবাহিত নদ–নদীর পানি বণ্টন–সংক্রান্ত আন্তর্জাতিক চুক্তি করে?

ক. ১৯৯৭ খ. ১৯৭৩

গ. ১৯৭৫ ঘ. ১৯৯৮

৫২. পানির মান PH খুব কমে গেলে জলজ প্রাণীর—

i. অঙ্গপ্রতঙ্গ সঠিকভাবে বিকশিত হবে না

ii. দেহ অভ্যন্তরে খনিজ পদার্থ কমে যাবে

iii. পানির তলদেশে সাঁতার কাটবে

ক. i ও ii খ. ii ও iii

গ. i ও iii ঘ. i. ii.ও iii

নিচের অনুচ্ছেদটি পড়ে ৫৩ ও ৫৪ নম্বর প্রশ্নের উত্তর দাও।

অপু ও দিপু দুজনে দুটি পুকুরে মাছ চাষ করে। অপুর পুকুরের মাছে বৃদ্ধি সন্তোষজনক। আর দিপুর পুকুরের মাছগুলো দুর্বল ও অঙ্গপ্রত্যঙ্গগুলো সঠিকভাবে বিকশিত হয়নি।

৫৩. অপুর পুকুরের পানি কোন ধরনের?

ক. অ্যাসিডিক খ. ক্ষারীয়

গ. নিরপেক্ষ ঘ. ক্যালসিয়াম

৫৪. দিপুর পুকুরের পানিতে নিচের কোনটি হ্রাস করা উচিত?

ক. অ্যাসিড খ. ক্ষার

গ. ক্যালসিয়াম ঘ. ফসফরাস

সঠিক উত্তর

অধ্যায় ২: ৫০. ক ৫১. ক ৫২. ক ৫৩. গ ৫৪. ক

বাকি অংশ ছাপা হবে আগামীকাল

আজ বিশ্ব রক্তদাতা দিবস

রক্ত দান করা একটি মহৎ কাজ

রক্ত জীবনীশক্তির মূল। রক্ত একটি অস্বচ্ছ, মৃদু ক্ষারীয় এবং লবণাক্ত তরল পদার্থ। রক্ত হৃৎপিণ্ড, শিরা, উপশিরা, ধমনি, শাখা ধমনি এবং কৈশিকনালি পথে অবর্তিত হয়।

রক্ত একধরনের তরল যোজক কলা। রক্তরস এবং কয়েক ধরনের রক্তকণিকার সমন্বয়ে রক্ত গঠিত। রক্তের বর্ণহীন তরল অংশকে রক্তরস বলে। সাধারণত রক্তের শতকরা প্রায় ৫৫ ভাগ রক্তরস। মানবদেহে তিন ধরনের রক্তকণিকা দেখা যায়—লোহিত রক্তকণিকা, শ্বেতরক্তকণিকা এবং অণুচক্রিকা।

আঘাত, দুর্ঘটনা, শল্যচিকিৎসা, প্রাকৃতিক দুর্যোগ বা অন্য কোনো কারণে অনেক বেশি রক্তক্ষরণ হলে দেহে রক্তের পরিমাণ আশঙ্কাজনকভাবে কমে যায়। রক্তশূন্যতা দূর করার জন্য ওই ব্যক্তির দেহে রক্ত পরিসঞ্চালনের প্রয়োজন হয়। জরুরি
ভিত্তিতে এই রক্তশূন্যতা দূর করার জন্য রোগীর দেহে অন্য মানুষের রক্ত দিতে হয়।
অন্যকে রক্তদান করা বর্তমানে একটি সাধারণ ঘটনা।

জরুরি অবস্থায় অন্য ব্যক্তির রক্ত সরাসরি বা ব্লাড ব্যাংকের মাধ্যমে সংগ্রহ করা রক্ত রোগীর দেহে প্রবেশ করানো হয়। কোনো ব্যক্তির শিরার মধ্য দিয়ে বাইরে থেকে অন্যের রক্ত প্রবেশ করানোর প্রক্রিয়াকে রক্ত সঞ্চালন বলে। এটি একটি চমৎকার ফলপ্রদ ব্যবস্থা, যার ফলে রোগীর প্রাণ রক্ষা হয়।

তবে কোনো অবস্থাতেই রোগীর রক্তের গ্রুপ ও প্রকৃতি পরীক্ষা না করে এক রোগীর দেহে অন্য কোনো ব্যক্তির বা ব্লাড ব্যাংকে রক্ষিত রক্ত প্রবেশ করানো উচিত নয়। কোনো কারণে রক্তের গ্রুপ ব্যতিক্রম হলে নানা রকম জটিলতা সৃষ্টি হয়ে রোগীর জীবন বিপন্ন হওয়ার আশঙ্কা অনেকাংশে বেড়ে যায়। যেমন রক্তকণিকাগুলোর জমাট বাঁধা, বিশ্লিষ্ট হওয়া, জন্ডিসের প্রাদুর্ভাব এবং প্রস্রাবের সঙ্গে হিমোগ্লোবিন নির্গত হওয়া ইত্যাদি সমস্যা দেখা দিতে পারে।

আকস্মিক কোনো দুর্ঘটনায় আহতদের জন্য জরুরি ভিত্তিতে রক্তের প্রয়োজন হয়। মনে রাখতে হবে, এটি আমাদের সবার জন্য একটি সামাজিক দায়বদ্ধতা। যেহেতু রক্তের কোনো বিকল্প নেই, সে কারণে অন্যের কাছ থেকে রক্ত সংগ্রহ করে ওই জরুরি অবস্থা মোকাবিলা করতে হয়।

অন্যকে রক্তদান করা একটি মহৎ কাজ। এতে রক্তদাতার নিজের কোনো ক্ষতি হয় না। একজন সুস্থ মানুষের দেহ থেকে ৪৫০ মিলি রক্ত বের করে দিলে তেমন কোনো অসুবিধা হয় না। তার দেহ প্রতি সেকেন্ডে প্রায় ২০ লাখ লোহিত রক্তকণিকা সৃষ্টি করতে পারে। দেখা গেছে, কোনো সুস্থ ব্যক্তি চার মাস পরপর রক্তদান করলে দাতার দেহে সামান্যতম কোনো অসুবিধা হয় না।

বর্তমানে রক্তদানে উব্ধুদ্ধকরণে নানা রকম কর্মসূচি নেওয়া হচ্ছে। কোনো বিশেষ দিবসে বা বিশেষ কোনো অনুষ্ঠানে রক্তদান কর্মসূচির আয়োজন করা হয়। অসহায় পীড়িত মানুষের জীবন রক্ষায় রক্তদানে মানুষ এখন অনেক বেশি আগ্রহী ও সচেতন হয়ে ওঠেছে।


মো. আবু সুফিয়ান, শিক্ষক
আইডিয়াল স্কুল অ্যান্ড কলেজ, ঢাকা