আবাসিক সুবিধার দাবিতে আন্দোলনে হলের ছাত্রীরা

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের নওয়াব ফয়জুন্নেসা হলের কয়েকজন ছাত্রী তাঁদের বরাদ্দকৃত আসন ও হলে আবাসিক সুবিধা নিশ্চিত করার দাবিতে বিশ্ববিদ্যালয়ের পুরোনো প্রশাসনিক ভবনের সামনে অবস্থান ধর্মঘট পালন করছেন। ২৯ এপ্রিল, ২০১৯। ছবি: মাইদুল ইসলাম
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের নওয়াব ফয়জুন্নেসা হলের কয়েকজন ছাত্রী তাঁদের বরাদ্দকৃত আসন ও হলে আবাসিক সুবিধা নিশ্চিত করার দাবিতে বিশ্ববিদ্যালয়ের পুরোনো প্রশাসনিক ভবনের সামনে অবস্থান ধর্মঘট পালন করছেন। ২৯ এপ্রিল, ২০১৯। ছবি: মাইদুল ইসলাম

আবাসিক সুবিধা নিশ্চিত করা ও আসন বরাদ্দের দাবিতে আন্দোলনে নেমেছেন জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের নওয়াব ফয়জুন্নেসা হলের কয়েকজন আবাসিক ছাত্রী। আজ সোমবার সকাল সাড়ে ১০টা থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের পুরোনো প্রশাসনিক ভবনের সামনে তাঁরা অবস্থান ধর্মঘট পালন করছেন।

আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা বলছেন, নওয়াব ফয়জুন্নেসা হলের দুটি গণরুমে বিশ্ববিদ্যালয়ের ৪৭তম ব্যাচের ৫৪ জন ছাত্রী থাকতেন। ওই দুটি গণরুমের ছাদ চুঁইয়ে পানি পড়ে। পলেস্তারা খসে পড়ে। এতে দুটি কক্ষ পরিত্যক্ত ঘোষণা করা হয়। এরপর চলতি বছরের ২৩ জানুয়ারি পরিত্যক্ত কক্ষ সংস্কারের কথা বলে ওই ৫৪ জন ছাত্রীকে হলত্যাগের নির্দেশ দেয় হল প্রশাসন। তাঁদের মধ্যে বিশ্ববিদ্যালয়ের শেখ হাসিনা হলে ২৯ জন, জাহানারা ইমাম হলে ২০ জন ও বেগম সুফিয়া কামাল হলে ৫ জন ছাত্রীকে অস্থায়ীভাবে বরাদ্দ দেওয়া হয়। চার মাস ধরে তাঁরা এসব হলেই থেকেছেন।

এরপর গত বৃহস্পতিবার ওই দুটি গণরুম সংস্কার করা হয়েছে বলে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে হল প্রশাসন। বিজ্ঞপ্তিতে তাঁদের আবার হলে ফিরে আসার নির্দেশ দেওয়া হয়।

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের নওয়াব ফয়জুন্নেসা হলের কয়েকজন ছাত্রী তাঁদের বরাদ্দকৃত আসন ও হলে আবাসিক সুবিধা নিশ্চিত করার দাবিতে বিশ্ববিদ্যালয়ের পুরোনো প্রশাসনিক ভবনের সামনে অবস্থান ধর্মঘট পালন করছেন। ২৯ এপ্রিল, ২০১৯। ছবি: মাইদুল ইসলাম
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের নওয়াব ফয়জুন্নেসা হলের কয়েকজন ছাত্রী তাঁদের বরাদ্দকৃত আসন ও হলে আবাসিক সুবিধা নিশ্চিত করার দাবিতে বিশ্ববিদ্যালয়ের পুরোনো প্রশাসনিক ভবনের সামনে অবস্থান ধর্মঘট পালন করছেন। ২৯ এপ্রিল, ২০১৯। ছবি: মাইদুল ইসলাম

ছাত্রীদের অভিযোগ, হল ছাড়ার আগে তাঁদের থাকার স্বাস্থ্যকর পরিবেশ, পড়াশোনার সুষ্ঠু পরিবেশ নিশ্চিত করাসহ অন্যান্য আবাসিক সুবিধা দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল হল প্রশাসন। কিন্তু চার মাসেও কোনো পরিবর্তন হয়নি। ওই দুটি গণরুমে রং করা ও টাইলস লাগানো ছাড়া আর কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। এতে দুই বছর আগে তাঁরা যেভাবে হলের মেঝেতে থাকতেন, এখনো সেভাবেই থাকতে হবে। পড়াশোনা বা থাকার পরিবেশ নিশ্চিত করা হয়নি।

শিক্ষার্থীরা বলছেন, প্রায় নয় মাস ধরে প্রশাসনের বিভিন্ন মহলে তাঁরা তাঁদের সমস্যার কথা জানিয়েছেন। বারবার কথা বলার পরেও সুষ্ঠু সমাধান না করে তাঁদের হলে ফিরিয়ে আনার কথা বলা হয়েছে।

নওয়াব ফয়জুন্নেসা হলের ওয়ার্ডেন অধ্যাপক আব্দুল্লাহ মোহাম্মদ সোহায়েল প্রথম আলোকে বলেন, তাঁদের অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে কক্ষ সংস্কার করা হয়েছে। কিন্তু সব আবাসিক সুবিধা এখনই নিশ্চিত করা সম্ভব হয়নি। পবিত্র রমজান মাসের বন্ধে তাঁদের হলে থাকা ও পড়াশোনার ব্যবস্থা করা হবে।