দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার সাংস্কৃতিক সম্পর্ক নিয়ে ইউল্যাবে সম্মেলন

ইউনিভার্সিটি অব লিবারেল আর্টস বাংলাদেশে (ইউল্যাব) ৮ম বারের মতো শুরু হয়েছে এসএসইএএসআর সম্মেলন। এর উদ্বোধন করেন শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনি। ছবি: প্রথম আলো।
ইউনিভার্সিটি অব লিবারেল আর্টস বাংলাদেশে (ইউল্যাব) ৮ম বারের মতো শুরু হয়েছে এসএসইএএসআর সম্মেলন। এর উদ্বোধন করেন শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনি। ছবি: প্রথম আলো।

দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ায় ধর্ম ও সংস্কৃতিবিষয়ক গবেষণায় টেকসই ও কার্যকর যোগাযোগ তৈরির জন্য আন্তর্জাতিক সম্মেলন শুরু হয়েছে।

আজ বৃহস্পতিবার সকালে রাজধানীতে ইউনিভার্সিটি অব লিবারেল আর্টস বাংলাদেশে (ইউল্যাব) ৮ম বারের মতো শুরু হয়েছে সাউথ অ্যান্ড সাউথইস্ট এশিয়ান অ্যাসোসিয়েশন ফর দ্য স্টাডি অব কালচার অ্যান্ড রিলিজিওন (এসএসইএএসআর) সম্মেলন। এ বছরের প্রতিপাদ্য হচ্ছে ‘নদী ও ধর্ম: দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার সাংস্কৃতিক সম্পর্ক।’

সম্মেলনের উদ্বোধন করেন শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনি। প্রধান অতিথির বক্তব্যে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, ‘নদী এবং ধর্ম মানুষকে এক করার কথা। তবে অনেক সময় দেখা যায় তা আমাদের মধ্যে বিভেদও তৈরি করে। তবে এর জন্য আমাদের একসঙ্গে কাজ করতে হবে।’ তিনি আরও বলেন, নদীকে ঘিরেই পৃথিবীতে সভ্যতা গড়ে উঠেছে। এ দেশের পানিতে, মাটিতে, বাতাসে স্বাধীনতার চেতনা আছে, যেটাকে দাবিয়ে রাখা যায় না। জাতির পিতার নেতৃত্বে দেশ স্বাধীন হয়েছে। তাঁর কন্যা শেখ হাসিনার নেতৃত্বে দেশ এখন এগিয়ে যাচ্ছে। তিনি আশা প্রকাশ করে বলেন, এই সম্মেলনের মধ্য দিয়ে অনেক কিছু পাওয়া যাবে।

বিশ্বের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক ও গবেষকেরা চার দিনব্যাপী এ সম্মেলনে অংশ নিয়েছে। ছবি: প্রথম আলো।
বিশ্বের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক ও গবেষকেরা চার দিনব্যাপী এ সম্মেলনে অংশ নিয়েছে। ছবি: প্রথম আলো।

ভারতীয় হাইকমিশনার রীভা গাঙ্গুলী দাস সম্মানিত অতিথির বক্তব্যে বলেন, ‘এই সম্মেলনের জন্য বাংলাদেশকে বেছে নেওয়া উপযুক্ত ছিল। কারণ এটা হাজার নদীর দেশ। ভারতের গঙ্গা বাংলাদেশে এসে পদ্মা নামে প্রবাহিত হচ্ছে। অভিন্ন এ নদী আমাদের সভ্যতা ও যোগাযোগের সংযোগ ঘটিয়েছে। এই উপমহাদেশ ও দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার ইতিহাস, সংস্কৃতি ও ধর্ম এক হয়েছে, কারণ এই নদীর ভূমিকার জন্য।’ এ ছাড়া তিনি ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যকার বিভিন্ন প্রকল্প ও উন্নয়নমূলক কাজের কথা তুলে ধরেন।

সম্মেলনে শুভেচ্ছা বক্তব্য দেন ইউল্যাবের উপাচার্য এইচ এম জহিরুল হক। এ ছাড়া মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন ভারতের জাতীয় জাদুঘরের মহাপরিচালক বি আর মানী।

১৬ জুন পর্যন্ত চার দিনব্যাপী এই আন্তর্জাতিক সম্মেলন অনুষ্ঠিত হবে। এতে বিশ্বের ৩০ দেশের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক ও গবেষকেরা ১৫টি শিরোনামের অধীনে ৩৭টি সেশন হবে, যার মধ্যে ১৭০টি প্রবন্ধ পাঠ করা হবে।
আয়োজকেরা আশা প্রকাশ করে বলেন, এ সম্মেলনের মাধ্যমে দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার ধর্ম ও সাংস্কৃতিক বিষয়ক গবেষণায় বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে টেকসই ও কার্যকর যোগাযোগ তৈরিতে সহায়ক হবে।
সম্মেলন উপলক্ষে ইউল্যাবে লোক শিল্পমেলা, বইমেলা, আলোকচিত্রী প্রদর্শনীরও আয়োজন করেছে ইউল্যাব।

উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন জাতীয় অধ্যাপক রফিকুল ইসলাম, ইউল্যাবের সেন্টার ফর আর্কিওলজিক্যাল স্টাডিজের পরিচালক অধ্যাপক শাহনাজ হুসনে জাহান, এসএসইএএসআর সভাপতি অমরজিভা লোচন, ইউল্যাবের ট্রাস্টি বোর্ডের বিশেষ উপদেষ্টা ইমরান রহমান প্রমুখ। ভারতীয় হাইকমিশিনের সহায়তায় এ আয়োজনের পার্টনার হিসেবে রয়েছে কং বুক বিডি লি., প্রথম আলো ডটকম, দ্য ডেইলি স্টার, শাউট, বাংলা ট্রিবিউন ও নিমফিয়া পাবলিকেশনস।