ইংরেজি মাধ্যম স্কুলের তারকারা

>

ইংরেজি মাধ্যম স্কুলের অনেক শিক্ষার্থীই ভালো ফলাফল করে তাক লাগিয়ে দিচ্ছে। স্কুলসেরা, দেশসেরা মেধাবী শিক্ষার্থীরা তো আছেই, কেউ কেউ বিশ্বসেরা নম্বরও পাচ্ছে বাংলাদেশ থেকে। চার স্কুলের চার মেধাবী শিক্ষার্থীকে নিয়ে লিখেছেন মো. সাইফুল্লাহ

সানবিমসের শায়েজা
সানবিমসের শায়েজা

শায়েজা নাওয়ার ওয়ালিদ: ১০০ তে ১০০!

৯৮ নয়। ৯৯ নয়। এমনকি ৯৯ দশমিক পাঁচ শূন্যও নয়। গত বছর ও লেভেল পরীক্ষায় ইংরেজি ভাষা বিষয়ে পুরো ১০০ তে ১০০ পেয়েছে শায়েজা নাওয়ার ওয়ালিদ! এটাই যে ও লেভেলের বিশ্বসেরা নম্বর, সেটা নিশ্চয়ই আলাদা করে বলার প্রয়োজন নেই। সানবিমস স্কুলের এই প্রাক্তন ছাত্রী এখন হংকংয়ের ইউনাইটেড ওয়ার্ল্ড কলেজে পড়ছে। আমরা যখন শায়েজার সঙ্গে যোগাযোগ করলাম, সে তখন ছুটিতে ঢাকায় এসেছে। পরদিনই তার হংকংয়ে চলে যাওয়ার কথা। ভাগ্যিস, সময়টা ঠিকঠাক মিলে গেল!

‘কেমন করে এত ভালো নম্বর পেলে?’ প্রশ্নটা শায়েজার জন্য কঠিন হয়ে গেল। ছোটবেলা থেকে ইংরেজি তার কাছে কখনোই ‘পড়ার’ বা ‘পরীক্ষা দেওয়ার’ বিষয় মনে হয়নি। ইংরেজি সাহিত্য ভালো লাগত। প্রচুর বই পড়ত মেয়েটা। তাই ইংরেজি ভাষার চর্চা হয়েছে খুব স্বাভাবিকভাবেই। ঘটা করে পড়তে বসার প্রয়োজন হয়নি। স্কুলে সব সময়ই ভালো গ্রেড এসেছে ইংরেজিতে। স্মৃতি হাতড়ে শায়েজা বলল, ‘ক্লাস থ্রিতে অবশ্য একবার হাফ ইয়ারলি পরীক্ষায় ইংলিশে “সি” পেয়েছিলাম। তখন বোধ হয় বই একটু কম পড়া হতো।’

বই পড়ার অভ্যাস আগেই ছিল। লেখালেখির অভ্যাসটা আরও বেগ পেয়েছে সানবিমস স্কুলে ভর্তি হওয়ার পর। স্কুল ম্যাগাজিনেও লিখত শায়েজা। ভালো নম্বর পাওয়ার পেছনে স্কুলের যেহেতু বড় অবদান, তাই আনন্দটা ভাগাভাগি করতে শিক্ষকদের সঙ্গে দেখা করতে গিয়েছিল সে। তারপর? ‘ক্লাস টেনের ক্লাসরুমে আমাদের ইংলিশ টিচারকে পেলাম। তিনি বলছিলেন, আমি যেন জুনিয়রদের জন্য কিছু পরামর্শ দিই।’ কী কী পরামর্শ দিয়েছিল শায়েজা? এই সুযোগে আমরাও টুকে নিই।

