খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ে নাচের উৎসব

খুবির কোষাধ্যক্ষ, অধ্যাপক রঞ্জন ঘোষের কাথ থেকে পুরস্কার নিচ্ছেন জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের দল
খুবির কোষাধ্যক্ষ, অধ্যাপক রঞ্জন ঘোষের কাথ থেকে পুরস্কার নিচ্ছেন জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের দল

১৫ ফেব্রুয়ারি খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ে (খুবি) তৃতীয়বারের মতো আয়োজিত হলো ‘আন্তবিশ্ববিদ্যালয় নৃত্য উৎসব ২০১৯’। ক্যাম্পাসের নৃত্যবিষয়ক সংগঠন রিদমের উদ্যোগে খুবির শিক্ষার্থীরাসহ সাতটি বিশ্ববিদ্যালয়ের ৫০ জন শিক্ষার্থীর অংশগ্রহণে আয়োজন করা হয় নৃত্য উৎসবটি। অংশগ্রহণকারী অন্য বিশ্ববিদ্যালয়গুলো হলো বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় (বুয়েট), খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (কুয়েট), জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়, শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়, ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি ও নর্থওয়েস্টার্ন ইউনিভার্সিটি, খুলনা।
খুবির আরেক নৃত্য সংগঠন স্পার্ক এবং সংগীত সংগঠন কৃষ্টি ও ভৈরবীর অংশগ্রহণ উৎসবে দিয়েছে ভিন্ন মাত্রা। একটা কিছু হতে যাচ্ছে—জানান দেওয়ার জন্য ক্যাম্পাসের হাদি চত্বরে এ মাসের শুরুতে হয় রিদমের সদস্যদের ফ্ল্যাশমব। আর পাঁচ দিন আগে থেকে দিন গণনা তো চলছিলই। ১৫ ফেব্রুয়ারি বিকেল পাঁচটায় মুক্তমঞ্চে শুরু হয় মূল উৎসব। ক্ল্যাসিক্যাল, কনটেমপোরারি, হিপহপ, রোবটিকস, ফিউশন, ফ্রি স্টাইল—সব ধরনের নাচকে একমঞ্চে নিয়ে আসেন বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা।
নৃত্যের তালে মত্ত হতে ক্যাম্পাসে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা ছাড়াও জড়ো হন খুলনার বিভিন্ন শ্রেণির সংস্কৃতিপিপাসু মানুষ। একটু বৈচিত্র্য আনতে নাচের সঙ্গে ছিল গানের পরিবেশনাও। প্রায় সাড়ে চার ঘণ্টা নাচ আর সুরের ঝংকারে দর্শকেরা যেন একটা অন্য জগতে পা রেখেছিলেন। রাত সাড়ে নয়টায় সমাপ্তি ঘটে এ উৎসবের।
রিদমের সভাপতি হিরণ সরোজ দেবনাথ বলেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী এবং খুলনার মানুষকে নাচের সঙ্গে যুক্ত করা, নাচের মাধ্যমে আমাদের যুবসমাজকে সংস্কৃতির দিকে আকৃষ্ট করা এবং আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ের সংস্কৃতির সঙ্গে অন্যান্য বিশ্ববিদ্যালয়ের সংস্কৃতির একটি সেতুবন্ধ স্থাপন করাই ছিল এই উৎসবের মূল উদ্দেশ্য।’
অন্যান্য বিশ্ববিদ্যালয়ের অংশগ্রহণ ও বিশাল দর্শক উপস্থিতিই উৎসবটির সফলতার কথা জানান দেয়।