সিলেটে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের থ্রি মিনিট থিসিস প্রতিযোগিতা

প্রতিযোগিতায় চ্যাম্পিয়ন হন লিডিং ইউনিভার্সিটির শিক্ষার্থী নুসরাত জাহান রাফা।
ছবি: প্রথম আলো

ছোট ছোট আইডিয়া থেকেই বড় কিছুর সৃষ্টি হয়। নিজেদের উদ্ভাবনী আইডিয়া উপস্থাপনের মাধ্যমে তরুণেরা নিজেদের দক্ষতাকে উপস্থাপন করার সুযোগ পেলেন। এতে তাঁদের যে অভিজ্ঞতা হচ্ছে, এর মাধ্যমে দেশ-বিদেশে নতুন প্রজন্মের ভালো কিছু করার সুযোগ তৈরি হলো।

গতকাল মঙ্গলবার সিলেটের প্রথম বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় লিডিং ইউনিভার্সিটির ইলেকট্রনিকস ক্লাবের উদ্যোগে দিনব্যাপী আয়োজিত থ্রি মিনিট থিসিস প্রতিযোগিতার পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে বক্তারা এসব কথা বলেছেন। প্রতিযোগিতায় শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়, লিডিং ইউনিভার্সিটি, মেট্রোপলিটন ইউনিভার্সিটি এবং নর্থ ইস্ট ইউনিভার্সিটি বাংলাদেশের প্রায় ১০০ শিক্ষার্থী ৩৭টি গ্রুপে বিভক্ত হয়ে অংশ নেন।

প্রতিযোগিতার বিচারক হিসেবে ছিলেন বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক শফিকুল ইসলাম এবং শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী অধ্যাপক মো. আরিফ আহমেদ।

প্রতিযোগিতা শেষে বিকেল চারটায় পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠান শুরু হয়। এতে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন লিডিং ইউনিভার্সিটির প্রতিষ্ঠাতা ও বোর্ড অব ট্রাস্টিজের চেয়ারম্যান সৈয়দ রাগীব আলী। অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য কাজী আজিজুল মাওলা।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে সৈয়দ রাগীব আলী বলেন, এমন অনুষ্ঠান শিক্ষার্থীদের আইডিয়া সৃষ্টিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। শিক্ষার্থীরা এমন প্রতিযোগিতায় অংশ নিয়ে নিজেদের মেধা ও সৃজনশীলতার বিকাশ ঘটাতে পারে। তাই শিক্ষার্থীদের দক্ষতা তৈরিতে এমন প্রতিযোগিতা নিয়মিত হওয়া উচিত।

প্রতিযোগিতায় চ্যাম্পিয়ন হন লিডিং ইউনিভার্সিটির শিক্ষার্থী নুসরাত জাহান রাফা। একই বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী তাসনীম জান্নাত চৌধুরী প্রথম রানারআপ হন।

প্রতিযোগিতার বিচারক হিসেবে ছিলেন বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক শফিকুল ইসলাম এবং শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী অধ্যাপক মো. আরিফ আহমেদ। সভাপতিত্ব করেন ইলেকট্রনিকস ক্লাবের উপদেষ্টা গোলাম মাহমুফ চৌধুরী।

প্রতিযোগিতায় চ্যাম্পিয়ন হন লিডিং ইউনিভার্সিটির শিক্ষার্থী নুসরাত জাহান রাফা। একই বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী তাসনীম জান্নাত চৌধুরী প্রথম রানারআপ হন। দ্বিতীয় রানারআপ হন যথাক্রমে একই বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী মেহজাবিন তাবাসসুম ও মাহবুব আলম ইমন। প্রতিযোগিতায় সেরা প্রেজেন্টার হিসেবে লিডিং ইউনিভার্সিটির শিক্ষার্থী শাহরিয়ার আহমেদ খান নির্বাচিত হন।

দ্বিতীয় রানারআপ হন যথাক্রমে একই বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী মেহজাবিন তাবাসসুম ও মাহবুব আলম ইমন।

পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে লিডিং ইউনিভার্সিটির অধ্যাপক মো. মাইমুল আহসান খান, রেজিস্ট্রার মেজর (অব.) মো. শাহ আলম, পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক মোস্তাক আহমাদ দীন, ইইই বিভাগের প্রধান মো. কামরুজ্জামান, সহকারী অধ্যাপক মো. রফিকুল ইসলাম, ইলেকট্রনিকস ক্লাবের সহ–উপদেষ্টা নাফিস সুভানী প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
অনুষ্ঠান যৌথভাবে সঞ্চালন করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী তিথিমণি দাস, রাব্বিকা হক, ফুহাদ আহমেদ লস্কর, ফারজানা ইয়াসমিন, ফাইজা রাজ্জাক প্রমুখ।