সুবিধাবঞ্চিত শিশুদের শিক্ষায় ৩ কোটি ৪৭ লাখ ডলার দিল যুক্তরাজ্য

যুক্তরাজ্য সরকারের সঙ্গে ইউনিসেফের যৌথ উদ্যোগ স্কুলব্যবস্থার বাইরে থাকা শিশুদের শিক্ষা নিশ্চিত করবে।
ছবি: ইউনিসেফের সৌজন্যে

বাংলাদেশের সুবিধাবঞ্চিত ও আনুষ্ঠানিক শিক্ষাব্যবস্থার বাইরে আছে এমন শিশুদের মানসম্পন্ন শিক্ষার সুযোগ তৈরি করতে ৩ কোটি ৪৭ লাখ মার্কিন ডলার দিয়েছে যুক্তরাজ্য।

গতকাল শুক্রবার ইউনিসেফের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, যুক্তরাজ্য সরকার ব্রিটিশ হাইকমিশন ঢাকার মাধ্যমে বাংলাদেশের জন্য এ অনুদান সম্প্রতি ইউনিসেফকে দিয়েছে।

বাংলাদেশে ইউনিসেফের প্রতিনিধি শেলডন ইয়েট বলেন, ‘প্রতিটি শিশুর জন্য শিক্ষা নিশ্চিত করার লক্ষ্যে বাংলাদেশ উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি করেছে। কিন্তু সব স্তরে সমান সুযোগ এবং মানসম্পন্ন শিক্ষা প্রদানের ক্ষেত্রে জটিল কিছু চ্যালেঞ্জ এখনো রয়ে গেছে। যুক্তরাজ্য সরকারের এ উদার অবদান ইউনিসেফকে বাংলাদেশ সরকার এবং অংশীদারদের সঙ্গে এই চ্যালেঞ্জগুলো মোকাবিলা করতে, বিশেষ করে সুবিধাবঞ্চিত বাংলাদেশি শিক্ষার্থীদের শিক্ষা কোভিড-১৯ মহামারিতে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে, তাদের সহায়তা করতে বড় ভূমিকা রাখবে।’

যুক্তরাজ্য সব মেয়েশিশুর ১২ বছরব্যাপী মানসম্মত শিক্ষার অধিকারের জন্য প্রতিশ্রুতিবদ্ধ
রবার্ট চ্যাটারটন ডিকসন, বাংলাদেশে নিযুক্ত ব্রিটিশ হাইকমিশনার

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, যুক্তরাজ্য সরকারের সঙ্গে ইউনিসেফের এ যৌথ উদ্যোগ স্কুলব্যবস্থার বাইরে থাকা শিশুদের ওপর বিশেষ গুরুত্ব দেবে এবং মেয়েশিশু, প্রতিবন্ধী শিশু ও সুবিধাবঞ্চিত এলাকার শিশুদের শিক্ষাকে উন্নত করবে। এটি প্রাথমিক ও মাধ্যমিক শিক্ষা স্তরে শিশুদের ভর্তি, তাদের স্কুলে ধরে রাখা এবং শিক্ষা সমাপনীর হার উন্নত করার ওপরও জোর দেবে। ইউনিসেফ সব সময় বাংলাদেশ সরকার এবং শিশু ও তাদের মা-বাবাসহ সব অংশীদারদের সঙ্গে নিবিড়ভাবে কাজ চালিয়ে যাবে। এ সহায়তার মাধ্যমে সুবিধাবঞ্চিত শিশুদের জীবনে উল্লেখযোগ্য পরিবর্তন আসার পাশাপাশি সব শিশুর জন্য শিক্ষাব্যবস্থাকে শক্তিশালী করা হবে।

ছয় বছর বয়সী সিয়াম তার মায়ের সাহায্যে মোবাইল ফোন ব্যবহার করে ইউনিসেফের সহায়তায় পরিচালিত একটি ডিজিটাল শিক্ষা কার্যক্রমের মাধ্যমে শিক্ষা গ্রহণ করছে।
ছবি: ইউনিসেফের সৌজন্যে

বাংলাদেশে নিযুক্ত ব্রিটিশ হাইকমিশনার রবার্ট চ্যাটারটন ডিকসন বলেন, ‘যুক্তরাজ্য সব মেয়েশিশুর ১২ বছরব্যাপী মানসম্মত শিক্ষার অধিকারের জন্য প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। শিক্ষার উন্নতি করতে, কিশোরীদের স্কুলে থাকতে সহায়তা করতে এবং সবচেয়ে প্রান্তিক শিশুদের মানসম্পন্ন শিক্ষায় প্রবেশাধিকার নিশ্চিত করতে আমরা ইউনিসেফ, ব্র্যাক এবং বাংলাদেশ সরকারের সঙ্গে ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করতে পেরে আনন্দিত।’
২০২১ থেকে ২০২৮ সাল পর্যন্ত এ যৌথ প্রকল্প বাস্তবায়নে যুক্তরাজ্য সরকারের অর্থায়ন ইউনিসেফকে সহায়তা করবে।