‘আমার মনে হয়, নতুন নতুন শব্দ শেখার একটা মজা আছে। আমি যখনই কোনো নতুন শব্দ পেয়েছি, ডিকশনারি দেখে অর্থটা জেনে নিয়েছি। শুধু ইংরেজি নয়, যেকোনো ভাষাই ভালোভাবে শিখতে চাইলে পড়তে হয়। এমন নয় যে গল্পের বই-ই পড়তে হবে। যার যেটা ভালো লাগে, সে সেটাই পড়বে। কারও হয়তো খেলাধুলায় আগ্রহ, সে খেলাধুলাবিষয়ক ম্যাগাজিন পড়তে পারে। কবিতা পছন্দ যার, সে কবিতা পড়তে পারে। পড়ার, লেখার চর্চাটা থাকলেই হলো।’

কয়েকটা স্কুল বদলে সানবিমসে এসে থিতু হয়েছিল শায়েজা। তার বক্তব্য, ‘এই স্কুলে একটা মনেরমতো পরিবেশ পেয়েছি। সানবিমস ছাত্রছাত্রীদের মধ্যে খুব ভালো একটা “ফাউন্ডেশন” গড়ে দেয়। হংকংয়ে আমার অনেক ভিনদেশি সহাপাঠীদের মধ্যেও এটা পাইনি।’

উচ্চশিক্ষার ক্ষেত্রে কোন বিষয় বেছে নেবে, সেটা শায়েজা এখনো ঠিক করেনি। তবে লেখালেখির সঙ্গে সে থাকতে চায়। অর্থনীতি ও আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিষয়ে আগ্রহ আছে। হয়তো এ দুটোর মধ্যে কোনো একটা বেছে নেবে সে।

সাউথ ব্রিজ স্কুলের আবদুল্লাহ
সাউথ ব্রিজ স্কুলের আবদুল্লাহ

আবদুল্লাহ আল সাজিদ: ফার্স্ট বয়, সব সময়!

সাফল্যের গল্পে একটা বাক্য বহুল ব্যবহৃত—‘এরপর আর তাকে পেছনে ফিরে তাকাতে হয়নি।’ আবদুল্লাহ আল সাজিদের কথা বলতে গেলেও এই বাক্যটা লিখতেই হয়।

তার স্কুলজীবন শুরু হয়েছিল নরসিংদীতে। পুরো পরিবার যখন ঢাকায় চলে এল, আবদুল্লাহ ভর্তি হলো উত্তরার সাউথ ব্রিজ স্কুলে। তুমুল প্রতিযোগিতার মধ্যে পড়ে ছোট্ট ছেলেটার তখন ত্রাহি ত্রাহি দশা! সেই সময়ের অভিজ্ঞতা আবদুল্লাহ বলছিল ক্রিকেটীয় ভাষায়, ‘একজন আনাড়ি ব্যাটসম্যানকে হঠাৎ মাঠে নামিয়ে দিলে যেমন হয়: সে মাঠের কন্ডিশন বোঝে না, বলের সুইং বোঝে না, বাউন্সার খেয়ে চোখে পানি এসে পড়ে—আমার অবস্থা হয়েছিল সে রকম!’

চোখের পানি মুছে পড়তে বসেছিল ছেলেটা। মা-ছেলে মিলে রাত জেগে পড়েছে। আবদুল্লাহ আল সাজিদের মা নাছিমা বেগম অবশ্য এই পড়ালেখাকে বলছেন ‘টিচার-টিচার’ খেলা। ছেলে যেন এত পড়া দেখে ঘাবড়ে না যায়, তাই খেলাচ্ছলেই পড়াতেন তিনি। যেদিন তৃতীয় শ্রেণির বার্ষিক পরীক্ষার ফল দেওয়া হলো, দুরুদুরু বুকে মা স্কুলের বাইরে দাঁড়িয়ে ছিলেন। মনে মনে প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন, ফল যা-ই হোক, ছেলেকে বলবেন, ‘যা হয়েছে, ভালো হয়েছে।’ আবদুল্লাহ বেরিয়ে যা বলল, এর চেয়ে ভালো কিছু সত্যিই আর হতে পারত না—‘মা, ফার্স্ট!’

