কুমন পদ্ধতির বিস্তার ঘটাবে ব্র্যাক

টোকিওতে জাপানভিত্তিক আন্তর্জাতিক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান কুমনের ৬০তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে স্যার ফজলে হাসান আবেদ। ছবি: সংগৃহীত
টোকিওতে জাপানভিত্তিক আন্তর্জাতিক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান কুমনের ৬০তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে স্যার ফজলে হাসান আবেদ। ছবি: সংগৃহীত

বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা ব্র্যাকের প্রতিষ্ঠাতা ও চেয়ারম্যান স্যার ফজলে হাসান আবেদ বলেছেন, বাংলাদেশের শিশুদের সহজে গণিত শেখাতে কুমন পদ্ধতির বিস্তার ঘটাবে ব্র্যাক। গতকাল সোমবার দুপুরে টোকিওতে জাপানভিত্তিক আন্তর্জাতিক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান কুমনের ৬০তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।

এবারের অনুষ্ঠানের মূল উপজীব্য ছিল ‘কুমন পদ্ধতির আন্তর্জাতিক বিস্তার, শিক্ষণের বিবর্তন ও বিকাশ এবং জ্ঞানের প্রসার’। অনুষ্ঠানে পৃথিবীর বিভিন্ন দেশ থেকে কুমনের সাবেক ও বর্তমান শিক্ষক এবং প্রাক্তন শিক্ষার্থীরা অংশ নেন। এতে সভাপতিত্ব করেন কুমন ইনস্টিটিউট অব এডুকেশনের প্রেসিডেন্ট হিদেনোরি ইকেগামি।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে স্যার ফজলে হাসান আবেদ বলেন, ‘একজন স্নেহশীল বাবার সন্তানকে গণিত শেখানোর চেষ্টা হিসেবে শুরু হয়েছিল কুমন। আজ তা জাপানসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশের লাখ লাখ শিশুকে গণিত শেখানোর আন্দোলনে রূপ নিয়েছে। ২০১৩ সালে টোকিওতে কুমনের প্রেসিডেন্টের সঙ্গে আমার ও আমার স্ত্রীর দেখা হয়। ব্র্যাকের কিছু স্কুলে কুমন পদ্ধতি পরীক্ষামূলকভাবে চালু করার আগ্রহ প্রকাশ করেন তিনি। এরপর একটি পাইলট প্রকল্প হাতে নেওয়া হয়। ওই প্রকল্প থেকে প্রমাণিত হয় যে আমাদের দেশের দরিদ্রতম শিশুরা এ পদ্ধতির মাধ্যমে আরও ভালোভাবে গণিত শিখতে পারছে। গত দুই বছরে আমরা কুমনের সঙ্গে যৌথ উদ্যোগে ঢাকায় দুটি শিক্ষাকেন্দ্র প্রতিষ্ঠা করেছি।’

সভাপতির বক্তব্যে কুমন ইনস্টিটিউট অব এডুকেশনের প্রেসিডেন্ট হিদেনোরি ইকেগামি প্রতিষ্ঠানের ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা এবং এর শিক্ষক ও কর্মীদের বিভিন্ন চ্যালেঞ্জ থেকে উত্তরণের উপায় নিয়ে আলোচনা করেন।

১৯৫৮ সালে জাপানি গণিত শিক্ষক তরু কুমন সহজে গণিত ও ভাষা শিক্ষার একটি পদ্ধতি উদ্ভাবন করেন, যা কুমন পদ্ধতি নামে পরিচিতি। প্রথমে জাপানে, পরে বিভিন্ন দেশে বিস্তার লাভ করেছে এই পদ্ধতি।