বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়:ক্যাম্পাসের প্রথম ও শেষ বিশ্বকাপ

বন্ধুদের সঙ্গে লেখক
বন্ধুদের সঙ্গে লেখক
হোক ফুটবল বা ক্রিকেট; ক্যাম্পাসে বসে খেলা দেখার আনন্দই আলাদা। কখনো কখনো নিজেদের মাঠের খেলায়ও মেতে ওঠেন শিক্ষার্থীরা। হলের টিভি রুম হয়ে যায় গ্যালারি। ক্যানটিনে চায়ে চুমুক দিতে দিতে বাধে তুমুল তর্ক। মাঠের বাইরের এই রোমাঞ্চও কম কিসে! বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা লিখেছেন ক্যাম্পাসে খেলা দেখার আনন্দের অভিজ্ঞতা। এই নিয়ে আজ বিশেষ আয়োজন


সময়টা ২০১৪ সালের জুলাই মাস। স্বাগতিক ব্রাজিল আর জার্মানির মধ্যে খেলা চলছে, তুমুল উত্তেজনার মুহূর্ত। ব্রাজিলের জালে যখন জার্মানি একের পর এক বল জড়াচ্ছিল, তখন টিভির সামনে বসা আমি আর আব্বু দুজনই ভাবছিলাম হয়তো একটা গোলই বারবার রিপ্লেতে দেখাচ্ছে। চোখ কচলে দেখি, না! সত্যি সত্যিই গোল হয়েছে। ওদিকে বাড়ির আশপাশের সব আর্জেন্টিনার সমর্থকেরা আমাদের বাড়ির সামনে এসে জড়ো হয়েছে, চিৎকার-চেঁচামেচি করছে। চোখ ফেটে পানি এলেও মনে মনে ভেবেছিলাম যে এবার হয়নি, সামনের বার হবে।

দেখতে দেখতে চারটি বছর পেরিয়ে আবারও বিশ্বকাপ ফুটবল এল। গত বিশ্বকাপের সময় সদ্য এসএসসি পেরোনো আমি এবার বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রী। এই লেখা যখন লিখছি, তখন ক্যাম্পাস ছুটি। ইচ্ছে আছে, ক্লাস শুরু হলে এবারের বিশ্বকাপ ফুটবলের ম্যাচগুলো আমি বুয়েটের হলের ডাইনিংয়ে দেখব। নানা রঙের পতাকায় এরই মধ্যে সেজেছে বুয়েটের হল। ক্যাম্পাসে খেলা দেখার আয়োজন করা হলে সেখানেই খেলা দেখব। এবারের বিশ্বকাপ আমার বিশ্ববিদ্যালয় জীবনের প্রথম এবং সম্ভবত শেষ বিশ্বকাপ। তাই একে স্মরণীয় করে রাখার জন্য বন্ধুবান্ধব সবাই মিলে একসঙ্গে খেলা দেখার ইচ্ছে আছে। ক্লাস, ল্যাব, অ্যাসাইনমেন্টের ফাঁকে তেমন খেলা দেখার সুযোগ হয়তো পাব না, কিন্তু খেলা-পরবর্তী আলাপ-আলোচনায় অংশ নেওয়ার যে আনন্দ সেটাই বা কম কিসে? আনন্দ, আড্ডা, খুনসুটি আর ব্রাজিলের ‘হেক্সা’ জয়ের স্বপ্ন দেখতে দেখতে কেটে যাবে আমার এবারের বিশ্বকাপ।

● বায়োমেডিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং, বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়