সেই থেকে শুরু। আজ পর্যন্ত আবদুল্লাহ আল সাজিদ কখনো দ্বিতীয় হয়নি। অসুখে পড়ে বাবা মো. গোলাম মোস্তফা যখন মারা গেলেন, সে তখন ক্লাস সেভেনে পড়ে। একটা বড় পরিবর্তন এল জীবনে। কিন্তু তাতে আর যা-ই বদলাক, পরীক্ষার ফল বদলায়নি। আবদুল্লাহ ঠিকই প্রথম হয়েছে।

সাউথ ব্রিজ স্কুলে জুনিয়রদের চোখেমুখে সমীহ জাগানোর জন্য ‘আবদুল্লাহ ভাই’ নামটাই যথেষ্ট। শুধু এ কারণেই নয় যে ‘ও লেভেল’ পরীক্ষায় সে ১১টি বিষয়ের সবকটিতে ‘এ স্টার’ পেয়েছে। খেলাধুলা, বিতর্ক, সাংগঠনিক কার্যক্রম কিংবা নেতৃত্ব—সব দিক দিয়েই আবদুল্লাহ ‘এ স্টার’ পাওয়ার মতো ছাত্র। স্কুলের ক্রীড়া প্রতিযোগিতায় মশাল থাকে তার হাতে। বিতর্ক দলের প্রেসিডেন্টের সঙ্গে দেখা করতে গেলেও আপনি আবদুল্লাহ আল সাজিদকে পাবেন।

ও লেভেলে গণিত, রসায়নের পাশাপাশি অর্থনীতি, হিসাববিজ্ঞান বিষয়গুলোও সে নিয়েছিল। কেন? এতগুলো তো না নিলেও চলত। আবদুল্লাহ বলে, ‘কিন্তু তাতে যে অনেক কিছু অজানা থেকে যেত!’ এখন এ লেভেল পেরিয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় বা বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ার ইচ্ছে তাঁর। ইচ্ছের পেছনে একটা জুতসই যুক্তিও আছে, ‘সবাই বলে ইংরেজি মাধ্যম স্কুলে পড়া ছেলেমেয়েরা কেউ দেশে থাকে না। এই ধারণাটা ভাঙতে হবে।’

স্কুলের শিক্ষকদের প্রতি কৃতজ্ঞতার কথা সে বলছিল বারবার। তার ভাষায়, ‘আমাদের স্কুলটা একটা পরিবারের মতো। স্কুলের সুনাম কীভাবে ধরে রাখা যায়, এ বিষয়টি শিক্ষক-শিক্ষার্থী সবার মাথায় থাকে সব সময়।’ বোঝা গেল, সাউথ ব্রিজের ‘দখিন হাওয়া’ একটা বড় প্রভাব ফেলেছে তার সাফল্যে।

সানিডেলের মুস্তাকিম
সানিডেলের মুস্তাকিম

মুস্তাকিম ফিল উমার: কড়া শৃঙ্খলায় গড়া

মুস্তাকিম ফিল উমারের ভালো লাগে জীববিজ্ঞান আর গণিত। অথচ কী আশ্চর্য, ও লেভেল পরীক্ষায় সে বিশ্বসেরা নম্বর পেয়ে গেল পদার্থবিজ্ঞানে! গত বছর পদার্থবিজ্ঞানে ৯৮ নম্বর পেয়েছে সানিডেল স্কুলের এই ছাত্র। সেবার এটাই ছিল সর্বোচ্চ।

সর্বোচ্চ নম্বর পাওয়ার রহস্য কী? অল্প কথায় মুস্তাকিম যা বলল, মনে হলো পদার্থবিজ্ঞানে ৯৮ পাওয়ার পদ্ধতি বুঝি খুব সহজ! জলবৎ তরলং! ‘ছোটবেলা থেকে আমার অভ্যাস, পরীক্ষার এক মাস আগে পড়া শুরু করি। তো যখন দেখলাম ও লেভেলের আর এক মাসও বাকি নেই, তখন বই নিয়ে বসলাম। আমার ভাগ্যটা খুব ভালো। দেখলাম, ফিজিকসের কোনো কিছুই বুঝতে সমস্যা হচ্ছে না। আমি আমার মতো পড়ে গেলাম। তবে এত ভালো নম্বর পাব, সেটা আশা করিনি।’

