সকাল সাড়ে নয়টার মধ্যে পরীক্ষার্থীদের কেন্দ্রে ঢুকতে হবে

আগামী ৫ অক্টোবর অনুষ্ঠেয় এমবিবিএস প্রথম বর্ষের ভর্তি পরীক্ষার দিন সকাল সাড়ে নয়টার মধ্যে পরীক্ষার্থীদের কেন্দ্রে প্রবেশ করতে হবে। কেন্দ্রে পরীক্ষার্থী ও কর্তব্য পালনকারী কর্মকর্তা-কর্মচারী মোবাইল ফোন বা কোনো ধরনের ইলেকট্রনিকস ডিভাইস ও ঘড়ি নিয়ে প্রবেশ করতে পারবেন না। শিক্ষার্থীদের প্রবেশপত্রের সঙ্গে উল্লিখিত নির্দিষ্ট ধরনের কলম নিয়ে প্রবেশ করতে হবে।

আজ সোমবার সচিবালয়ে আসন্ন এমবিবিএস ভর্তি পরীক্ষা সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করার লক্ষ্যে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী এবং পরীক্ষাসংক্রান্ত ওভারসাইট কমিটির সঙ্গে বৈঠকে এই সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। স্বাস্থ্যমন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিম এতে সভাপতিত্ব করেন।

সভায় স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, আসন্ন এমবিবিএস ভর্তি পরীক্ষাকে সর্বোচ্চ কঠোর ও নিশ্ছিদ্র নিরাপত্তার মধ্য দিয়ে সম্পন্ন করার সব প্রস্তুতি ইতিমধ্যেই নেওয়া হয়েছে। তাই পরীক্ষা নিয়ে কোনো বিতর্ক সৃষ্টির সুযোগ এবারও থাকবে না। তিনি বলেন, জনগণের কাছে মানসম্মত স্বাস্থ্যসেবা পৌঁছে দিতে দেশের মেডিকেল কলেজগুলোতে যেন প্রকৃত মেধাবীরাই ভর্তির সুযোগ পান, তা নিশ্চিত করতে সরকার কোনো আপস করবে না। 

ভুয়া প্রশ্নপত্র ফাঁস-বাণিজ্য বা গুজব প্রতিরোধে শিক্ষার্থী, অভিভাবক, নাগরিক সমাজ ও গণমাধ্যমকে সচেতন থাকার আহ্বান জানিয়েছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী। তিনি বিশেষ করে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে অসত্য তথ্যসংবলিত পোস্ট ও ভুয়া অনলাইন পোর্টালের ওপর তীক্ষ্ণ মনিটরিং জোরদার করতে সব সচেতন নাগরিক এবং আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ও গোয়েন্দা সংস্থাগুলোর প্রতি আহ্বান জানান। এ ক্ষেত্রে কেউ কোনো তথ্য পেলে তা সঙ্গে সঙ্গে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে জানিয়ে দেওয়ার জন্য মন্ত্রীকে অনুরোধ করেন।

সভায় অন্যান্যের মধ্যে স্বাস্থ্য শিক্ষা ও পরিবারকল্যাণ বিভাগের সচিব জি এম সালেহ উদ্দিন, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য কনক কান্তি বড়ুয়া, চট্টগ্রাম মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ইসমাইল খান, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক আবুল কালাম আজাদ, বিএমডিসির পরিচালক সহিদুল্লা, বিএমএ সভাপতি মোস্তফা জালাল মহিউদ্দিন, মহাসচিব এহতেশামুল হক চৌধুরী, স্বাচিপ সভাপতি ইকবাল আর্সলান, ওভারসাইট কমিটির সদস্য সৈয়দ আবুল মকসুদ, আমাদের অর্থনীতির সম্পাদক নাইমুল ইসলাম খান, প্রথম আলোর যুগ্ম সম্পাদক আব্দুল কাইয়ুম, গাজী মিডিয়ার প্রধান সম্পাদক সৈয়দ ইশতিয়াক রেজাসহ ঢাকা ও চট্টগ্রাম মহানগর পুলিশ কমিশনার, মন্ত্রণালয়, স্বাস্থ্য অধিদপ্তর এবং আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ও বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থার ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।