প্রাথমিক শিক্ষা ৮ম শ্রেণি পর্যন্ত হলে...

প্রাথমিক ও ইবতেদায়ি শিক্ষা সমাপনী পরীক্ষা দেখতে গিয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলছেন প্রাথমিক ও গণশিক্ষামন্ত্রী মোস্তাফিজুর রহমান। ভিকারুননিসা নুন স্কুল অ্যান্ড কলেজে, ১৮ নভেম্বর। ছবি: মোশতাক আহমেদ
প্রাথমিক ও ইবতেদায়ি শিক্ষা সমাপনী পরীক্ষা দেখতে গিয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলছেন প্রাথমিক ও গণশিক্ষামন্ত্রী মোস্তাফিজুর রহমান। ভিকারুননিসা নুন স্কুল অ্যান্ড কলেজে, ১৮ নভেম্বর। ছবি: মোশতাক আহমেদ

প্রাথমিক ও গণশিক্ষামন্ত্রী মোস্তাফিজুর রহমান বলেছেন, শিক্ষানীতি অনুযায়ী যখন প্রাথমিক শিক্ষা ৮ম শ্রেণি পর্যন্ত বাস্তবায়ন হবে, তখন ৫ম শ্রেণি শেষে এবং ৮ম শ্রেণি শেষে একটি, নাকি দুটি পরীক্ষা হবে—এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত হবে। আজ রোববার প্রাথমিক ও ইবতেদায়ি শিক্ষা সমাপনী পরীক্ষা দেখতে রাজধানীর বেইলি রোডে ভিকারুননিসা নূন স্কুল অ্যান্ড কলেজ কেন্দ্রে গিয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী এ কথা বলেন।

মন্ত্রী বলেন, শিক্ষানীতিতে বলা হয়েছে, প্রাথমিক শিক্ষা কার্যক্রম হবে ৮ম শ্রেণি পর্যন্ত। কিন্তু এখন পর্যন্ত সেটা বাস্তবায়ন হয়নি। যখন বাস্তবায়ন হবে, তখন একটি পরীক্ষা হবে, নাকি দুটি হবে—সেই সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। তবে মন্ত্রী এও বলেন, মন্ত্রিসভা যদি সিদ্ধান্ত দেয়, তাহলে এখনো একটি পরীক্ষা হতে পারে। কারণ, এই পরীক্ষাগুলো মন্ত্রিসভার সিদ্ধান্তের আলোকেই হয়।

আজ সকাল সাড়ে ১০টায় সারা দেশে প্রাথমিক ও ইবতেদায়ি শিক্ষা সমাপনী পরীক্ষা শুরু হয়েছে। এবারের পরীক্ষায় বহুনির্বাচনী প্রশ্ন (এমসিকিউ) বাদ দেওয়া হয়েছে। ছয়টি বিষয়ের প্রতিটিতে ১০০ নম্বর করে মোট ৬০০ নম্বরের পরীক্ষা হবে।

সাংবাদিকেরা জানতে চেয়েছিলেন, এবার হঠাৎ করে এমসিকিউ বাদ দেওয়া হয়েছে, এর প্রভাব শিক্ষার্থীদের ওপর পড়বে কি না?


জবাবে মন্ত্রী দাবি করেন, বছরের শুরুতেই এই ঘোষণা দেওয়া হয়েছিল। এ ছাড়া বুঝে–শুনে, চিন্তাভাবনা করেই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এক প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, যত ঝঞ্ঝাই হোক না কেন, আগামী ১ জানুয়ারি শিক্ষার্থীদের নতুন বই দেওয়া হবে। আগেও আগুন–সন্ত্রাসের মধ্যে বই পৌঁছে দেওয়া হয়েছে।

মন্ত্রী বলেন, এখন পর্যন্ত যে খবর পাওয়া গেছে, তাতে পরীক্ষা পরিস্থিতি ইতিবাচক। পরীক্ষা এবারও আশানুরূপ হবে বলে তিনি মনে করছেন।

প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের তথ্য অনুযায়ী, এবারের প্রাথমিক ও ইবতেদায়ি শিক্ষা সমাপনী পরীক্ষায় মোট ৩০ লাখ ৯৫ হাজার ১২৩ জন পরীক্ষার্থী অংশ নিয়েছে। পরীক্ষার্থীর মধ্যে ২৭ লাখ ৭৭ হাজার ২৭০ জন প্রাথমিকের এবং ৩ লাখ ১৭ হাজার ৮৫৩ জন ইবতেদায়ি শিক্ষা সমাপনীর। এ বছর ৭ হাজার ৪১০টি কেন্দ্রে পরীক্ষা নেওয়া হচ্ছে। এর মধ্যে ১২টি কেন্দ্র বিদেশে অবস্থিত।