প্রস্তুতিটা যে আদতে সহজ ছিল না, বোঝা গেল তার পরের কথায়, ‘আমাদের পড়ার বিষয়গুলোর মধ্যে ফিজিকস যোগ হয় ক্লাস এইট থেকে। কিন্তু টিচাররা ছোট ক্লাস থেকে এমনভাবে পড়ান যে অনেক আগে থেকেই ভিত গড়াটা শুরু হয়ে যায়। নাইন-টেনে ওঠার পর বিষয়গুলো আরও ভালোভাবে পড়ি। প্রতিটা চ্যাপটার বোঝানোর পর একটা পরীক্ষা হয়। টিচাররা বুঝতে চেষ্টা করেন যে আমরা বিষয়টা বুঝেছি কি না।’ তার মানে, ভালো ফলাফলের সূত্র আসলে নিউটনের তৃতীয় সূত্রের মতোই। নিউটন বলেছেন, ‘প্রত্যেক ক্রিয়ারই সমান ও বিপরীত প্রতিক্রিয়া আছে।’ ছোটবেলা থেকে গণিত, বিজ্ঞানের ভিতটা শক্ত হয়েছিল বলেই তো মুস্তাকিম ভালো ফল পেল!

পড়ালেখার বাইরে তার আগ্রহ দুটো বিষয়ে। বই পড়া আর রুবিকস কিউব মেলানো। জাপানি লেখক হারুকি মুরাকামি আছে তার পছন্দের তালিকায়। এখন পড়ছে মার্গারেট মিচেলের গন উইথ দ্য উইন্ড। ‘সবাই যেমন সায়েন্স ফিকশন বা ডিটেকটিভ বই পছন্দ করে, আমার এসব অতটা ভালো লাগে না। আমার ভালো লাগে ফিলোসফির (দর্শন) বই।’ মুস্তাকিমের কথার সঙ্গে নাকের ওপর বসানো মোটা ফ্রেমের চশমাটা বেশ মানিয়ে গেল!

সানিডেলের নিয়মকানুন খুব কড়া! মুস্তাকিম বলল, ‘এই নিয়মকানুনের জন্যই আমাদের স্কুলটা অন্য স্কুলের চেয়ে আলাদা। স্কুল থেকে বের হওয়ার পর এটা সবাই অনুভব করা শুরু করে। শুধু পড়ালেখায় না, সানিডেলে পড়লে জীবনেও একটা শৃঙ্খলা চলে আসে।’

পদার্থবিজ্ঞানে বিশ্বসেরা নম্বর পেলেও, মুস্তাকিম ফিল উমার কিন্তু ভবিষ্যতে পদার্থবিজ্ঞানী হতে চায় না, এ বিষয়ে উচ্চশিক্ষা নেওয়ার ইচ্ছেও তার নাই। সে ‘জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং’ পড়তে চায়। কেন? প্রশ্নের উত্তর পেতে হলে এই লেখাটির প্রথম লাইনটা আবার পড়ুন।

স্কলাস্টিকার সাফকাত
স্কলাস্টিকার সাফকাত

সাফকাত ওয়াহিদ: অর্থনীতিতে সেরা

সাফকাত ওয়াহিদকে স্কলাস্টিকা স্কুলের একটি চলমান বিজ্ঞাপন বলা যায়। স্কুলের প্রসঙ্গ উঠতেই সে খুব আগ্রহ নিয়ে তার শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের বিশেষত্বের দিকগুলো বুঝিয়ে বলল। মনে হলো, স্কুলের প্রতি এই এ লেভেল পড়ুয়া ছেলেটির একটা আলাদা টান আছে। সাফকাত যেমন তার স্কুল নিয়ে গর্বিত, তেমনি স্কলাস্টিকাও নিশ্চয়ই তাদের ছাত্রটিকে নিয়ে গর্ব করতে পারে। গত বছর ও লেভেল পরীক্ষায় অর্থনীতিতে সারা বিশ্বে সর্বোচ্চ নম্বর, ৯৯ পেয়েছে সে।

