বাজেটের আকার বাড়লেও কমছে গবেষণায় বরাদ্দ

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন ২০১৯-২০ অর্থবছরের জন্য ৮১০ কোটি ৪২ লাখ টাকার খসড়া বাজেট প্রণয়ন করেছে। তবে এবারের খসড়া বাজেটে গবেষণা খাতে বরাদ্দ কমছে।

গবেষণা ও বিশেষ গবেষণা মিলিয়ে এই খাতে বিশ্ববিদ্যালয় এবার বরাদ্দ করেছে ১৬ কোটি ৮৬ লাখ টাকা, যা মোট বাজেটের মাত্র ২.১ শতাংশ। বাজেটের আকার বিগত বছরের চেয়ে ৯.৩৫ শতাংশ বাড়লেও গবেষণায় বরাদ্দ কমছে ২.৮৪ শতাংশ।

বিশ্ববিদ্যালয় সিনেটের বার্ষিক অধিবেশনে হবে কাল বুধবার। ওই অধিবেশনে এই বাজেট অনুমোদন দেওয়া হবে। বেলা তিনটায় বিশ্ববিদ্যালয়ের নবাব নওয়াব আলী চৌধুরী সিনেট ভবনে অধিবেশনটি অনুষ্ঠিত হবে। বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক মো. আখতারুজ্জামানের সভাপতিত্বে অধিবেশনে বাজেট উত্থাপন করবেন কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক মো. কামাল উদ্দীন।

গত অর্থবছরে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বাজেটের আকার ছিল ৭৪১ কোটি ১৩ লাখ টাকা। এতে গবেষণা খাতে বরাদ্দ ছিল মোট বাজেটের ৪.৯৪ শতাংশ (৩৬ কোটি ৫৫ লাখ টাকা)। ফলে প্রকৃত বরাদ্দ ও শতাংশ- দুদিক থেকেই এবার গবেষণায় বরাদ্দ কমছে।

গবেষণা খাতের বরাদ্দকে অপ্রতুল বলছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইমেরিটাস অধ্যাপক সিরাজুল ইসলাম চৌধুরী। আজ মঙ্গলবার তিনি প্রথম আলোকে বলেন, বাজেটের মোট কলেবর বাড়লেও গবেষণায় বরাদ্দ বাড়ছে না। উচ্চশিক্ষার মানোন্নয়নে গবেষণা ও ছাত্রস্বার্থসংশ্লিষ্ট খাতগুলোতে বরাদ্দ বাড়ানো দরকার।

বাজেটে আয়ের খাত
বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবন সূত্রে জানা গেছে, ৮১০ কোটি ৪২ লাখ টাকার এ বাজেট বাস্তবায়নে প্রতি বছরের মতোই আয়ের উৎস হবে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের (ইউজিসি) অনুদান ও নিজস্ব আয়।

বাজেটের খসড়া অনুযায়ী এটি বাস্তবায়নে ইউজিসি ৬৯৪ কোটি ৬৫ লাখ টাকা অনুদান দেবে আর শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে ফি, ভর্তি ফরম বিক্রি, বেতন-ভাতা থেকে কর্তন, সম্পত্তিসহ নিজস্ব খাতগুলো থেকে ৭০ কোটি টাকা আয় হবে। এই দুই খাত থেকে ৭৬৪ কোটি ৬৫ লাখ টাকা আয় হলেও বাজেটে ৪৫ কোটি ৭৭ লাখ টাকা ঘাটতি থাকবে।

বাজেট ঘাটতি মেটাতে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকে বাড়াতে হচ্ছে নিজস্ব আয়। ২০১৬-১৭ অর্থবছরে নিজস্ব আয়ের পরিমাণ ছিল ৪১ কোটি টাকা, ২০১৮-১৯ অর্থবছরের সংশোধিত বাজেটে এর পরিমাণ ছিল ৬৬ কোটি টাকা। আর এ বছর ৭০ কোটি টাকা নিজস্ব আয়ের লক্ষ্যমাত্রা স্থির করেছে প্রশাসন।