হাস্যরসের মাধ্যমে অ্যান্টিবায়োটিক সচেতনতা

মিম–এর মাধ্যমে অ্যান্টিবায়োটিক সচেতনতা গড়তে চেষ্টা করেছেন এই তরুণেরা
মিম–এর মাধ্যমে অ্যান্টিবায়োটিক সচেতনতা গড়তে চেষ্টা করেছেন এই তরুণেরা

চিকিৎসাবিজ্ঞানীরা আশঙ্কা করছেন, এমন একটা সময় আসবে, যখন সাধারণ ঠান্ডা, কাশি, জখম সারানোর মতো অ্যান্টিবায়োটিক আর পাওয়া যাবে না। কারণ, ওষুধগুলো মানুষের শরীরের ভেতর কাজ করার ক্ষমতা হারিয়ে ফেলবে। এই সমস্যাকে বলা হচ্ছে অ্যান্টিবায়োটিক রেজিসট্যান্ট। এ সম্পর্কে মানুষকে অবগত করতে গত নভেম্বরের মাঝামাঝি সময়ে অনুষ্ঠিত হলো ‘বিশ্ব অ্যান্টিবায়োটিক সচেতনতা সপ্তাহ ২০১৮ ’। মিম (হাস্যরসাত্মক ছবি, ভিডিও বা কার্টুনের মাধ্যমে কোনো একটি বিষয় উপস্থাপন) প্রতিযোগিতা ও প্রদর্শনীর মাধ্যমে গত ১৬ নভেম্বর দিবসটি পালন করে মেডিকেলের শিক্ষার্থীদের নিয়ে গড়া সংগঠন—বাংলাদেশ মেডিকেল স্টুডেন্টস অ্যাসোসিয়েশন। সারা দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে মেডিকেল কলেজপড়ুয়া শিক্ষার্থীরা তাঁদের তৈরি মিমগুলো পাঠিয়েছেন। প্রয়োজন ছাড়াই ওষুধ খাওয়া, ওষুধের ডোজ সম্পন্ন না করা কিংবা অনিয়ন্ত্রিত ওষুধ সেবনের মাধ্যমে কী কী সমস্যা হতে পারে, হাস্যরসের মাধ্যমে সহজভাবে তা সাধারণ মানুষের কাছে বোধগম্য করে তোলার চেষ্টা ছিল এসব শিল্পকর্মে। জমা পড়া মিমগুলোর মধ্যে ৪০টি মিম প্রদর্শনীর জন্য নির্বাচিত হয়। অনুষ্ঠান শেষে সেরা তিন মিম নির্মাতার হাতে পুরস্কার তুলে দেওয়া হয়।