‘অনেকে বলে ইকোনোমিকস (অর্থনীতি) বিষয়টা কঠিন। আমার কাছে কিন্তু মনে হয় না।’ সাফকাত ওয়াহিদের এই আত্মবিশ্বাসের পেছনে বড় ভূমিকা তার স্কুলের। ছেলেমেয়েরা যেন পাঠ্যপুস্তকে মাথা গুঁজে না থেকে বাস্তবতার সঙ্গে মিলিয়ে হাতে-কলমে শিখতে পারে, স্কলাস্টিকা সেই মঞ্চ তৈরি করেই রেখেছে। সাফকাতের মুখ থেকে শুনুন, ‘আমাদের স্কুলে অনেকগুলো ক্লাব আছে। সারা বছরই নানা ধরনের কার্যক্রম হয় ক্লাবগুলোতে। এসব কার্যক্রম সরাসরি আমাদের পড়ালেখার সঙ্গে সম্পৃক্ত নয়, কিন্তু ক্লাবের কাজই আমাদের ভিত তৈরি করে দেয়। আমি যেমন ইয়ং এন্ট্রাপ্রেনিওর অ্যান্ড ইকনোমিস্ট ফোরামের সঙ্গে আছি। কিছুদিন আগে স্কুলে আয়োজন করা হলো স্কলাস্টিকা বিজনেস সামিট। এখানে আমরা বিভিন্ন ব্যবসার ধারণা দিয়েছি, অর্থনীতির বিভিন্ন বিষয় শিখেছি। আবার আমাদের স্কুলের একটা অনলাইন ম্যাগাজিন আছে। নাম “দ্যা স্ট্যালিয়ান”। ছাত্রছাত্রীরাই এই ম্যাগাজিনে লেখে। অর্থনীতিবিষয়ক বিভিন্ন লেখাগুলো আমি লিখি। এসব করতে করতেই আসলে বিষয়টার প্রতি ভয় দূর হয়ে গেছে।’

অর্থনীতি বিষয়টার প্রতি ভালো লাগা তৈরি হওয়ার পেছনে শিক্ষকদের অবদানের কথাও বলল সাফকাত, ‘নোট দিয়ে দিলাম, সবাই বাসা থেকে মুখস্থ করে এল। আমাদের স্কুলে কখনোই এভাবে পড়ানো হয় না। টিচাররা সংজ্ঞা বা সূত্রগুলো পড়ানোর আগে ধারণাটা বোঝানোর চেষ্টা করেন। সেটাও এমনভাবে বোঝান যে ক্লাসে বসে থাকলে একটা ছোট বাচ্চাও বুঝতে পারবে।’

দ্বাদশ শ্রেণির এই ছাত্রের এরই মধ্যে শিক্ষকতার অভিজ্ঞতা হয়েছে। সাফকাত জানাল, ঢাকার মিরপুরে সুবিধাবঞ্চিত ছেলেমেয়েদের জন্য কয়েকটি স্কুল পরিচালনা করে আহছানিয়া মিশন। স্কলাস্টিকার শিক্ষার্থীরা সেখানে ইংরেজি এবং তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তির ক্লাস নেয়। অষ্টম শ্রেণির ছেলেমেয়েদের ইংরেজি পড়িয়েছে সাফকাত। কেমন ছিল সেই অভিজ্ঞতা? ‘ক্লাস এইট তো খুব ছোট ক্লাস নয়। মোটামুটি বড়। প্রথমে আমার একটু নার্ভাস লাগছিল। পরে ঠিক হয়ে গেছে।’

একটা ভালো বৃত্তি পেলে দেশের বাইরে উচ্চশিক্ষা নিতে চায় সাফকাত ওয়াহিদ। এ ছাড়া ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ব্যবসায় প্রশাসন ইনস্টিটিউটেও (আইবিএ) চেষ্টা করবে সে। পড়ালেখাটা সব সময় আনন্দময় হোক, এটাই তার চাওয়া।