চবিতে দ্বিতীয়বার ভর্তি পরীক্ষার সুযোগের দাবিতে কাফনের কাপড় নিয়ে অবস্থান

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে দ্বিতীয়বার ভর্তি পরীক্ষার সুযোগের দাবিতে কাফনের কাপড় নিয়ে অবস্থান কর্মসূচি পালন করেছেন ভর্তি-ইচ্ছুক শিক্ষার্থীরা। আজ বৃহস্পতিবার সকাল ১০টায় চট্টগ্রাম নগরের ষোলশহর রেলওয়ে স্টেশনে এ কর্মসূচি শুরু হয়।

এ সময় শাটল ট্রেনও আটকে দেওয়ার চেষ্টা করেন শিক্ষার্থীরা। পরে পুলিশ এসে তাঁদের সরিয়ে দেন। বেলা পৌনে ১১টায় এ প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত তাঁরা স্টেশনের প্ল্যাটফর্মে অবস্থান নিচ্ছেন।

দ্বিতীয়বার ভর্তি পরীক্ষার সুযোগ চাওয়া সবাই ২০২০-২১ শিক্ষাবর্ষের। তাঁরা ২০২০ সালে উচ্চমাধ্যমিকে উত্তীর্ণ হয়েছেন। তাঁরা সবাই সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকের মাধ্যমে একত্র হয়েছেন। শিক্ষার্থীদের দাবি, করোনার সময় তাঁরা ঠিকমতো প্রস্তুতি নিতে পারেননি। আর্থিক সংকটসহ নানা প্রতিবন্ধকতা ছিল। তাই চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষকে দ্বিতীয়বার ভর্তি পরীক্ষার সুযোগ দিতে হবে।

কর্মসূচিতে অংশ নেওয়া শিক্ষার্থী রিমকাতুল রাশেদ ও আসমাউল হুসনা প্রথম আলোকে বলেন, দ্বিতীয়বার ভর্তি পরীক্ষার সুযোগ চাওয়া কোনো অপরাধ নয়। তাঁরা পরীক্ষা দিয়ে ভর্তির সুযোগ চাচ্ছেন। আলাদা কোনো আসন চাচ্ছেন না। তাঁদের দাবি না মানা পর্যন্ত বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করবেন।

ষোলশহর জংশন রেলস্টেশনের মাস্টার এস এম ফখরুল আলম প্রথম আলোকে বলেন, দ্বিতীয়বার ভর্তি পরীক্ষার দাবিতে কিছু শিক্ষার্থী শাটল ট্রেন আটকে দেওয়ার চেষ্টা করেছিলেন। তাঁদের পুলিশের সহায়তায় লাইন থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে।

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় রেলস্টেশন
প্রথম আলো ফাইল ছবি

দ্বিতীয়বার ভর্তি পরীক্ষার দাবিতে এর আগেও ভর্তি-ইচ্ছুক শিক্ষার্থীরা বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করেছেন। সর্বশেষ গত ২৩ এপ্রিল নগরের প্রেসক্লাবের সামনে মানববন্ধন করেন। চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের দ্বিতীয়বার ভর্তি পরীক্ষার সুযোগ বন্ধ রয়েছে ২০১৭ সাল থেকে। ওই বছর ৫০৫তম সিন্ডিকেট সভায় এ সুযোগ বাতিল করা হয়।

দ্বিতীয়বার ভর্তি পরীক্ষার সুযোগ কেন বন্ধ করা হয়েছিল, জানতে চাইলে সিন্ডিকেট সদস্য এ কে এম মাঈনুল হক মিয়াজী প্রথম আলোকে বলেন, প্রথমবার ভর্তি হওয়ার পর কিছু শিক্ষার্থী তুলনামূলক চাহিদা বেশি, এমন বিষয়ে পড়ার জন্য দ্বিতীয়বার ভর্তি পরীক্ষা দেন। ফলে বিপুলসংখ্যক আসন পরবর্তীকালে ফাঁকা হয়ে যায়। বিশ্ববিদ্যালয়ে আসন ফাঁকা বিষয়টি কমাতে দ্বিতীয়বার ভর্তি পরীক্ষা বাতিল করা হয়েছে।