র্যাগিংয়ের অভিযোগে ৭ শিক্ষার্থীকে বহিষ্কার

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়

র‌্যাগিংয়ের অভিযোগে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের সাত শিক্ষার্থীকে সাময়িক বহিষ্কার করেছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। আজ রোববার বেলা তিনটায় বিশ্ববিদ্যালয়ের সিন্ডিকেটের জরুরি সভায় বহিষ্কারের এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। সিন্ডিকেটের সচিব ও বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার রহিমা কানিজ প্রথম আলোকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

সাময়িক বহিষ্কার হওয়া শিক্ষার্থীরা হলেন জাহানারা ইমাম হলের আবাসিক ছাত্রী কিফায়াত সাদমান ইশাদী ও রুবাইয়া বিনতে হাশেম, আল বেরুনী হলের আবাসিক ছাত্র অঙ্কন ভদ্র, মো. সাইফুর রহমান সরকার ও নাজজাসি সুলতান, রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর হলের মো. রাকিব হোসেন এবং মাওলানা ভাসানী হলের তানভীর আহমেদ শুভ। তাঁরা সবাই পাবলিক হেলথ অ্যান্ড ইনফরমেটিক্স বিভাগের ৪৭তম ব্যাচের শিক্ষার্থী।

বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর কার্যালয় সূত্র জানায়, বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০১৮-১৯ শিক্ষাবর্ষের ক্লাস শুরু হওয়ার দ্বিতীয় দিন গত ২৫ ফেব্রুয়ারি দুপুর দেড়টার দিকে র‌্যাগ দেওয়ার উদ্দেশ্যে পাবলিক হেলথ অ্যান্ড ইনফরমেটিক্স বিভাগের প্রথম বর্ষের নবীন শিক্ষার্থীদের জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় স্কুল অ্যান্ড কলেজের মাঠে নিয়ে যান অভিযুক্ত শিক্ষার্থীরা। কিছুক্ষণ পর সেখানে প্রক্টরিয়াল টিমের সদস্যরা গেলে অভিযুক্ত শিক্ষার্থীরা পালিয়ে যান। ঘটনার পরের দিনই অভিযুক্ত শিক্ষার্থীদের বহিষ্কারের সুপারিশ করে সিন্ডিকেট বরাবর প্রতিবেদন জমা দেয় প্রক্টরিয়াল বডি। সুপারিশের ভিত্তিতে তাদের বহিষ্কার করা হয়।

বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রক্টর আ স ম ফিরোজ উল হাসান প্রথম আলোকে বলেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন আগেই ঘোষণা দিয়েছে নবীন শিক্ষার্থীদের নির্জন জায়গায় নিয়ে যাওয়া র‌্যাগিং হিসেবে বিবেচিত হবে। আর র‌্যাগিংয়ের ঘটনায় শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

বিশ্ববিদ্যালয়ের সিন্ডিকেট সভা সূত্র জানায়, বিষয়টি অধিকতর তদন্তের জন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের সিন্ডিকেট সদস্য অধ্যাপক রাশেদা আখতারকে প্রধান করে পাঁচ সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। কমিটিকে আগামী ১০ কার্যদিবসের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

এ ব্যাপারে অধ্যাপক রাশেদা আখতার বলেন, ‘পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত বহিষ্কৃতরা ক্লাস-পরীক্ষায় অংশ নিতে পারবেন না। তাঁরা হলেও অবস্থান করতে পারবেন না।’